SUSHANTA KUMAR GHOSH

Children Stories Horror Children

4  

SUSHANTA KUMAR GHOSH

Children Stories Horror Children

পয়াভূত

পয়াভূত

8 mins
29


পয়াভূত

সুশান্ত কুমার ঘোষ

রাঙা দাদুদের বাড়িতে আর সব কিছু ভালো লাগলেও রাতটা মোটেই ভালো লাগেনা তিতাসের। কেবল অন্ধকার আর অন্ধকার। তাদের বাড়ির চারপাশে কেমন আলো। আর এখানে ঘরের বাইরেটা তো দেখাই যায় না, উঠোনটাকেও মনে হয় কালির দোয়াত! এখানে ইলেকট্রনিক বাতি যেন মোমবাতি এক একটা! আর ফ্যান? ফ্যানের অবস্থা দেখে সকালে দেখা একটা দৃশ্যের কথা মনে পড়ে গেল তিতাসের! মনে পড়তেই হেসেও ফেলল মনে মনে। রাঙা দাদু সকালে গরুকে স্নান করাচ্ছিলেন! বড় গরুগুলো দিব্যি জলে নেমে চুপচাপ দাঁড়িয়ে স্নান করে নিল। একটা বাছুরকে নিয়ে যত গোল পাকল।রাখালটা দড়ি ধরে জলের দিকে টান মারে।রাঙা দাদু পিছন থেকে ঠেলা মারেন। কিন্তু বাছুরটা সামনের পায়ে ভর দিয়ে এমন পিছটান ধরেছে, তাকে জলে নামায় কার সাধ্য! তাই দেখে তিতাসের সে কি হাসি। হাসতে হাসতে মাটিতে লুটিয়ে পরার অবস্থা। ওই টুকু একটা বাছুর, সে কিনা দুজনকে গলদঘর্ম করে ছাড়ল।তাকে জলে নামাতে গিয়ে রাঙা দাদু হাপিয়ে উঠলেন। অনেক কসরত করে জলে নামানো গেল বটে, কিন্তু গায়ে জলের ছিটে দিতেই জল থেকে বাঘের মতো একটা মস্ত লাফ দিয়ে সেই যে দৌড় দিল, সারাদিন তাকে আর ধরাই গেল না। ঘরে ফিরল সেই সন্ধ্যা বেলায়!

ফ্যানের ঘোরা দেখে ওই জেদি বাছুরটার কথাই মনে পড়ে গেল! ফ্যান ঘুরবে না বলে জেদ ধরেছে, আর বিদ্যুৎ তাকে ঘুরিয়েই ছাড়ছে! সন্ধ্যার দিকে ফ্যান গুলো তাও হাঁটি হাঁটি পা পা করে ঘুরছিল। সন্ধ্যা গড়াতে না গড়াতে কারেণ্টটাই গেল চলে!

এখানে এই এক সমস্যা। যখন তার দরকার পরে তখনই সে পালিয়ে যায়! রাত নামতেই লোডশেডিং। ফিরতে ফিরতে ভোর। আজও তেমনটাই হল।

গুমোট গরমে ঘরের ভিতরে থাকাই দায়।মা তো মামীমাদের সঙ্গে দিন রাত গল্পে মজে আছে। থেকে থেকে কেবল হা হা হি হি! তিতাসের দিকে ফিরেও তাকায় না। এই গরম, তার উপর দম বন্ধ করা অন্ধকার- তিতাসের যে কি অবস্থা হচ্ছে সেকি মা বোঝে না!

