দ্বিধাদ্বন্দ্ব

দ্বিধাদ্বন্দ্ব

8 mins
356


দেবারতি তার বাবা মায়ের সাথে যে পাড়াতে থাকে সেখানে প্রায় কাছাকাছি বাড়িতে সুমন্ত ও থাকে। সুমন্ত এর সাথে দেবারতির ছোটবেলার বন্ধুত্ব। ছোট থেকেই ওরা একে অপরের বাড়িতে যাতায়াত করে। দেবারতির সব কথাই যেমন সুমন্ত জানে তেমনই সুমন্তর সব কিছুই দেবারতির জানা। মান অভিমান যাই হোক না কেন আবার খুব তাড়াতাড়ি ওদের ভাব হয়ে যায়। বেশিক্ষন ওরা একে অপরের উপর রাগ করে থাকতেই পারে না। দুজনের কমন ফ্রেন্ডরা মনে করে ওদের মধ্যে নিশ্চই একটা চাপা ভালাবাসা আছে। এমনি ভাবে ধীরে ধীরে বড় হচ্ছে ওরা।


ক্লাস ইলেভেন এ পড়ার সময় দেবারতির সাথে একটি ছেলের আলাপ হয় টিউটোরিয়াল থেকে । আস্তে আস্তে ওদের মধ্যে একটা সম্পর্ক তৈরী হয়। ছেলেটির নাম অরিন। অরিন যেদিন দেবারতিকে প্রপোজ করলো সেদিন দেবারতি এই কথা ওর বান্ধবী মহুয়া কে গল্প করলো। মহুয়া বললো, "এতদিন জানতাম সুমন্ত তোর বয়ফ্রেন্ড তাহলে এ আবার কোথা এলো ।আমি কিছুই বুঝলাম না।" দেবারতি তখন বললো, " আরে তুই না সত্যি ..এত কম বুঝিসনা কি বলবো, বলেছি না সুমন্ত আমার ছোট বেলার বন্ধু, বেস্টফ্রেন্ড। আর অরিনকে আমি ভালোবাসি। এবার বুঝতে পারলি?"


ওদিকে দেবারতি আর সুমন্তর কমন ফ্রেন্ডরা বলাবলি শুরু করলো সুমন্তকে নিয়ে। সুমন্তর নিশ্চয়ই দূর্বলতা আছে দেবারতির প্রতি নইলে আজ অবধি কোনো মেয়ের দিকে ঘুরে দেখলো না কেন? সুমন্ত ভীষণ বিরক্তিতে পড়লো এবং শেষ পর্যন্ত ওরই এক স্কুলমেট এর সঙ্গে সম্পর্ক তৈরী করার চেষ্টা করলো। এদিকে দেবারতির সাথে অরিন এর সম্পর্ক যত গভীর হতে শুরু করলো অরিন ততই নিজের মতামতকে বেশি করে দেবারতির উপর চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করতে লাগলো। দেবারতির উপর বেশি কর্তৃত্ব করার চেষ্টা করতো। ওর পছন্দ অনুযায়ী দেবারতিকে চলতে হবে এমনটাই দাবি করতো। আর এইসব কিছু দেবারতি মেনে নিতে পারতো না ,তখন উদাহরণ হিসেবে সুমন্তের সাথে অরিন এর তুলনা টেনে কথা বলতো। "সুমন্ত হলে এরকম করতো না ।"" আমার মতামত কে গুরুত্ব দিতো..।" ইত্যাদি। এই তুলনা করাটা নিয়ে আবার অরিন ভীষণ রেগে যেত আর তাই নিয়ে ঝগড়াও হয়ে যেতো ওদের মধ্যে। আবার কিছু সময় পর মিটেও যেতো সে ঝগড়া। এভাবেই চলছে দেবারতি আর অরিনের সম্পর্ক ভালো মন্দ মিশিয়ে।


