চুরি বিদ্যা আর মহা বিদ্যা হলো না
চুরি বিদ্যা আর মহা বিদ্যা হলো না


তিনশো চৌষট্টিটা হট্টগোল,
একুশহাজার তীব্র চড় -
পাঁচশো বার ওঠবোসের পর
যখন সাজার মেয়াদ শেষ হল।
তখন অস্তিত্ব বলতে কিছু নেই
ছেড়া গেঞ্জির অংশ দিয়ে,
মুখ টা লুকিয়ে ছুটে পালিয়ে আসি
রাধা মন্দিরের পাশ দিয়ে গলির ভেতরে।
কর্মখালির পাতায় একটা কর্মখালিও সেদিন
আমার জন্যে বরাদ্দ ছিল না যেন,
নিয়তির টানে চুরিবিদ্যাকেই আপন
করার মধ্যে বীরত্ব দেখিয়ে কর্মখালির <
/p>
পদটা ছেড়ে দিয়েছিলাম,
অসুস্থ মাকে দেখে, কাশিমের জন্য।
এই শহর এম. এ বি. এড কে সন্মান করতে শেখেনি,
এ শহর শুধু চেনে, টাকার পাহাড়ের চড়ে থাকা মানুষ গুলো কে।
টাকা চুরি করতাম বটে, তবে তা রেখে দিতাম তাদের জন্য -
যারা হয়ত অর্থের টানে খেতেই পায় না।
হে জনার্দন! তোমার চরণে অর্পণ করে
বলি-
চুরি বিদ্যাকে আর মহাবিদ্যা করতে পারলাম না,
কারন স্কুলের শিক্ষায় ওই অধ্যায় টা ছিল না, ছিল শুধু অর্থ উপার্জনে শিক্ষা।