তিতাসের কষ্টটা আর কেউ না বুঝলেও রাঙা দিদুন বুঝতে পারেন। রাঙা দিদুন বললেন -

" চল দিদি ভাই, আমরা ছাদে যাই।ওখানে হাওয়া পাব- নদীর হাওয়া। একবার বসলেই শরীর জুড়িয়ে যাবে। "

এই জন্যই, ঠিক এই জন্যই রাঙা দিদুনকে তার এত ভালো লাগে। মা বুঝল না, মামীরাও কেউ বুঝলনা তিতাসের কষ্টটা। কিন্তু রাঙা দিদুন ঠিক বুঝে নিলেন। পথও বের করে ফেললেন সঙ্গে সঙ্গে।

ছাদে উঠে বোঝা গেল রাঙা দিদুন মিথ্যে বলেননি। ফুরফুর করে বাতাস বইছে। তাদের ছাদেও বাতাস বয়, কিন্তু এমন ঠান্ডা নয়।কেমন গরম গরম ভাব।এই জন্যেই বলে গ্রাম। শীতল শীতল বাতাস, ঠান্ডা ঠান্ডা জল,ছায়া ছায়া পথ! গ্রাম আর শরের পার্থক্যটা এখানেই বুঝতে পারল তিতাস। এখানে কলকারখানা নাই,পিচ রাস্তা নাই, যানবাহন নাই। কংক্রিটের ঘর বাড়িও তেমন নাই।চারদিকে জমি, নরম মাটি, গাছপালা, জলাভূমি নদী। ঘর বাড়িও ফাঁকা ফাঁকা। তাই এমন ঠান্ডা ঠান্ডা বাতাস। বাড়িতে হলে ছাদে উঠেও স্বস্তি পেত না।বাতাসের হলকায় শরীরে জ্বলন ধরে যেত।এখানে সেই জ্বালার ভাবটা নাই। বেশ আরাম বোধ হচ্ছে।

ছাদে ঠান্ডা ঠান্ডা ইমেজে রাঙা দিদুনের সঙ্গে তিতাসের গল্প বেশ জমে উঠেছে। মাঝে মাঝে হুক্কা হুয়া ডাকে গল্পে ছেদ পরছিল বটে, তবে ওই ডাকটা তার গা সহা হয়ে গিয়েছে। ডাকটা শুনতে না পেলেই যেন কেমন কেমন লাগে। রাতটাকে রাত বলে মনে হয়না। রাঙা দাদুদের গ্রামে রাত নামবে অথচ শিয়াল ডাকবে না, তা কেমন করে হয়।রাতচোরা না জাগলে রাত মানায় না  এখানে।শিয়ালের ডাক শুনে প্রথম রাতে একটু গা ছমছম করেছিল তিতাসের। গত রাতের অভিজ্ঞতার পর ভয়টা বিলকুল উবে গিয়েছে।

তিতাস নিজেকেই সব থেকে ভীতু ভাবত।কিন্তু গত রাতে শিয়ালটার দুর্দশা দেখে মনে হল সে একটু ভীতু বটে,কিন্তু শিয়ালটা যে তার থেকেও ভীতু। দাদুর তাড়ায় পুকুরের জলে লাফ দিয়ে নাকানিচুবানি খেয়ে কী দশাটাই না হল বেচারার! এবার যদি আসে, আর দাদুকে লাগবে না, সে একলাই তাড়াতে পারবে। কেবল একটা লাঠি চাই। ওটা হলেই হবে। এই শিয়াল তাড়ার কথাটাই বলতে যাচ্ছিল দিদুনকে। ঠিক তখনই চোখে পরল আলোটা! রাঙা দিদুনের এখানকার রাতগুলো এমনিতেই গম্ভীর। তার উপর লোডশেডিং থাকায় সেই গাম্ভীর্য আরও জেঁকে বসেছে। এখানকার অন্ধকারের রঙ এমন কালো যে আলকাতরাকেও লেপ্টে দেবে! সেই ঘুটঘুটে অন্ধকারে মিটমিটে চলন্ত আলোটা তিতাসের চোখে পরল।

তিতাসকে চুপ হয়ে যেতে রাঙা দিদুন একটু অবাক হলেন। যে মেয়ের মুখে অনর্গল কথার খই ফুটছে, সেই মেয়ে হঠাৎ চুপ কেন! রাঙা দিদুন নাড়া দিলেন -" কি হল দিদি ভাই, চুপ করে গেলে কেন?" তিতাস চলন্ত আলোটার দিকে এক দৃষ্টে তাকিয়ে ছিল। রাঙা দিদুনের ঠেলায় তিতাসের সম্বিৎ ফেরে।আলোটা দেখিয়ে জিজ্ঞাসা করে -