একদিন দেবারতির বাড়িতে সুমন্ত এলো। দেবারতি মা বললো, "কি রে এখন তো আর আসিস না খুব ব্যস্ত হয়ে গেছিস তাই কাকিমা কে মনেও নেই।" সুমন্ত বললো, "না না কাকিমা, সামনেই পরীক্ষা তো.. তাই টেনশানে আছি।" দেবারতির মা আবার বললো, "আচ্ছা এসছিস যখন খেয়ে যাস কিন্তু , দেবারতি ওপরের ঘরে আছে । তুই ওপরে যা। " সুমন্ত দেবারতির ঘরে গেলো। কিছু ক্ষন কথা হওয়ার পর দেবারতি সুমন্তর মোবাইলটা ঘাঁটাঘাটি করলো আর তারপর বললো, "ইস... এই মেয়েটার সাথে, তুই প্রেম করছিস, কি ফালতু ।" সুমন্ত বলে উঠলো, " তোর অরিনের থেকে অনেক ভালো। " দেবারতি আবার বললো, "কিসের সাথে কিসের তুলনা করিস তুই? কোতথেকে একটা মেয়ে নিয়ে প্রেম করছে । তোর পছন্দ খুব খারাপ।" সুমন্ত বলে উঠলো," আমার তোকে পছন্দ, করবি আমার সাথে প্রেম? " দেবারতি একটু হতভম্ব হয়ে তাকালো আর সময় থমকে গেলো কিছুক্ষন পর হঠাৎ সুমন্ত হাসতে হাসতে বলে উঠলো মজা করছিলাম... দেবারতি সম্বিৎ ফিরে পেলো কিন্তু ওর যেনো মনে হলো এটা মজা ছিল না।


কয়েক বছর পর....


দেবারতির এম . এ ফাইনাল ইয়ার চলছে ইউনিভার্সিটিতে। দেবারতির ব্যাচমেট শৈবাল । ইদানীং তার সঙ্গে দেবারতির কথা বেশি হয়।হোটাসঅ্যপ , ফেসবুক এ ও বেশি যোগাযোগ এখন শৈবাল এর সাথে। ওদিকে সুমন্ত তার বাবার বিজনেস জয়েন করেছে তাই বেশ ব্যস্ত আর অরিন ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করে জব করছে । কাজের চাপে এখন একটু কমই দেখা হয় দেবারতি র সাথে। এদিকে যতদিন যেতে থাকে শৈবাল ভাবতে শুরু করলো হয়তো দেবারতির তাকে পছন্দ। হঠাৎ একদিন দেবারতিকে প্রপোজ করে ফেললো। ব্যাশ... ওমনি দেবারতি রেগে গিয়ে দারুন রিয়েক্ট করলো। দেবারতি বলে উঠলো, "আমি তোকে ভালো বন্ধু ভাবতাম আর তুই এভাবে.... আমি ভাবতেই পারছিনা তাছাড়া তুই তো জানতিস আমার বয়ফ্রেন্ড আছে তাহলে... " শৈবাল তখন বললো, "দেখ আমার তোকে ভালো লেগেছিল তাই বলেছি , আর আমি ভেবেছিলাম তোর ও হয়তো আমাকে... যাইহোক তুই এত রিয়েক্ট করছিস কেন? প্লিজ আমাকে ভুলছিস না।"


দেখতে দেখতে আরও দুটো বছর কাটলো এর মধ্যে ঘটেছে অনেক কিছু । দেবারতির সাথে অরিন এর ব্রেকআপ । ব্রেকআপ হলেও মাঝে ফোনে কথা হয় ওদের কিন্তু কিছুতেই সম্পর্কটা ঠিক জোড়া লাগে না। সম্পর্কটা যেদিন ভেঙেছিল সেদিন ওদের কথোপকথন চলছিল আর দেবারতি তার মাঝখানে শৈবালকে নিয়ে অনেকক্ষণ ধরে কথা বলতে থাকে আর তখনই অরিন বিরক্ত হয়ে বলে উঠে, " খালি সুমন্ত আর শৈবাল তাহলে আমার কাছে এসছো কেন? ওদের কাছে যাও। " এই ভাবেই ঝগড়া শুরু তারপর কথা কাটাকাটি বেশ খানিকক্ষণ। তারপর সম্পর্কটা ভাঙলো সেদিন।


