তুমিই অদ্বিতীয়া
তুমিই অদ্বিতীয়া


পাড়ার ওই রায়বাবু কাজ করে বিদেশে
অর্থের দম্ভেতে পারেনি কেউ তাকে ছুঁতে।
ছেলেটা তার মোটে ছয়, বুদ্ধি আছে বেশ,
বাঁশি বাজায় মিষ্টি সুরে, বাংলা বলে বেশ।
কিন্তু তার বাবা তাকে, শেখায় বেশি ইংরেজি,
বাংলা বললে সম্মান নাকি থাকবে না তার বেশি।
তাইতো ছেলেকে ভর্তি করে ইংরিজি ইস্কুলে,
কিন্তু ছেলেটা বাংলা ছেড়ে যাবে না ঐ দলে।
থাকতে থাকতে কাটে সময়, বয়স সাতাশ হলে
কোম্পানির মালিক এখন, " স্যার " বলে সকলে।
এখন সে প্রায় ভুলেই গেছে বাংলা ভাষার কথা,
মনে পড়ে না গ্রামের নদী, শৈশব হারিয়ে যেথা।
বাবা মা নামটা ব্যাকডেটেড, হলো যে মম্ ড্যাড,
জীবন থেকে হারিয়ে গেলো বাংলা ভাষার শেড।
মাটির কাছের বাংলা ভাষা হারিয়ে গেলো বলে
ছেলে যে তাদের স্মার্ট হয়েছে গর্ব করে বলে।
একদিন মায়ের অসুখ ভীষণ, সময় নেই যে ছেলের
আসবে না বাড়ি- ব্যস্ত কাজে, বলে দেয় ফোন করে।
অবশেষে মা ভর্তি হয় গ্রামের হাসপাতালে
সারা দিনরাত সেবা করে যায় গ্রামের মা মরা ছেলে।
জানেনা সে ইংরেজি, গান করে বাংলায় ভালো
গান গেয়ে ইস্কুলে সে অনেক মেডেল পেলো।
ইংরেজি শিখে মডার্ন হলেও মানুষ কি সবাই হয়?
তার চেয়ে তো বাংলা ভালো ভালোবাসতে শেখায়।
শুধু বাংলা জানি, গর্ব এটাই অন্য ভাষার চেয়ে
শাড়িতেই মা যে দেখতে ভালো জিন্স স্কার্ট এর চেয়ে।