" ওটা কিসের আলো, দিদুন? ওদিকে তো রাস্তা নাই। রেললাইন আছে।রেল গাড়ির আলো এত মিটমিটে নয়। তাছাড়া রেলগাড়ি চললে তো শব্দ শোনা যেত।কিন্তু.. "

আলোটা দেখে রাঙা দিদুন প্রথমটায় গুম মেরে গেলেন। পরে কপালে হাত ঠেকিয়ে বললেন -"ও সব দেখতে নাই দিদি ভাই। শোন, তোমাকে লক্ষীপেঁচার গল্পটা বলি।সেই পেঁচাটা, যেটা দিনের বেলা এসেছিল আমাদের তুলসীতলায়। পাড়ার সব মেয়েরা যাকে সিঁদুর পরিয়েছিল.." পেঁচার গল্পটা আগেই শুনেছে দিদুনের কাছে। ওটা পরে শুনলেও চলবে। কিন্তু আলোটা!বিশেষ করে দিদুন যখন বলছেন ওসব দেখতে নাই। আবার কপালে হাতও ঠেকাচ্ছেন! তাহলে তো বিষয়টা জানতেই হবে! তিতাস নাছোড়বান্দা।

"ও দিদুন, ওটা দেখতে নাই কেন বললে? কপালে হাত দিয়ে প্রণাম করলে কেন?বল না দিদুন! বল না ওটা কি!" রাঙা দিদুনকে শেষ পর্যন্ত বলতেই হল।

"দিদি ভাই, বললাম না শুনতে নাই! ওসব শুনলে তোমার ভয় করবে! "

"ভয় কেন করবে! আমি তো তোমার কোলে! তাছাড়া ওই আলো আবার আমাকে কি ভয় খাওয়াবে! শিয়ালটাই যখন ভয়ে পালিয়ে গেল! "বলতে বলতে খিলখিল করে হেসে উঠলো তিতাস। রাঙা দিদুন চুপ করে গেলেন। এদিকে তিতাসের আর ধৈর্য ধরছে না। মুহুর্তকে তার যুগ বলে মনে হচ্ছে। " ও দিদুন, বল না!"

অবশেষে রাঙা দিদুন মুখ খুলতে বাধ্য হলেন -

" দিদি ভাই, ওটা আলো নয়! ওটা.. ওটা পরাভূত! "

ভূতের নাম শুনে তিতাসের শরীরটা কেমন শিউরে উঠল।রাঙা দিদুনের গলাটা ধরল শক্ত করে। পরক্ষণেই মনে হল পরাভূত! সে আবার কি!

"পয়া কি দিদুন? "

"আমাদের বাড়িতে বড় বড় মাটির জালা দেখছ না, ওগুলোকে পয়া বলে। ওর মধ্যে চাল,গম,সরসে,তিল এইসব ভরা থাকে। "

দিদুনের কথায় তিতাসের মনে পড়ে গেল সে এখানে অনেক গুলো বড় বড় মাটির জালা দেখেছে। কিন্তু ওগুলো তো মাটির পাত্র!মাটির জিনিস আবার ভূত হয় কেমন করে!

"ওদিদুন! মাটির জিনিস আবার ভূত কি করে হল?" মানুষ তো নয়! তাও আবার আলো ভূত! "

রাঙা দিদুন বার কয়েক ঢোক গিলে তিতাসের মাথায় হাত বোলাতে বোলাতে বললেন -

"সে অনেক কথা দিদি ভাই। অনেক অনেক দিন আগেকার কথা। তখন রেলপথও হয় নাই। আমাদের গ্রামটাও এখানে ছিল না। "

"তাহলে জানলে কি করে? "

"ওই লোকমুখে শুনেছি।আমি শুনেছি আমার দিদি শাশুড়ীর কাছে। আমার দিদি শাশুড়ী শুনেছে তার দিদি শাশুড়ীর কাছে। ওই আলোটা তুমি যেখানে দেখলে, সেখানে এখন রেলপথ হয়েছে। লোকে বলে অনেক অনেক বছর আগে ওখানে একটা গ্রাম ছিল। সেই গ্রামে একঘর বামুনের বাস ছিল। সেই বামনিই ওই পয়াভূত! "

তিতাস অবাক! বামনী মানে তো মানুষ। মানুষ মরলে ভূত হয়তো হতে পারে! কিন্তু পরাভূত কেমন করে হয়!

