মাস্টার মশাই
মাস্টার মশাই
অংশুমান আজ একজন অনেক বড় খ্যাতনামা লেখক । তার কলমের জাদু এমন ভাবেই পাঠক মহলে কে আলোকিত করেছিল । যে তার সুবাদেই আজ সাহিত্যে জগতের মধ্য গগনে অংশুমানের এই সাফল্যর ঘনঘটা । আজ এক মানে সবাই চেনে তাকে ।
আজ অংশুমানের কবিতা আর গল্পের পাঠক সংখ্যা গোটা ভারত জুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে। বই প্রেমীদের কাছে এখন সে হল এক অন্যতম আইডল। এই কিছু দিন আগে অংশুমানের নতুন উপন্যাস " হৃদয়ের অন্তরালে " বইটি দেজ প্রকাশনা থেকে প্রকাশ পেয়েছে। তার ১৫ দিনের মধ্যে সেই বইয়ের ৫ টি এডিশন হয়েছে ,
তাই আজ এই সফলতার উপলক্ষেই অংশুমান কে অনন্ত্রন জানানো হয়েছে দেজ পত্রিকার আয়োজিত অনুষ্ঠানে। যেখানে প্রধান অতিথি হিসাবে আজ আমন্ত্রণ পেয়েছে অংশুমান । কারণ অংশুমান সেই বইয়ের উপার্জিত টাকা ডোনেট করেছিল দেজ প্রকাশনার সাথে যুক্ত ট্রাস্ট গুলোতে । প্রতি বছরই পুজোর আগে যে বই প্রকাশিত হয় অংশুমানের তার সব টাকাটাই সে ডোনেট করে দেয় ছোট ছোট ছেলে মেয়েদের শিক্ষার জন্য । কোনো বছরই এর অন্যথা হতো না । এই বারেও পুজোর আগে আগস্ট মাসে প্রকাশিত হলো অংশুমানের নতুন বই " হৃদয়ের অন্তরালে " ।
যথারীতি সঠিক সময়ে অংশুমান সেই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত হয় । তার সাথে আরও বেশ কিছু অতিথি এবং প্রকাশনার সকল ট্রাস্ট গুলোর ছাত্র ছাত্রী ও তাদের কর্ণ ধাররাও উপস্থিত ছিল সেই অনুষ্ঠানের সভাগৃহে । আজই এই ট্রাস্ট গুলোতে দেজ পত্রিকার তরফ থেকে অংশুমানের প্রকাশিত বইয়ের লভ্যাংশের অর্থ তুলে দেওয়া এই ছাত্র ছাত্রীদের পড়াশোনার উন্নতির জন্য ।
আজকের এই অনুষ্ঠানের এই দিন টা ছিল আমাদের সবার প্রিয় শিক্ষক দিবস ; মনে ৫ ই সেপ্টেম্বর । অনুষ্ঠান শুরু হতেই সকল মান্য গণ্য অতিথিদের একে একে বরণ করা হয়। সেই ছোট ছোট ছাত্র ছাত্ররাই নিজের হাতে বরণ করে সেখানে উপস্থিত সকল অতিথি বৃন্দকে ।
এই অতিথি বরণের পালা শেষ হলে , আয়োজন করা হয় এক প্রশ্ন উত্তরের শিক্ষণীয় সভা । সেটা হলো এমন ধরনের । মঞ্চে উপস্থিত সকল অতিথিদের আলাদা আলাদা ভাবে এই ছোট ছোট ছাত্র ছাত্রীরা একাধিক প্রশ্ন করবে । আর ওনাদের সেই প্রশ্নের শিক্ষণীয় উত্তর দিতে হবে ।
আর বরণ করার পর সবাই কে কিছু বক্তিতা দেওয়ার জন্য বলা হয়। আর এই বক্তিতার পর সকল অতিথিকেই ওই ছোট ছাত্র ছাত্রীদের সাথে এক প্রশ্ন উত্তর পর্বের জন্য অনুরোধ করা হয়। যেখানে সেই ছাত্র ছাত্রীরা প্রত্যেক অতিথিদের কিছু প্রশ্ন করবে আর সেই প্রশ্নের শিক্ষণীয় উত্তর দেবেন অতিথিরা।
