কাল
কাল
জাগো জাগো, জাগো জাগো হে মহাঙগান,
তোমার আশীর্বাদ ছুঁয়ে আছে মন প্রাণ ।
সুস্নাত তুমি, অভিষিক্ত তুমি,
তোমার সুরে ধ্বণিত হয়েছে জীবনের জয়বাণী ।
তুমি শাশ্বত, তুমি নির্মল, তুমি সত্যের সন্ধানী,
নবীন বসন্তের ঊষা লগ্নে, ছড়াও শান্তির ললিত বাণী ।
আকাশকে তুমি কাছে টানো, করো সাগরকে আহ্বান,
তোমার কাছে যাকিছু সামান্য, নিমেষেই হয়েছে ম্লান ।
একাধারে তুমি অগ্নি, আবার ফুলের মতই স্নিগ্ধ,
শত্রুর চোখে চোখ রেখে করো সুযোগের পথ বন্ধ ।
ওই শোনা যায় ছুটির ঘন্টা, হয়তো বাকিরা ফিকে,
তবু ছুটে যাও দ্রুত বেগে, নব দিগন্তের দিকে ।
হে প্রভু, তোমার চরণে পাই যেন মোর স্থান,
পূজার অর্ঘ্য - আরতি, করেছি তোমায় দান ।
তুমি শিব - দুর্গা - কৃষণ, নিরাকার ব্রম্ভ,
"ql-align-center">তুমি নর - নারী - প্রকৃতি, মৃত্যু - জন্ম ।
তোমার জটা হতে প্রবাহিত গঙ্গা,
তোমারই তীরের শাণিত আঘাতে, ধংষ হয়েছে লঙ্কা ।
তুমি বীনাপাণি, তুমি ত্রিনয়না,
তুমি ত্রিশূলধারী, আবার গদাধর ।
তুমি চণড - মুণড বধে রক্তবীজ - বিনাশিনী,
তুমি পদ্মনাভ, নীলাম্বর ।
সভ্যতার আদিমতম যুগ থেকে, তুমি প্রজ্জ্বলিত,
প্রত্যেকটি প্রাণে সঞচারিত হয়ে, সুন্দরভাবে প্রস্ফুটিত ।
ফুল, ফল, মাটি, পাথড়, তুমি-ই সব আলোর ছটা,
আবার তুমি কিছুই না, শুধু জীবনের সাতটি রঙের ঘনঘটা ।
দিন পাল্টায়, রঙ বদ্লায়, কালচক্র তবু ঘুরে যায়,
তুমি ছিলে, তুমি আছ, তুমি আমাদের মাঝে,
তোমার কৃপায় আজ বিশ্ব সাজে ।
বারেবারে এসেছ, হয়ে শ্রেষঠ দাতা,
যুগে যুগে যাকিছু, তুমি সত্যের নির্মাতা ।