পঁচিশে বৈশাখ
পঁচিশে বৈশাখ


পঁচিশে বৈশাখ কেবল একটি দিন নয়,
এ এক জাতির জাগরিত প্রাণস্পন্দন,
আকাশে উদিত হলেন রবি,
বাঙালীর সংস্কৃতির হৃদনন্দন।
এ কেবল শুধু নিদাঘের এক দিন নয়,
এ দিন বাঙালীকে দিল চিন্তার নতুন প্রেরণা-
সংস্কৃতির নতুন চেতনা।
রবির আলোকে উদ্ভাসিত হল বিশ্বসাহিত্য,
এক এক করে রবিরশ্মিমালা থেকে বিচ্ছুরিত হল
বলাকা,ক্ষণিকা,কথা ও কলি-
এল সহজ পাঠ,গীতাঞ্জলি প্রমাণ করল বঙ্গসাহিত্যের শ্রেষ্ঠত্ব।
পঁচিশে বৈশাখ কেবল একটি দিন নয়,
এ দিনের পর বাঙালী পেল সোনার তরী,
আহা,সেই লয়,সেই ছন্দ,সেই বর্ণনা-আজও ভুলতে কি পারি!
পুরাণেও যে বর্ণনা পাওয়া যায় না- সেই আলোকে উদ্ভাসিত হলেন অপ্সরা উর্বশী,
পরাভূত হলেন কামদেব,বিজয়িনী পরিণত হল সাহিত্যজগতের শশী।
আজও কোনো শ্যামবর্ণা সুন্দরীকে দেখলে মনে পড়ে-'কৃষ্ণকলি,আমি তারেই বলি',
আজও পাহাড়ে গেলে মনে ফুটে ওঠে শেষের কবিতার অমিত আর লাবণ্যের অমর প্রেমকাহিনী,
পঁচিশে বৈশাখ দিনটিই তুলল জাগিয়ে প্রতি ভারতবাসীর চেতনায়
'জনগণমন অধিনায়ক'-এর শাশ্বত বাণী।
রবির উজ্জ্বল সোনালী কিরণে বিশ্বসাহিত্যে ভারত পেল শ্রেষ্ঠত্বের আসন,
তাই ওগো প্রাণের বিশ্বকবি আজ তোমাকে করি বরণ।।