AYAN DEY

Action

4.5  

AYAN DEY

Action

ইরাবতী দেবনাথ

ইরাবতী দেবনাথ

9 mins
350


" ব্যোমকেশ , অনেকদিন কোনো সঙ্গীতানুষ্ঠানে যাওয়া হয়নি । আজ ইরাবতী দেবনাথের একটা ক্লাসিক্যাল অনুষ্ঠান আছে । প্রবেশ অবাধ , যাবে নাকি ? "

" সত্য যাবে নাকি ? "

" হ্যাঁ যাওয়া যেতেই পারে । খোকা কি বুঝবে শাস্ত্রীয় সঙ্গীত ? "

" সে এমনই নয় যাবে । তবে চলো অজিত । "

ব্যোমকেশ , অজিত আর সত্যবতী খোকাকে নিয়ে রবীন্দ্রসদনে যখন পৌঁছালো তখন অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার মুখে । ওরা সারি দেওয়া চেয়ারগুলোর একটা সারিতে পরপর ধারের দিক করে বসে পড়লো । লোক এখনও আসছে । 

" অজিত ওই দেখো কাদের আগমন ! "

" কে এলো ... " বলে মাথা ঘোড়াতেই অজিত দেখলো ফেলুদা তোপসে আর লালমোহনবাবুর সাথে এসে উপস্থিত ।

লালমোহনবাবুই প্রথম অজিতকে দেখে এগিয়ে গেলেন ।

" আরে কি চমকপ্রদ ব্যাপার ! অজিত বাবু , ব্যোমকেশ বাবু সস্ত্রীক ও পুত্রসহ ... ফেলুবাবু দেখুন কারা উপস্থিত আছেন । "

ফেলুদা ও তোপসে করজোড়ে ওদের দিকে এগিয়ে আসতে আসতেই হল অন্ধকার হয়ে গেলো । অনুষ্ঠান শুরু হয়ে গেলো । ফেলুদারাও ব্যোমকেশদের পাশেই জায়গা পেয়ে গেলেন ।

প্রথম বৃন্দাবনী সারঙ্গ বাজাতে শুরু করলেন বাঁশি দিয়ে । দর্শক মুগ্ধ হয়ে শুনছেন । কিন্তু বিপত্তি ঘটলো আধ ঘন্টা পর । অনুষ্ঠানের পরিচালক কমিটির মধ্যে একজন মঞ্চের একপাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন কিন্তু হঠাৎ মূর্ছা গেলেন ।

" সত্য তোমরা বসো , আমি একটু গিয়ে দেখে আসি । "

" তোপসে তুইও বস লালমোহনবাবুকে নিয়ে । আমি দেখে আসি কী ঘটলো । "

" ও আপনিও আসছেন চলুন চলুন । "

" কী হয়েছে বুঝলেন ? " ফেলুদা একজন কমিটির লোককে জিজ্ঞাসা করলেন ।

" কিছু বুঝতে পারছি না , ডাক্তার আসছেন । দেহে পালস নেই । "

কমিটির ডাক্তার এসে জানালেন কিচ্ছু করার নেই । হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যু । কিন্তু যেহেতু পাবলিক প্লেসে ঘটেছে তাই ওনার বডি পোস্টমর্টেমের জন্য পাঠানো হলো । পিজির ডাক্তারদের মোটামুটি সকলেই ফেলুদা আর ব্যোমকেশকে চেনে তাই ময়না তদন্তের রিপোর্ট বের করার আগেই ফলাফল সম্পর্কে অবগত হতে ওদের সময় লাগলো না ।

অজিত সত্যবতী আর খোকাকে উবের করে দিলো । নিজে রয়ে গেলো । 

" মশাই , এ যে হরেন্ডাস ব্যাপার ! " এতক্ষণে মুখ খুললেন জটায়ু ।

" কী করবেন বলুন ? আমায় রহস্য ছাড়ে না আর ওনাকে সত্য । "

" ফেলুবাবু , সত্য কিন্তু বাড়ি চলে গেছে ! জোকস অ্যাপার্ট , পোস্টমর্টেমে টাইমটা তো চমকে দেওয়ার মতো ! "

