মাতৃশক্তি
মাতৃশক্তি
*মাতৃশক্তি*
*" ইয়া দেবী সর্বভূতেষু শক্তিরূপেন সংস্থিতা নমস্তস্যৈ নমস্তস্যৈ নমস্তস্যৈ নমো নমঃ ।"*
*
*"যে দেবী সর্ব প্রাণীতে মাতৃ রূপে অবস্থিতা , তাহাকে নমস্কার, নমস্কার ,নমস্কার ।"*
মা , কোথায় ছিলে মোর হৃদয় অন্দরমহলে লুকিয়ে
খুঁজে পাইনি কেন তোমায় শত বর্ষ আগে ,
লুকিয়ে রেখেছিল আমায় জঠরে সুপ্ত উষ্ণতায় ,
করেছো লড়াই প্রাণপন
পৃথিবীর আলোয় আমায় স্নান করবে বলে ।
তোমার মুখের সেই হাসিটা ছিল সূর্যের ক্ষীণ আলোর মত
যখন প্রথম বার গলা খুলে কেঁদেছিলাম আমি ।
মা তোমার কেন খিদে পাইনি কোনোদিন যেদিন থেকে শিখেছি নিজের হাতে খেতে ।
মা কেন তোমার ঘুম আর গভীর নয় যেদিন থেকে বুঝেছি রাত কি ।
মা তবে কি আমি তোমার কষ্ট , যেমন টা কষ্ট সেই চাষীটার ,
যখন ক্ষেত শুধুই পুড়ে হয় শেষ ভানুর আগুনে ...
মা আমি সুখে , দুঃখে তোমার চোখে জল দেখি , তবে কি আমি তোমার হাসি কারণ নই মা ।
মা তেত্রিশ কোটি দেবীর মাঝে তোমাকেই ডেকেছি প্রথম মা বলে
তোমার দেখানো পথে এগিয়েছি গুটি গুটি পায়ে
তোমার চোখ রাঙানিতে ফিরে এসেছি ভুল পথ দিয়ে ।
জানিনা কি মহত্ব আছে তোমার মধ্যে , এক নিমেষে ঘর কে করে দাও ফাঁকা ,
আবার গুচিয়েও রাখো জিনিসের জায়গায় জিনিস ।
তরকারিতে নুন কম হলেও সেটা সুস্বাদু , যদি সেটা তুমি খাইয়ে দাও মেখে ।
এটা দুর্গা মা , ওটা মা কালী, ওটা মা লক্ষী
শিখিয়েছো মন্দিরে গিয়ে , শিখিয়েছো প্রদীপ দিতে তুলসী মঞ্চে ।
মা কিন্তু তুমি তো একবারও শেখাওনি যে তুমিই আমার মা , আমার সব টুকু ।
মা কখনো তো জাহির করনি তোমার কি অপরূপ শক্তি ।
একা হাতে সমলেছ সংসার , সন্তান , পুজো আর্চা আর ঐতিহ্য ।
মা তুমি কখন ক্লান্ত হও
কখন আসে তোমার ঘুম
কোন ওষুধে সারাও তোমার পীড়া
কালবৈশাখী ঝড়ের মত এদিক ওদিক ঘোরা ওই অশান্ত তুমিটা
কিভাবে হলে ভোরের কুয়াশার মত শান্ত ।
মা সব সম্পর্কের বৈশিষ্ট্য আলাদা আলাদা
মায়ের কেন হয়না কোনো তুলনা
হয়না কেন বিভিন্নতা
মা শব্দের কেন এত প্রকান্ড অর্থ ।
কি মূর্খের পরিচয় দিচ্ছি আমি
মা কে করতে চাই কয়েক লাইনের কবিতায় আবদ্ধ ।
যে মা আগলে আগলে করেছে আমায় বাধ্য ।
তোমার ব্যক্তিত্বের হয়না কোনো ব্যাখ্যা ।
তোমার রূপে গুনে তুমি একাই তেত্রিশ কোটির সমতুল্য ।
