মুক্তির তীব্র হাহাকার।
মুক্তির তীব্র হাহাকার।
কিসের এ দেশ, কিসের এ জয়?
স্বাধীনতা তবে কিগো অভিনয়?
ঐ মন্দিরে শুধু ধুলো আর ছাই,
শুষ্ক মালাটি দেখিয়া শুধাই—
কারা কেড়ে নিলো স্বপ্নের ভেলা?
এ কেমন দেশে শুরু এই খেলা?
কত রক্তে ভিজেছিল এই পথ,
ভুলে গেছি মোরা সে দিনের শপথ।
কারা দিল প্রাণ, কিসের বিনিময়ে?
ফল নাই তবু, সব রয় ভয়ে।
রক্তের দামে এসেছিল ভোর,
কেন তবে আঁকে আবার ঘোর?
মুখোশ পরেছে নতুন শোষক,
ভোগের মোহে সে যে বিভোর দর্শক।
দিনের আলোয় আঁকে শুধু ফাঁদ,
নিঃশব্দে বাজে কষ্টের বিষাদ।
তাদের হাতে নেই বেড়ি কোনো,
তবু শিকলে বাঁধা জীবন শোনো!
ঐ পথে কাঁদে ক্ষুধার্ত প্রাণ,
ন্যায়ের দুয়ারে বাজে না যে গান।
যোগ্যতা আজ শুধু টাকার সাথী,
বেকারত্বে ডোবে যুবকের জাতি।
গণতন্ত্রের ভাঙলো যে ছায়া,
এ শুধু মিথ্যার চরমের মায়া।
ভুলেছি সেদিন প্রতিজ্ঞাটা মোরা,
এসেছে আবার এক নতুন ঘোরা।
আমরা তো সেই জাতি— বীরের সন্তান,
কেন তবে আজ ঘুমে নিই কান?
অন্যায়ের কাছে নত কেন শির?
কোথায় হারালো সে দিনের তীর?
আর কতকাল রবে এই ভুল?
জাগো জনতা, ভাঙো এই মূল!
সময় এসেছে, আর নয় ভয়,
বিদ্রোহ ছাড়া মুক্তি তো নয়।
শুকনো মালাটা করে হাহাকার,
সে যে চায় শুধু রক্তের অঙ্গীকার।
প্রতিজ্ঞাটা মোরা ভুলে গেছি তাই,
মুক্তি আজ শুধু ইতিহাসে পাই।
জীবন্ত তাকে রাখিনি তো কেহ,
তাই তো সে শুধু নীরবতা সহে।
আর কতকাল রবে এই ঘোর?
জাগাও চেতনা, আনো নতুন ভোর।
বজ্রকন্ঠে ডাক দাও, জাগুক আকাশ,
শোষকের বুকে ঘনুক ত্রাস।
ভেঙে দাও যত মিথ্যার দেওয়াল,
আগুন জ্বেলে দাও, হবেই চিরকাল—
মুক্তির মন্দির হবে আবার সজীব,
আমরাই সেই নির্ভীক বিপ্লবী!