এদিকে দেবারতির বিয়ের জন্য বাড়িতে ওর বাবা মায়ের রোজ কথা চলছে। একদিন সুমন্তর মা এসে দেবারতির মাকে বলে বসলো ," আপনাদের যদি আপত্তি না থাকে তাহলে দেবারতিকে আমার ছেলের বউ করতে চাই। সেই ছোট থেকেই তো দেখছি ওদের আমার মনে হয় ওর সুখী হবে।" দেবারতির মা বললো, " আজকাল কার ছেলে মেয়েরা কি আমাদের মত অনুযায়ী চলে বলুন?এখন ওরা কি ভাবছে তা না জেনে কি এগানো ঠিক হবে ।" সুমন্তর মা বললো, " বেশ তো ওদের সাথে কথা বলেই না হয় এগোবো আমারা। " দেবারতি সবটা পরে জানলো আর ওর পুরনো বন্ধু মহুয়া কে বললো সবটা। মহুয়া শুনে বললো, "দেখ আমি তো প্রথম থেকেই কিন্তু সুমন্ত কে তোর জন্য পারফেক্ট ভেবেছিলাম তুইতো .... কি জানি দেখ তোর ডিসিশন এবার। কাকিমা কাকু কি বলছে রে?" দেবারতি বললো, "ওরা তো রাজি। "শেষপর্যন্ত এই বিয়েতে মত দিলো দেবারতি। বিয়ের দিন ফাইনাল হলো । হঠাৎ একদিন দেবারতি খবর পেলো অরিন এর পায়ে চোট লেগেছে । দেবারতি সেটা সুমন্ত কে জানালো আর ওর বাড়িতে দেখা করতে যেতে চাইলো। সুমন্ত বললো, "তুই ওর সাথে দেখা করতে যাবি? তুই তো ফোনেও জানতে পারিস ওর কথা ওর বাড়িতে যাওয়ার কি আছে। " দেবারতি বিরক্ত হয়ে বললো, " ও তো ফোনেই বলেছে আমাকে যে ওর পা আঘাত লেগেছে আর ও এখন বাড়িতে , অফিসে যাচ্ছে না। দেখ সুমন্ত ও খুবই অসুস্থ, আমি যাবো না ওর কাছে ! তোকে বিয়ে করছি বলে কি ওর কাছে যেতে পারবো না? ওর এই সমস্যার সময় ওর পাশে দাঁড়ানো দরকার । আমি যাবোই। " সুমন্ত অমত হলেও দেবারতি গেলো অরিনের বাড়ি আর ওর অসুস্থতা দেখে অপসেট হলো। অরিন দেবারতির হাত ধরে ক্ষমা চাইলো আর সম্পর্কটা ঠিক করার জন্য রিকুয়েস্ট করলো। দেবারতি কি করবে কিচ্ছু বুঝতে পারলো না । বাড়িতে ফিরে দরজা বন্ধ করে বালিশে মুখ গুঁজে কাঁদতে শুরু করলো। হঠাৎ মোবাইল এ ম্যসেজ ঢোকার আওয়াজ গুলো বেশ কয়েকবার হলো। দেবারতি মোবাইল খুলতেই দেখলো ইউনিভার্সিটির হোটাসঅ্যপ গ্রুপে সবাই শৈবাল কে বার্থডে উইশ করেছে। দেবারতি ভাবলো শৈবাল কে একটা ফোন করে উইস করবে। তারপর ফোন করলো আর উইস ও করলো। ফোনের ওপাশ থেকে শৈবাল বললো, " কেমন আছিস? তোর গলাটা কেমন যেনো লাগছে কি রে কিছু হয়েছে? আগে তো কত কথা শেয়ার করতিস। তুই কি এখনও রেগে আছিস আমার ওপর।" দেবারতি বললো, " না না রাগ করবো কেন? আমি ঠিক আছি। " শৈবাল বলে উঠলো, " দেখ আমি তোকে ভালবাসেছিলাম সেটা সত্যি, তোর হয়তো এতে মত ছিল না কিন্তু তুই আগের মত আমার সাথে সব শেয়ার করতেই পারিস , আমরা এখনো বন্ধু ।" দেবারতি বললো, "হুমম, ...আমি জানি । " কিছুক্ষন পর ফোন রেখে দেবারতি আবার কান্নায় ভেঙে পড়লো। সুমন্ত, অরিন, শৈবাল তিনজনই তার জীবন এ সত্যি ।এরা তিনজনই ওকে ভালোবাসে কিন্তু কার ভালোবাসার মূল্য দেবে সেটাই আজ অজানা। দেবারতির মনের দ্বিধাদ্বন্দ্ব বাড়তেই থাকলো। বন্ধ দরজার ওপাশ থেকে দেবারতির মা ডেকে উঠলো, " কি রে ..দরজা বন্ধ করেছিস কেন? খোল দরজাটা ।" দেবারতি খুললো। ওর মা জানালো ওর বিয়ের গয়না করবে যে স্যাকরা সে কাল আসবে, এই স্যাকরা নাকি ওর জ্যাঠার মেয়ের বিয়েতেও গয়না বানিয়েছিলো । তাছাড়া কাল জ্যাঠিমার সাথে ওর মা কেনাকাটা করতে বেরোবে, ওকে থাকতে বললো। কিন্তু দেবারতি বিষয়টা এড়িয়ে গেলো আর ওদের সাথে যাবে না বললো। দুটো পরিবারের মধ্যে আনন্দের পরিবেশ । বিয়ের তোড়জোড় শুরু হয়ে গেছে। দেবারতি মনমরা ভাব নিয়ে বসে আছে। সুমন্ত একদিন দেবারতিকে নিয়ে কফিশপ এ এলো আর সরাসরি জিজ্ঞাসা করলো , " তুই কি আদৌ বিয়েটা চাস ?তোকে দেখে আমার প্রতিদিনই মনে হয় তুই রাজি না। " দেবারতি বললো, " এই বিয়েটা প্লিজ পিছিয়ে দে । আমি এখনো ঠিক বুঝতে পারছিনা। " সুমন্ত বললো, "আগেই বলতে পারতিস । অরিন এর পায়ে চোট লাগা দেখতে গেলি আর আজ বিয়েটা ভাঙছিস। আমাকে কোনো দিনই তোর পছন্দ ছিলো না শুধু শুধু সেদিন রাজি হয়েছিলিস কারন তখন অরিন ছিল না, তাই আমাকে প্রয়োজন হয়েছিল । আমি ভাবতেই পারছিনা আমার জন্য আমাকে না একজনের বদলে আমাকে চেয়েছিলিস। " দেবারতি বললো, "তুই আমাকে ভুল বুঝিস না প্লিজ। " সুমন্তর সাথে কথা কাটাকাটি চললো আর পরে বিয়েটা বন্ধ হলো। দুই বাড়িতে পরিবেশটা এখন থমথমে। দেবারতি কারোর দিকে তাকিয়ে ভালোভাবে কথা বলতে পারছে না এখন। সুমন্ত আর প্রায় কথাই বলে না , এতদিনের বন্ধুত্বটা এক লহমায় যেন ভেঙে গেলো।