যেমন কথা তেমন কাজ , অনুষ্ঠানের সব থেকে প্রবীণ অতিথীকেই দিয়ে শুরু হলো প্রশ্ন উত্তরের শিক্ষণীয় সভা । একের পর এক অথিতি কেই পেরিয়ে যেতে হচ্ছিল সেই ছোট ছোট ছাত্র ছাত্রীদের করা নানা বিধ প্রশ্নের মোলা শিক্ষণীয় মোকাবিলা। আর সভায় উপস্থিত সবাই এই প্রশ্ন উত্তর পর্বটাকে উপভোগ ও করছিলো।
তারপর অংশুমান কেও অবশেষে সেই প্রশ্ন ধারার মুখে পড়তে হলো। কিন্তু অবাক করা বিষয় এটাই হলো । যে অংশুমান কে এক ছাত্রী এমন একটা প্রশ্ন করলো , তেমন প্রশ্ন কিন্তু অন্য কোনো অতিথিকে করা হয়নি। আর সব থেকে বড় কথা , সেখানে সব ছাত্র ছাত্রীরা সকল অতিথি কে একাধিক প্রশ্ন করলেও। এক ছাত্রী কিন্তু শুরু থেকেই সেখানে চুপ করে বসে ছিল। সে কোনো অতিথিকেই কোনো প্রশ্ন করেনি। অংশুমান ও বসে বসে সেটা লক্ষ করছিলো আর মনে মনে ভাবছিলো কেন ওই মেয়েটি একা চুপ করে বসে আছে। সেই মেয়েটির দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ হওয়ার আরও একটা বিশেষ কারণ হলো যে। ওই মেয়েটিও এক ভাবে অংশুমানের দিকে তাকিয়েই বসে ছিল । মনে হচ্ছিলো যেন ওই মেয়েটি অংশুমানকে কিছু বলতে চায় , যেন সে অংশুমান কে চেনে। এমনি ছিল তার নিষ্পাপ চোখের কোমল দৃষ্টি
যখন অংশুমান কে প্রশ্ন পর্বের জন্য তার হাতে মাইক দেওয়া হয়। তখন থেকেই যেন দূরে বসে থাকা সেই মেয়েটিও বেশ নড়ে চরে বসে। একে একে সব ছাত্র ছাত্রীরা যখন অংশুমানকে প্রশ্ন করা শুরু করে ; তখনও কিন্তু ওই মেয়েটি চুপ করে বসে থাকে সেই দৃষ্টিতে চেয়ে অংশুমানের দিকে । অংশুমান ভেবেছিলো যে ওই মেয়েটি হয়তো কোনো প্রশ্ন করবে তাকে। কিন্তু অংশুমানের প্রশ্ন উত্তর পর্ব শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও সেই মেয়েটি ওই ভাবেই নীরব দৃষ্টিতে তাকিয়েই রইলো অংশুমানের দিকে । তারপর যখন অনুষ্ঠানের সঞ্চালক সকল ছাত্র ছাত্রীকে উদ্যেশ্য করে প্রশ্ন করলেন ।
আর কেউ কি কোনো প্রশ্ন করবে ?
তখন সেই একা বসে থাকা মেয়েটি আস্তে আস্তে উপরের দিকে হাত তুললো ; বছর তরো কি চোদ্দ বয়স হবে তার । অংশুমান প্রায় চলেই যাচ্ছিল তার বসার জায়গায় । কিন্তু সেই মেয়েটিকে Jay তুলতে দেখে স্বআগ্রহে হাতের মাইকটা ভালো করে মুঠো করে ধরে অংশুমান । তারপর মধুর ও স্নেহ মাখানো কণ্ঠে সেই মেয়েটিকে উদ্যেশ্য করে বলে ।
বলো কি প্রশ্ন করতে চাও তুমি ?