" নিঃসন্দেহে ! " রবীন্দ্র সদনের চৌহদ্দিতেই আছে এখনও সবাই । ফেলুদা এদিক ওদিক চেয়ে নিয়ে বললো , " হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যু হয়েছে প্রায় ১২ ঘন্টা আগে এই ব্যাপারটা এখানে এসে পৌঁছালেই হুলস্থূল বেঁধে যাবে । "

" তুমি কি কোনও রহস্যের গন্ধ পাচ্ছো ? " জানতে চাইলো অজিত ।

ব্যোমকেশ বললো , " আমার সত্যটা জানা নিয়ে কথা । তাতে রহস্য উন্মোচন হলে পর্দা ফেলতে প্রদোষ বাবু স্বয়ং তো আছেনই । "

তোপসে কিছু বলতে যাবে এমন সময় রবীন্দ্র সদন থানার ওসি আসছেন । 

" আরে আরে কি দারুণ দৃশ্য , ফেলুবাবু , ব্যোমকেশবাবু সব এক জায়গায় । "

প্রাথমিক কিছু কথার পর ওসি বললেন , " এ এক অদ্ভুত কেস মশাই । মার্ডারের কোনো গন্ধও পাচ্ছি না অথচ স্বাভাবিক মৃত্যুও কোনোভাবেই মানতে পারছি না । ১২ ঘন্টা আগে মরে গিয়ে দেহ পচতে শুরু করেছে , ভাবতে পারছেন ? "

" কিন্তু স্টেজে কে পড়লো ? স্পষ্ট ওনাকে কোণায় দাঁড়ানো থেকে পড়ে যেতে দেখেছি । " বললো ব্যোমকেশ ।

" লালমোহনবাবু শাস্ত্রীয় সঙ্গীত বিষয়ে যে খানিক জ্ঞান আপনার আছে তাতে এই বিষয়টি নিয়ে কিছু অন্য মোড় পাচ্ছেন কি ? " জানতে চাইলো ফেলুদা ।

" ওরে বাপস । সে কালে ভদ্রে স্কুলে আশাভরীটা শিখেছিলুম ! তা দিয়ে কী আর বলি ! "

" তোপসে তুই কিছু বলবি ... আচ্ছা একটু ধরিয়ে দিচ্ছি । মালকোষ বা মালকওনস সম্পর্কে তোকে বলেছি বেশ কয়েকবার ! " বললো ফেলুদা ।

" ও সেই মধ্যরাত্রির রাগ যা শুনে স্পিরিট বা জিনেরা জেগে ওঠে ! " বলে তোপসে ।

" কিন্তু ফেলুবাবু এর সাথে এই কেসের কী সম্পর্ক ? " জানতে চায় ব্যোমকেশ ।

" এখনও কিছু বুঝছি না । চলুন ভিতরে জিজ্ঞাসাবাদ করা যাক । "

ওসি সমেত ওরা ছয়জন আবার হলে প্রবেশ করে কমিটির লোকেদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে শুরু করলো । সুযোগ পেয়ে দু তিনটে মোক্ষম প্রশ্ন জটায়ুও করে ফেলছিলেন ।

সব প্রশ্ন শেষে যা বেরিয়ে এলো গতকাল সন্ধ্যে থেকে মৃত ব্যক্তি তাপস মজুমদার ইরাবতীর বাড়িতেই ছিলেন । উনি ইরাবতীর ভাবি স্বামী , একথাও জানা গেলো ।

অতএব , সবশেষে ইরাবতী দেবীরও ডাক এলো ।

" ব্যোমকেশ , অনেকদিন কোনো সঙ্গীতানুষ্ঠানে যাওয়া হয়নি । আজ ইরাবতী দেবনাথের একটা ক্লাসিক্যাল অনুষ্ঠান আছে । প্রবেশ অবাধ , যাবে নাকি ? "

" সত্য যাবে নাকি ? "

" হ্যাঁ যাওয়া যেতেই পারে । খোকা কি বুঝবে শাস্ত্রীয় সঙ্গীত ? "

" সে এমনই নয় যাবে । তবে চলো অজিত । "

ব্যোমকেশ , অজিত আর সত্যবতী খোকাকে নিয়ে রবীন্দ্রসদনে যখন পৌঁছালো তখন অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার মুখে । ওরা সারি দেওয়া চেয়ারগুলোর একটা সারিতে পরপর ধারের দিক করে বসে পড়লো । লোক এখনও আসছে । 

" অজিত ওই দেখো কাদের আগমন ! "