ঘরের টেবিলেটা পরিস্কার করতে গিয়ে ইউনিভার্সিটির পুরানো নোটস এর খাতাটা খুঁজে পেলো দেবারতি । আর মনে মধ্যে ঝাঁপিয়ে এলো একরাশ পুরানো স্মৃতি যার সবটা জুড়ে শৈবাল । দেবারতি কি করবে নিজেই জানে না আজ । দেবারতি মহুয়ার সঙ্গে দেখা করলো আর মনের সব কথা বললো, মহুয়া বললো ,"একসাথে তিন জনকেই ভালোবাসিস তুই?" দেবারতি তখন বললো, " না দেখ তুই বিশ্বাস কর আমি শুধু অরিনকেই ভালোবেসেছি।" মহুয়া বললো, "আর শৈবাল ...? তার সঙ্গে কাটানো মূহুর্তগুলো? " দেবারতি বলে উঠলো, " হ্যাঁ এটা ঠিক শৈবাল এর সঙ্গে আমি অনেকটা ভালো সময় কাটিয়েছি কিন্তু সেটা ভালোবাসা নয় , তুই বল এটা কি ভালোবাসা হতে পারে ? কখনোই নয়। " মহুয়া বললো, "আচ্ছা তুই পারবি অরিনকে বিয়ে করে সুখে থাকতে , সত্যি করে বলতো? সুমন্ত কে তুই মিস করবি না? ওর জন্য তোর মনখারাপ হবে না ? " দেবারতি বললো, "আমি কিচ্ছু বুঝতে পারছিনা। সুমন্ত তো সরেই যাচ্ছে ,বিয়েটা ভাঙার পর থেকেই ও আমাকে এড়িয়ে চলছে। আমার উপর ভালোই রাগ করেছে। মহুয়া ...তুই একটা কথা প্লিজ বল... আমার জায়গায় থাকলে তুই কি করতিস? " মহুয়া তখন বললো, " তোর যখন যাকে মনে হয়েছে তার সঙ্গে তুই সময় কাটিয়েছিস। আবার যখন দরকার নেই তখন দূরে সরিয়ে দিয়েছিস। যেটা ঠিক ছিল না। এই তিনজন এর থেকেই একদিন তুই ভালোবাসা আদায় করেছিস আবার এদেরকেই আঘাত করেছিস। আমার অদ্ভুত লাগে তোর এই ব্যাপার গুলো।তোর মনের এই দ্বিধাদ্বন্দ্ব এই যে জটিলতা এ তোরই সৃষ্টি। নিজের মনকে জিগ্যেস কর। নিশ্চয়ই উওর পাবি। আমি এটার সলিউশন কোনো ভাবেই দিতে পারবোনা । কারন আমি যদি বলি তাহলে তো আমার পছন্দটা বলে ফেলবো। তোকেই নিজেকে ভাবতে হবে। নিজেকে নিজের কাছে সময় দে। দেখ ভবিষ্যৎটা কি আগে থেকে বোঝা যায় বল..? এই একি জিনিস নিয়ে ভাবা বন্ধ কর, মনকে শান্ত কর।"


