যন্ত্রণা
যন্ত্রণা


যন্ত্রণা বলে কিছু নেই, শুধু ভয়
নৌকার ক্ষত আঁকা থাকে পাটাতনে,
তাকেও মৃত্যু ভাবা হচ্ছে না আর
লড়াই শুধুই সতীত্ব অর্পণে।
ছাদের গায়েই বাড়ছে বটের চারা
আওয়াজ আসছে তার শৈশব থেকে,
তারাও কখনো শরশয্যায় শোয়
ইচ্ছা-মৃত্যু আসে বৈভব মেখে।
রয়ে যায় যত অন্ধকারের ভয়
ডাকছেও তারা অমরত্বের পাপে,
প্রতি জন্মেই অন্ধপোকার মত
মৃত্যু বাছতো আলোকিত মণ্ডপে।
শেষ পরবেই মহাকাব্যের ঢঙে
বাসি যন্ত্রণা আসতো যখন ফিরে,
ঘরেও তখন রাত্রিবাসের ভয়
লেখা হত শুধু কাব্য শরীর জুড়ে।
অসংলগ্ন উপত্যকায় হেঁটে
কেউ খুঁজে পায় সশস্ত্র পরোয়ানা,
কাঁটা ছুঁয়ে তোলা বিপরীত সংযমে
মৃত্যুই আনে নাগরিক যন্ত্রণা।