পরক্ষনেই সবাই কে চমকে দিয়ে সেই মেয়েটি অংশুমান কে পর পর ৩ টি প্রশ্ন এক সাথে করে বসে।
প্রশ্ন গুলি হলো
আপনাকে কবিতা ও গল্প লিখতে অনুপ্রেরণা কে দিয়েছেন ?
আপনার এই সাফল্যের জন্য আপনি কাকে কার কাছে কৃতজ্ঞ ?
আপনার এই সাফল্যের জীবনের পথ চলার পথিকৃৎ কে ?
এমন ৩ টি প্রশ্ন শুনে অংশুমান সহ সেখানে উপস্থিত সকলেই বেশ অবাক হয়ে যায়। কারণ সব ছাত্র ছাত্রীরা এতক্ষন পর্যন্ত যে সব প্রশ্ন করেছে ; সে সব নিতান্তই সাধারণ প্রশ্ন । এমন ব্যাক্তিক্ত পূর্ণ ভাবে এই ধরণের প্রশ্ন কেও করেনি আগে। অংশুমান এই প্রশ্ন গুলি শুনে খুবই অবাক হলো। এই টুকু মেয়ের মুখে এই ধরনের প্রশ্নের আসা সে করেনি । অংশুমান সেই মেয়েটিকে উদ্যেশ্য করে বললো ; খুব গুরুত্ব পূর্ণ প্রশ্ন করেছো তুমি। সত্যি এই প্রশ্ন আজ পর্যন্ত আমাকে কেউ কোনো দিনও করেনি। আর আমিও বলার সুযোগ পাইনি যে আমার আজকের এই লেখক হয়ে ওঠার পিছনের গল্পটার কথা ; সেই মানুষটার কথা , যে মানুষটা না থাকলে হয়তো আমি আজ এই জায়গায় আসতে পারতাম না । যার অনুপ্রেরণায় আজ আমার এতো দূর পথ চলা, সেই মানুষটার কথা সবার জানা দরকার।
তারপর ওই প্রশ্ন গুলির উত্তর দিতে গিয়ে কিছু ক্ষনের জন্য যেন অতীতের কোনো এক দিনে হারিয়ে যায় অংশুমান। চকিতে চোখ খুলে অংশুমান দেখে যে সেই মেয়েটি উঠে একটু কাছে চলে এসেছে। আর মেয়েটি অংশুমানের দিকে ঠিক সেই দৃষ্টিতে তাকিয়ে বলে ওঠে " কই বলুন "। অংশুমান বুঝতে পারলনা কেনই বা ওই মেয়েটি এই প্রশ্ন গুলো করলো তাকে ।
আর কিসের ই বা এত আগ্রহ তার এই প্রশ্নের উত্তর গুলো জানার।
সাতপাঁচ না ভেবে ; অংশুমান বলতে শুরু করে ।
তখন আমি হরিদেবপুর প্রাইমারি স্কুলে পড়তাম ; আজ থেকে প্রায় কুড়ি বছর আগের কথা। সেখানে একদিন অংক পরীক্ষার দিন আমার সব অংক তাড়াতাড়ি কষা হয়ে যাওয়ার জন্য আমি বসে বসে প্রশ্ন পত্রের পিছনের দিকে একটা কবিতা লিখছিলাম । আমি কবিতা লিখতে ভালোবাসতাম খুব। ঠিক সেই সময় ওই পরীক্ষার রুমে গার্ড ছিলেন বাংলার শিক্ষক মশাই অনিল বাবু। আমি বসে আছি দেখে তিনি আমার কাছে আসেন । আর আমাকে প্রশ্ন পত্রের পিছনে কিছু লিখছি দেখে ; আমার কাছে এসে আমাকে গম্ভীর গলায় প্রশ্ন করে উনি জানতে চান যে আমি প্রশ্ন পত্রের পিছনে কি লিখছি । আমি ভয়ে চুপ থাকি , কারণ অনিল বাবু খুব রাগী ও গম্ভীর মানুষ ছিলেন সব ছাত্র ছাত্রীরা ই ওনাকে ভয় পেয়ে চলতো।আমি চুপ করে আছি দেখে অনিল বাবু আমার হাত থেকে প্রশ্ন পত্রটা নিয়ে উল্টে দেখেন। সেখানে আমার লেখা কবিতা দেখতে পান এবং সেটা পড়েন । আমি তখন ভয়ে আড়ষ্ট হয়ে গেছি এই বুঝি কপালে মার্ জুটলো বলে। অনিল বাবু কবিতাটা পড়ে আমার মুখের দিকে গম্ভীর ভাবে তাকিয়ে বলেন ।
এই কবিতা টা তুমি লিখেছো ?