" কে এলো ... " বলে মাথা ঘোড়াতেই অজিত দেখলো ফেলুদা তোপসে আর লালমোহনবাবুর সাথে এসে উপস্থিত ।

লালমোহনবাবুই প্রথম অজিতকে দেখে এগিয়ে গেলেন ।

" আরে কি চমকপ্রদ ব্যাপার ! অজিত বাবু , ব্যোমকেশ বাবু সস্ত্রীক ও পুত্রসহ ... ফেলুবাবু দেখুন কারা উপস্থিত আছেন । "

ফেলুদা ও তোপসে করজোড়ে ওদের দিকে এগিয়ে আসতে আসতেই হল অন্ধকার হয়ে গেলো । অনুষ্ঠান শুরু হয়ে গেলো । ফেলুদারাও ব্যোমকেশদের পাশেই জায়গা পেয়ে গেলেন ।

প্রথম বৃন্দাবনী সারঙ্গ বাজাতে শুরু করলেন বাঁশি দিয়ে । দর্শক মুগ্ধ হয়ে শুনছেন । কিন্তু বিপত্তি ঘটলো আধ ঘন্টা পর । অনুষ্ঠানের পরিচালক কমিটির মধ্যে একজন মঞ্চের একপাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন কিন্তু হঠাৎ মূর্ছা গেলেন ।

" সত্য তোমরা বসো , আমি একটু গিয়ে দেখে আসি । "

" তোপসে তুইও বস লালমোহনবাবুকে নিয়ে । আমি দেখে আসি কী ঘটলো । "

" ও আপনিও আসছেন চলুন চলুন । "

" কী হয়েছে বুঝলেন ? " ফেলুদা একজন কমিটির লোককে জিজ্ঞাসা করলেন ।

" কিছু বুঝতে পারছি না , ডাক্তার আসছেন । দেহে পালস নেই । "

কমিটির ডাক্তার এসে জানালেন কিচ্ছু করার নেই । হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যু । কিন্তু যেহেতু পাবলিক প্লেসে ঘটেছে তাই ওনার বডি পোস্টমর্টেমের জন্য পাঠানো হলো । পিজির ডাক্তারদের মোটামুটি সকলেই ফেলুদা আর ব্যোমকেশকে চেনে তাই ময়না তদন্তের রিপোর্ট বের করার আগেই ফলাফল সম্পর্কে অবগত হতে ওদের সময় লাগলো না ।

অজিত সত্যবতী আর খোকাকে উবের করে দিলো । নিজে রয়ে গেলো । 

" মশাই , এ যে হরেন্ডাস ব্যাপার ! " এতক্ষণে মুখ খুললেন জটায়ু ।

" কী করবেন বলুন ? আমায় রহস্য ছাড়ে না আর ওনাকে সত্য । "

" ফেলুবাবু , সত্য কিন্তু বাড়ি চলে গেছে ! জোকস অ্যাপার্ট , পোস্টমর্টেমে টাইমটা তো চমকে দেওয়ার মতো ! "

" নিঃসন্দেহে ! " রবীন্দ্র সদনের চৌহদ্দিতেই আছে এখনও সবাই । ফেলুদা এদিক ওদিক চেয়ে নিয়ে বললো , " হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যু হয়েছে প্রায় ১২ ঘন্টা আগে এই ব্যাপারটা এখানে এসে পৌঁছালেই হুলস্থূল বেঁধে যাবে । "

" তুমি কি কোনও রহস্যের গন্ধ পাচ্ছো ? " জানতে চাইলো অজিত ।

ব্যোমকেশ বললো , " আমার সত্যটা জানা নিয়ে কথা । তাতে রহস্য উন্মোচন হলে পর্দা ফেলতে প্রদোষ বাবু স্বয়ং তো আছেনই । "

তোপসে কিছু বলতে যাবে এমন সময় রবীন্দ্র সদন থানার ওসি আসছেন । 

" আরে আরে কি দারুণ দৃশ্য , ফেলুবাবু , ব্যোমকেশবাবু সব এক জায়গায় । "

প্রাথমিক কিছু কথার পর ওসি বললেন , " এ এক অদ্ভুত কেস মশাই । মার্ডারের কোনো গন্ধও পাচ্ছি না অথচ স্বাভাবিক মৃত্যুও কোনোভাবেই মানতে পারছি না । ১২ ঘন্টা আগে মরে গিয়ে দেহ পচতে শুরু করেছে , ভাবতে পারছেন ? "