বেশ কিছু দিন পর .....

দেবারতির জ্যেঠুর মেয়ে মিতালী এলো । মিতালী কানাডাতে থাকে, হাজবেন্ড এর চাকরির জন্য। দেবারতির সবটা জানলো তারপর বললো, "তুই আমার সাথে চল, কানাডাতে , এই একঘেয়ে বিয়ে নিয়ে মনমরা হয়ে আছিস, ওখানে তোর একটা চ্যাঞ্জ হবে।" দেবারতির মা বললো, "কি রে যাবি তুই?" দেবারতি উওর দিলো না। কিন্তু ফোনে তিনজন ছেলেকেই জানালো ওর এই কানাডা যাওয়ার সিদ্ধান্ত এর কথাটা।

সুমন্ত, অরিন, শৈবাল তিনজনই শুনে আপসেট হলো । আর কানাডাতে না যাওয়ার জন্য ওরা রিকুয়েস্ট করলো দেবারতি কে । তবুও সব কিছুকে দূরে রেখে দেবারতি শেষপর্যন্ত কানাডাতে যাবে সেটাই ঠিক করলো আর যা কিছু মনের দ্বিধাদ্বন্দ্ব সবটা সময়ের উপর ছেড়ে দিলো।


Rate this content
Log in

Similar english story from Abstract