আমি ভয়ে ভয়ে বললাম হ্যাঁ। উনি জানতে
চাইলো কোথায় পড়েছো এই কবিতা ?
আমি বলি কোথাও পড়িনি আমি নিজে লিখেছি মন থেকে। এই কথা শুনে অনিল বাবু একটু
ভুরু কুঁচকে বললেন তুমি নিজে লিখেছো , টাও আবার মন থেকে । আমি ভয় জড়ানো গলায় আবার বললাম হ্যাঁ। তখন অনিল বাবু হাসি মুখে আমাকে বললেন । বাহ্ খুব ভালো হয়েছে বেশ সুন্দর কবিতা লেখো তো তুমি। কিন্তু পরীক্ষার সময় কবিতা লিখছো কেন পরীক্ষার উত্তর কে লিখবে তাহলে। আমি বলি স্যার আমার সব অংক কষা হয়ে গেছে। অনিল বাবু আমার খাতাটা নিয়ে দেখেন আমি সত্যি কথা বলছি কিনা।তারপর আমাকে অনিল বাবু বললেন আরও কবিতা আছে নাকি তোমার নিজের লেখা। আমি বললাম হ্যাঁ। তারপর অনিল বাবু বললেন কাল নিয়ে আসবে তো আমি পড়ব তোমার কবিতা। আর বললেন তোমার এই প্রশ্ন পত্রের কবিতা খানা আমি আমার কাছে রাখলাম ; এই বলে মুচকি হাসলেন উনি ।
তারপর থেকে অনিল বাবু আমার সাথে আলাদা ভাবে লাইব্রেরি তে সময় কাটাতেন , নানা বই পড়তে দিতেন আমাকে। আমি কোনো নতুন কবিতা লিখলে সেটা সবাই কে পড়ে শোনাতেন। স্কুল ম্যাগাজিনে কবিতা ও গল্প লেখার জন্য আমাকে উৎসাহিত করতেন। আমাকে উনি বলতেন " ঈশ্বর তোমাকে ক্ষমতা দিয়েছে বাবা একে কখনো নষ্ট হতে দিও না " তুমি লিখে যায় মন দিয়ে।
তারপর একদিন অনিল বাবুর ট্র্যান্সফার হয়ে যায় কোনো এক অন্য শহরে। তারপর থেকে আর দেখা হয়নি ওনার সাথে। শুধু একটাই কথা আজও মনে রেখেছি ওনার " ঈশ্বর তোমাকে ক্ষমতা দিয়েছে বাবা একে তুমি কখনো নষ্ট হতে দিওনা "।
এই কথা শেষ করে অংশুমান বলে সেই মেয়েটিকে , আমার এই লেখক হয়ে ওঠার পিছনে আমার অনুপ্রেরণা আমার শক্তি হলো আমার বাংলা শিক্ষক অনিল বাবু। আমি জানিনা আজ উনি কোথায় আছেন কেমন আছেন। কিন্তু আজও আমি ওনাকে খুব ভালোবাসি। আর এই ভেবে খুব কষ্ট পাই যে ওনার বলা কথা যে আমি রেখেছি সেটা আমি ওনার সামনে দাঁড়িয়ে বলতে পারলাম না। আজ এই কুড়ি বছরে একটাও শিক্ষক দিবসে আমি অনেক প্রণাম করতে পারলাম না । এই বলে স্টেজের উপরেই বসে পরে অংশুমান আর তার চোখে থেকে জল ঝরে পরে ভূমিতে।
তখন সেই ছোট মেয়েটি অংশুমানের কাছে গিয়ে তার চোখের জল মুছিয়ে দিয়ে বলে । আপনি আপনার সেই মাস্টার মশাই কে যে আজও মনে রেখেছেন এতো শ্রদ্ধা করেন এই কথা জেনে আপনার মাস্টার মশাইও খুব আনন্দ পাবেন। হয়তো উনিও আপনার মতোই কেঁদে ফেলবে আপনাকে দেখে। তারপর ওই মেয়েটি বলে আপনি কি আপনার সেই মাস্টার মশাইয়ের সাথে দেখা করতে চান। অংশুমান জল ভরা চোখে সেই ছোটো মেয়েটির দিকেশিশুদের মতো বলে ওঠে অংশুমান ।
তুমি জানো উনি কোথায় থাকেন ?