" কিন্তু স্টেজে কে পড়লো ? স্পষ্ট ওনাকে কোণায় দাঁড়ানো থেকে পড়ে যেতে দেখেছি । " বললো ব্যোমকেশ ।

" লালমোহনবাবু শাস্ত্রীয় সঙ্গীত বিষয়ে যে খানিক জ্ঞান আপনার আছে তাতে এই বিষয়টি নিয়ে কিছু অন্য মোড় পাচ্ছেন কি ? " জানতে চাইলো ফেলুদা ।

" ওরে বাপস । সে কালে ভদ্রে স্কুলে আশাভরীটা শিখেছিলুম ! তা দিয়ে কী আর বলি ! "

" তোপসে তুই কিছু বলবি ... আচ্ছা একটু ধরিয়ে দিচ্ছি । মালকোষ বা মালকওনস সম্পর্কে তোকে বলেছি বেশ কয়েকবার ! " বললো ফেলুদা ।

" ও সেই মধ্যরাত্রির রাগ যা শুনে স্পিরিট বা জিনেরা জেগে ওঠে ! " বলে তোপসে ।

" কিন্তু ফেলুবাবু এর সাথে এই কেসের কী সম্পর্ক ? " জানতে চায় ব্যোমকেশ ।

" এখনও কিছু বুঝছি না । চলুন ভিতরে জিজ্ঞাসাবাদ করা যাক । "

ওসি সমেত ওরা ছয়জন আবার হলে প্রবেশ করে কমিটির লোকেদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে শুরু করলো । সুযোগ পেয়ে দু তিনটে মোক্ষম প্রশ্ন জটায়ুও করে ফেলছিলেন ।

সব প্রশ্ন শেষে যা বেরিয়ে এলো গতকাল সন্ধ্যে থেকে মৃত ব্যক্তি তাপস মজুমদার ইরাবতীর বাড়িতেই ছিলেন । উনি ইরাবতীর ভাবি স্বামী , একথাও জানা গেলো ।

অতএব , সবশেষে ইরাবতী দেবীরও ডাক এলো ।

" আমাকে ডাক হলো কেন ? ওহো গতকাল রাত্তির থেকে উনি আমার বাড়ি ছিলেন বলে ? "

" না না মিউজিক নিয়ে কিছু গল্প করবো বলে ডাকলাম । " বলে ব্যোমকেশ ।

" আচ্ছা বলুন তো এই সঙ্গীতশিক্ষা আপনার কার কাছে ? বাঁশিটাই বা কার থেকে শেখা ? অপূর্ব বাজালেন । " বলে ফেলুদা ।

" নৃসিংহপ্রকাশ সেনের থেকে শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের তালিম নেওয়া । বাঁশিটা আমার নিজের শেখা । "

" আচ্ছা আজকে আপনি বৃন্দাবনী সারঙ্গ বাজাচ্ছিলেন , তাই তো ? " জানতে চায় ফেলুদা ।

" হ্যাঁ , কে...কে...কেন ? "

" ওটা বৃন্দাবনী সারঙ্গ ছিলো না ইরাবতী দেবী ... আমি ওটা তৎক্ষণাৎ রেকর্ড করে একটি বহু চলতি অ্যাপের মাধ্যমে জেনেছি মালকোষের কোনো অংশ বাজাচ্ছিলেন আর বৃন্দাবনী সারঙ্গ হয় কাফি দিয়ে মূলত । ওর ধারেকাছে আপনি যাননি । এই অ্যাপের সত্যতা প্রমাণ করা যেতেই পারে দক্ষ লোক ডেকে , ইনফ্যাক্ট আমি করিয়েওছি । অতএব , সত্যিটা খুলে বলুন । "

" হ্যাঁ আমি মালকোষ রাগের অংশই বাজিয়েছি কিন্তু তাতে কী প্রমাণ হয় ? "

এবার ব্যোমকেশ মুখ খোলে । " আপনার চোখের সামনে মৃত্যুর টাইমটা তুলে ধরলাম ... অ্যা এই যো রিপোর্ট ... " বলে চোখের সামনে পোস্টমর্টেম রিপোর্ট তুলে ধরলো ব্যোমকেশ ।

" এসব কী হচ্ছে ? আমি কিন্তু মানহানির মোকদ্দমা করবো আপনাদের নামে । "