"সে সব এক দিন কাল গিয়েছে দিদি ভাই। তখন মানুষকে খুব উৎপাত সইতে হত! দস্যু লুঠেরার দল বারবার হানা দিত এই দেশে। পাঠান আসত,মুঘল আসত।বর্গীরা আসত।সব লুটপাট করে ঘরবাড়ি পুড়িয়ে ছাড় খার করে চলে যেত।ঘরের মেয়ে বউরাও রক্ষা পেত না! তাদেরকেও লুটে নিয়ে যেত! আসলে বাংলার মাটিতে তো চিরকালই সোনা ফলে! তাই বাংলার প্রতি অন্যদের লোভ চিরকেলে! পাঠান মুঘলেরা এখানে এসে স্থিতু হলেও, বর্গীরা আসত লুটপাট করতে। বারবার এসেছে।লুটপাট করেছে, ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে, তুলে নিয়ে গিয়েছে বউ ঝিদের!ওরা তো ঘোষণাই করেছিল- মারাঠা মারাঠিদের জন্য, গুজরাট গুজরাটিদের জন্য, পাঞ্জাব পাঞ্জাবীদের জন্য , আর বাংলা সবার জন্য! "

বর্গীদের কথায় তিতাসের একটা ছড়া মনে পড়ে গেল-

" ছেলে ঘুমাল পাড়া জুড়াল বর্গী এলো দেশে

বুলবুলিতে ধান খেয়েছে খাজনা দেব কিসে! "

তবে বর্গী কাদের বলে সেটা তিতাসের এখনো জানা হয় নাই। রাঙা দিদুন বলে দিলেন -

" এখন যাদের মারাঠি বলা হয়, ওরাই আসলে বর্গী!ওদের এক দলপতি ভাস্কর পণ্ডিত বাংলাদেশের উপর সব থেকে বেশি আক্রমণ চালিয়েছিলো। তখন বাংলার নবাব ছিল আলীবর্দি খাঁ!ওই সিরাজদৌল্লার দাদু।যে সিরাজ পলাশীর যুদ্ধে ইংরেজদের কাছে হেরেছিল। দেশটাও হয়েছিল পরাধীন!"

স্কুলে স্বাধীনতা দিবস পালনের অনুষ্ঠানে পলাশীর যুদ্ধ, সিরাজদৌল্লা এই সব কথা অনেক শুনেছে। রাঙা দিদুনের মুখে সেই সব কথা শুনতে বেশ ভালো লাগছিল।

