রূপকথার ছোটগল্প
রূপকথার ছোটগল্প
এক যে ছিল রাজকন্যা, তির-ধনুকের ঝোঁক,
ছোট্ট থেকেই দাপিয়ে বেড়ায়, নয় কো ডরপোক!
বনেবাদাড়ে ঘুরে বেড়ায় ঘোড়ার পিঠে চড়ে,
নানান রাজার ছেলেরা এসে বিয়ের কথা পাড়ে।
যুদ্ধবাজির প্রতিযোগিতা জিতলে তবে পাবে
রাজকন্যার বরমালা, নয়তো ফিরতে হবে।
গতানুগতিক শর্ত এই, যদিও কন্যা নারাজ
বিয়ে করতে, ঘর বাঁধতে; সে তো তিরন্দাজ!
তির ধনুকের প্রতিযোগিতা, রাজপুত্ররা যায়,
সকলেরই তির নিশানা ছেড়ে এদিক ওদিক ধায়।
রাজকন্যা হঠাৎ বলে, আমিও রাজার সন্তান,
এই খেলাতে আমারও তাই সুযোগ পাওয়ার বিধান।
তারপরে এসে ধনুক হাতে গুন টেনে ছাড়ে তির,
নিশানা পুরো সঠিক লাগে, সবার চক্ষুস্থির!
অপমান আর লজ্জা পেয়ে রাজারা ক্ষেপে লাল,
সবাই মিলে একজোট হয়ে যুদ্ধ শুরুর তাল!
রাজকন্যা উঠে দাঁড়িয়ে ভীষণ গলায় বলে,
তার পিতা এক একসময়ে সবার সঙ্গ দিলে
বিপদ আপদ নানান কালে বন্ধু হিসেবে ছিল,
আজ তবে কেন আর সকলে ইতিহাস ভুলে গেল?
রাজপুত্ররা গর্জন করে দিয়ে ওঠে হাততালি,
ধন্য এই রাজকন্যা, শত্রুতা খালি খালি!
সেদিন থেকে নতুন প্রথার সূচনা হলো দেশে,
বিয়েটা যে যার ইচ্ছে মতো করবে ভালোবেসে।
কেউ চাইলে বিয়ে না করে থাকতে পারে একা,
সেনার পুত্র কন্যা আবার পেতে পারে রাজটিকা।
গল্প শেষে বলি তোমাদের, হও গো কর্মবীর,
ইচ্ছামত নিশানে গিয়ে লাগবে জীবন-তির।