" সেসব হবে পরে । ইনি রবীন্দ্র সদন থানার ওসি , উনি আপনার ব্যাগ , মেক আপ রুম ও বাড়ি দলবল নিয়ে অনুসন্ধান করবেন । "

ইরাবতী দেবী তখন দরদর করে ঘামছেন । ব্যাগ ও মেকআপ রুম থেকে কিছু না পাওয়া যেতে সকলে ওনার বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিলেন ।

" আপনি কী এক্সপেক্ট করছেন ব্যোমকেশ বাবু ? " বালিগঞ্জে ইরাবতীর বাড়ির উদ্দেশ্যে যেতে যেতে ফেলুদা জানতে চায় ।

" একরকম বিষের কথা মাস তিনেক আগে একটা কেসে জানতে পারি । লালায় মেশার পরই হৃৎপিণ্ডের ক্রিয়া বন্ধ করে দেয় কিছুক্ষণের মধ্যে অথচ বিষ হিসাবে শরীরে তার অস্তিত্ব পাওয়া একদমই সম্ভব নয় । "

" স্ট্রেঞ্জ । " 

বাড়িতে সব তছনছ করে খোঁজার পর কোমডের ফ্লাশের মধ্যে মিললো সেই বিষের শিশি । 

" দেখুন তো ব্যোমকেশ বাবু এটা কিনা ? " জানতে চান পুলিশের একটি লোক ।

ওসি ব্যোমকেশের ঘাড় নাড়ানো দেখে এগিয়ে এসে বলেন , " ভাগ্যে আপনারা ছিলেন । ইরাবতী দেবী বলুন এবার সব সত্যি কথা । "

" হ্যাঁ হ্যাঁ আমি মেরেছি তাপসকে । আমার শরীর নিয়ে যা ইচ্ছে তাই করবে , আর কতদিন সহ্য করবো বলতে পারেন ? তাই এই বিষ প্রয়োগে ওকে প্রথমে শেষ করি কাল রাতে যখন ও চড়াও হয় আমার ওপর । তারপর কমিটির কাজে ওকে না পেলে সন্দেহ হতে পারে তাই সটান মঞ্চে এনে হাজির করি । আমার বাঁশির ক্ষমতা আছে নিশ্চয়ই আছে । নইলে এতক্ষণ সচল থাকতো না ও । আমি অসুস্থ বললে অনেকেরই গন্ধ নাকে আসা সত্ত্বেও আমার ওপর কথা বলে না । তাই মঞ্চে কোনোভাবে সচল করে দাঁড় করিয়ে রেখেছিলাম ! আপনারা সব ঠিকই বলেছেন । তবে এটা প্রমাণ করতে পারবেন না আমি খুনী । ব্যোমকেশ বাবু আপনি বোধহয় গতবারের আততায়ীকে দোষী সাব্যস্ত করতে পারেননি , কি ঠিক তো ? "

" একদম ঠিক । "

" কী বলছেন ব্যোমকেশ বাবু , উনি দোষী প্রমাণ হবেন না ? "

" চান্স কম । "

ওসি বিমর্ষ হয়ে ফোর্স নিয়ে ফিরলেন ।

ফেরার সময় ব্যোমকেশ ফেলুদা করমর্দন করে দুটো ভিন্ন ভিন্ন গাড়িতে ভাগ করে উঠে পড়লো ।

" কী কেলেঙ্কারিয়াস কাণ্ডি মশাই ! " বলেন লালমোহন বাবু ।

" ভালোই হলো আপনার গল্পের রসদ হয়ে গেলো । "

অজিত বলে , " সত্যের কাছে এখন মুখ দেখানো গেলে হয় ! "

" কেন অনুষ্ঠানের মাঝে উঠে গেছে বলে ? না না ওতে কিছু না । ও যখন শুনবে ওর দাদার শ্যালিকাকে বাঁচিয়েছি ওর আনন্দই হবে বরং । "

" বলো কী ? কই সত্যবতী চিনতে পারলো না তো ? "

" ওর দাদার সাথে অনেকদিন কথা কয় না , আমার সংসারেই ঢুকে গেছে , ওই বৌদিকে চেনে ব্যস । "

" ওফ ধন্যি সত্যবতী এমন বর পেয়েছে । "


Rate this content
Log in

Similar english story from Action