"শোনা যায় ওই পয়াভূতের ঘটনাটা তখনই ঘটেছিল। দেশে বর্গী এলো পঙ্গপালের মতো। চারদিকে মারমার কাটকাট ব্যাপার সব! সবাই প্রাণ বাঁচাতে ব্যস্ত। কেউ লুকোচ্ছে খড়ের গাদায়, কেউ লুকোচ্ছে গোয়ালের মাঁচায়,কেউ উঠছে গাছে। বামনী আর লুকোনোর জায়গা পেল না! বামুনও ঘরে নাই। সে গিয়েছে ভিন গায়ে পুজো করতে। এদিকে বর্গীদের তাণ্ডবে গ্রামে তখন লঙ্কা কাণ্ড! সব ঘর জ্বলছে দাউ দাউ করে! চারদিক থেকে ভেসে আসছে কুরুক্ষেত্রের আর্তনাদ! ঘরে কেবল বামনী আর তার বুড়ী শাশুড়ী মা। সবে বিয়ে হয়েছে তখন। ছেলেপুলেও হয়নাই! বর্গীদের হাত থেকে বউকে কিভাবে বাঁচাবে খুঁজে পায়না বুড়ী।নিজের না হয় তিনকাল পেরিয়ে গিয়েছে,মরা বাঁচা সমান কথা! কিন্তু ঘরের বউকে তো পাষণ্ডদের হাতে তুলে দেওয়া যায় না! সাত পাঁচ ভেবে বুড়ী একটা উপায় বার করল।ঘরে বড় বড় দুটো পয়া ছিল। একটা পয়ার মুখটা বড় করে কেটে তার ভিতরে বউকে ঢুকিয়ে মুখে ভাঙা মুখটা বসিয়ে কাদা দিয়ে ওলোপ এঁটে দিল। বর্গীরা বানের জলের মতো ঘরে ঢুকল।বুড়ী ছিল দাওয়ায়।এক বর্গী তার বুকে মারল লাথি। বুড়ীর জীবনটা তো ওখানেই ছিল। লুঠেরার দল যা পেল লুটপাট করে নিয়ে চলে গেল। দোচালা মাটির ঘর বলে সেটায় আর আগুন দেয় নাই।ছেলে ঘরে ফিরে মায়ের মরা মুখ দেখল।বউকে কোথাও খুঁজে পেল না। ভাবল বর্গীরা তাকে তুলে নিয়ে গিয়েছে। গ্রাম তখন শ্মশান। মরা পোড়ানোর লোকও নাই। নদীর চরে সার সার চিতা।পোড়ানোর লোকের থেকে মরার সংখ্যা বেশি। বামুন তো মায়ের দেহ দাহ করে শ্মশান থেকেই বিবাগী হয়ে গেল! এদিকে পয়াবন্দী বউ দম আটকে পয়ার মধ্যেই মারা গেল। সেই থেকে রাতের আঁধার নামলে ওই বউ পয়ার মতো গড়াতে গড়াতে যায় আর আসে! "

তিতাস লক্ষ্য করেছে। আলোটা যে পথ ধরে গিয়েছিল, বেশ কিছুক্ষণ পরে সেই পথ ধরেই ফিরে গেল। কিন্তু একটা ব্যাপার বুঝতে পারল না। ভূতরা তো আগুনকে ভয় করে। তাহলে আগুনটা ভূত হল কিভাবে! ভূতের কথায় প্রথমে একটু গা ছমছম করলেও, ভূতের সঙ্গে আলোর মাখামাখিতে ভয়টা কৌতূহলে পরিণত হল!নিচে এসেই প্রথমে মাকে জিজ্ঞাসা করল। মা বললেন -" আমি ওসব কিছু বুঝিনা বাপু! কখনো তো দেখি নাই! তুমি দেখেছ,তুমিই বোঝো!"

তিতাস কিন্তু হাল ছাড়ল না।মনে পড়ল তুতুনের কথা। ব্যাপারটা তুতুনকে বলতে হবে! দু-জনে এক সঙ্গে আলোচনা করলে আলো ভূতের রহস্যটা আলোর মতো পরিস্কার হয়ে যাবে। তুতুন ছোট হলে কি হবে, মাথায় অনেক বুদ্ধি ধরে। তার একলা মাথায় কেমন গোল পাকিয়ে যাচ্ছে!

ভূতের ভাবনা মাথায় নিয়ে তিতাস বাড়ি ফিরে এলো। বাড়িতে বাবার কাছে তুলল কথাটা। বাবা বললেন -"আমি ওসবের কিছু বুঝি না। ভূত তো কখনো দেখি নাই। পয়াতেও নয়,আলোতেও নয়,শ্মশানেও নয়।জানব কেমন করে! তুমি দেখেছ, তুমি বোঝো!"

এদিকে ফিরে এসে তুতুনের আর দেখা পেল না। সে গিয়েছে দাদুর বাড়ি বেড়াতে। কোথায় কি সব মেলাটেলা হবে। এখন অপেক্ষা ছাড়া উপায় নাই। অন্য বন্ধুদের বলতে পারবে না পরাভূতের কথা। তারা যদি ক্ষ্যাপায়! আগে তুতুন ফিরুক, তারপর দেখা যাবে ভূত কিভাবে আগুন হয়!



Rate this content
Log in