তুমি অনেক চেনো ?
মেয়েটি বলে হ্যাঁ আমি ওনাকে চিনি। কারণ ওনার মুখেই আপনার অনেক প্রশংসা আর আপনার কবিতা ও গল্প শুনেই বড়ো হয়েছি আমি। উনি আপনাকে অনেক ভালোবাসেন , আপনার লেখা এমন কোনো বই নেই যেটা উনি পড়েননি। তারপর মেয়েটি অংশুমানের হাতে একটা কাগজ দেয় । অংশুমান কাজগটা হাতে নিয়ে খুলে দেখে যে সেটা একটা পুরোনো অংকের প্রশ্ন পত্র । বেশ পুরোনো সেই প্রশ্ন পত্রটা। কি মন হতে অংশুমান সেই প্রশ্ন পত্রটার উল্টো দিকে চেয়ে দেখে এক পলকে অবাক হয়ে যায়। চোখ দিয়ে তার ঝরে পরে অশ্রু ধারা । কারণ এই হলো অংশুমানের সেই প্রশ্ন পত্র ; যার পিছনে আজ থেকে কুড়ি বছর আগে ছোট বেলার পরীক্ষার রুমে বসে নিজের হাতে লিখে ছিল কবিতা । এই সেই প্রশ্ন পত্র যা হাতে নিয়েঅনিল বাবু বলেছিলেন যে এই প্রশ্ন পত্র আমি আমার কাছে রাখলাম।
বুকের ভিতরটা কেমন যেন করে ওঠে অংশুমানের । সেটা কেউ কে বোঝানোর মতো নয়। সেই মেয়েটিকে সস্নেহে কাছে টেনে নিয়ে অংশুমান বলে।
তুমি আমাকে ওনার কাছে নিয়ে যেতে পারবে ?
তখন মেয়েটি শান্ত গলায় বলে দেরি হয়ে গেছে অনেক। এক বছর আগে উনি মারা গেছেন। তবে উনি আপনাকে নিয়ে অনেক গর্ব করতেন। আপনিও যে ওনাকে মনে রেখেছেন , ওনার অনুপ্রেরণার মর্যাদা দিয়েছেন এই দেখেই উনি অনেক শান্তি পাবেন পরলোক থেকে। আমারও জানার খুব ইচ্ছা ছিল। এই যে উনি আপনাকে এতো ভালোবাসতেন এতো স্নেহ করতেন। আপনিও কি ওনাকে মনে রেখেছেন। তাই আজ আপনাকে এই প্রশ্ন গুলো করেছিলাম আমি।
মেয়েটির কথা গুলো শুনে অংশুমান অঝোর ধারায় কেঁদে উঠে আকাশের দিকে তাকিয়ে বলে ওঠে । মাস্টার মশাই আমি কোনো দিনোও আপনাকে ভুলিনি আর কোনো দিনো ভুলতেও পারবো না। আপনি না থাকলে আমি আজ এই জায়গায় পৌঁছতে পারতাম না। আজ এই শিক্ষক দিবসের দিনে আপনার কাছে সযত্নে রাখা এই প্রশ্ন পত্র আমার জীবনের সব থেকে বড় পাওনা সব থেকে বড় পুরস্কার সব থেকে বড় সম্পদ রয়ে যাবে সারাটা জীবন।
