নিঃসঙ্গ নৈরাশা
নিঃসঙ্গ নৈরাশা
আমি তোমার ছিলেম না কোনো কালেই,
না বৈশাখ, না জ্যৈষ্ঠে তুমি আমায় সঙ্গ দিয়েছিলে,
ঝুম বর্ষার দিনে আমি একলাই হেঁটেছি মাইলের পর মাইল,
নির্দয়া দিনের তপ্তরোদে একাই পুড়েছে আমার মনের ভিজে বারান্দা!
ভালো থাকার বিশেষ দিন তুমি পেরিয়েছ আমায় ছাড়াই,
আমার নিরাকরণ অভিমানে বরাবরই দুর্ভেদ্য তোমার মনের প্রাচীর।
তোমার একলা সময়, নিরব দুঃখ আমার হয়নি,
তোমার হৃদয় দুয়ারে পৌঁছায়নি আমার অব্যক্ত শেষ নিরীহ অনুভূতি।
ইচ্ছা অনিচ্ছার নিরব অবহেলায় ক্রমেই বাড়িয়েছ ভালো না থকার বয়স,
তোমার কাছে, আমি আজন্মই অবহেলিত, পাত্তা না পাও
য়া মুমূর্ষু কৃষ্ণচূড়া।
আমার বত্রিশ বসন্ত চলে গেল শুধু তোমায় পড়তে, শিখতেই,
বড়ই দুর্বোধ্য তুমি, দুর্বোধ্য তোমার মনের অনাচার।
এখন আর ভয় নেই, তোমার উপর কোনো অভিযোগ নেই,
চলে যাওয়া বর্ষার জলে মুক্তি দিয়েছি আমার যত না পাওয়ার অভিমান।
তোমায় দেখিনা এক কোটি বছর, হয়তো দেখবোওনা আর,
বেহিসাবের অনিশ্চিত অমানিশায় হঠাৎ করেই হয়তো হানা দিবে টপকে যাওয়ার ক্ষণ।
বহুদূরের সেই আমার ভীষণ কাছেই আজ কবরের মাটি,
সময় করেই বানের জলে ধোয়ে যাবে আরও একটা লাশ,
পৃথিবীময় ছুটে বেড়াবে তোমায় না পাওয়া আমার এক আকাশ নিঃসঙ্গ নৈরাশা।