অন্তরীপ বিপ্লবী ছিল
অন্তরীপ বিপ্লবী ছিল


অন্তরীপ বিপ্লবী ছিল|
ও কাফকা পড়তো,
মূর্তি নয় মানুষ গড়ার কথা বলতো|
যে বিশ্বাস মানুষকে স্থবির করে তাকে
ভাঙার কথা বলতো;
অন্তরীপ বিপ্লবী ছিল;
তাই ওর চিন্তার কোনো বাঁধন ছিল না|
অন্তরীপ স্বাধীন ছিল|
ডিলানের সুরে ও সুর মেলাতো,
জাত নয়, ভাতের কথা বলতো;
ধর্ম নয়, কর্মের গান গাইতো;
সীমা নয়, সাম্যের কথা বলতো;
অন্তরীপ স্বাধীন ছিল...
তাই ওর অনেক বড় পৃথিবী ছিল|
অন্তরীপ শিল্পী ছিল|
ও ডেভিডের সাথে কথা বলতো,
ও রামধনু আঁকতো,
কোনো একটা রঙে ও আটকে ছিল না;
ওর ক্যানভাসে নগ্নতা নয়
মগ্নতা ছিল
অন্তরীপ শিল্পী ছিল|
তাই ওর চোখে পৃথিবী পদ্যময় ছিল|
অন্তরীপ যোদ্ধা ছিল|
ওর লড়াই ছিল জীর্ণতার সাথে
সংকীর্ণতার সাথে
স্বার্থবাদের সাথে,
ইঁদুরদৌড়ের সাথে|
অন্তরীপ যোদ্ধা ছিল,
তাই ক্ষয়িষ্ণু সভ্যতার
পচে যাওয়া জঠরে কুঠার হেনেছিল ও|
অন্তরীপ প্রেমিক ছিল
তাই মুক্ত হতে পেরেছিল ও
ওর সোহাগের রঙে
রঙীন হয়েছিল যৌবন
ওর ভালোবাসার আগুনে
দগ্ধ হয়েছিল লালসা আর অতৃপ্ত বাসনা
অন্তরীপ প্রেমিক ছিল
তাই নতুন যুগের জন্ম দিয়েছিল ও
অন্তরীপ বিপ্লবী ছিল|
তাই ওর বয়স বাড়েনি কখনো
ও দীর্ঘজীবী ও হয়নি...
পঙ্কিল সমাজের জং ধরে যাওয়া শেকল,
ওকে বেঁধে রাখতে পারেনি
ও তাই হারিয়ে গিয়েছিলো দিকশূন্যপুরের
কালচক্রের আবর্তে...
অন্তরীপ বিপ্লবী ছিল
ও তাই আবার ফিরে আসবে
নতুন দিনের,
নতুন যুগের,
দিশারী হয়ে
ভালোবাসার গান গাইতে |