হে অসুরদলনী
হে অসুরদলনী


প্রতি শরতেই কাশফুল হাতে নিয়ে,
বসে থাকত ছোট্ট মেয়েটি দীঘির পাড়ে।
তাকে দেখে দীঘিতে ফুটে থাকা পদ্মগুলো
যেন মাথা নেড়ে আনন্দে দুলে উঠত।
নীলাকাশে উড়তে থাকা পেঁজা তুলোর মত
সাদা মেঘ, তাদের হাসির ছাপ রেখে যেত
দীঘির জলে...
মেয়েটার উপচে পড়া খুশি যেন তার সুডোল মুখের আদুরে গাল বেয়ে চুঁইয়ে পড়ত,
মিশে যেতে চারিদিকে...
একদিন শুধোলাম তারে,
ও মেয়ে কিসের এত খুশি তোর?
জানো না বুঝি ,মা আসছে যে,আজ তো
মায়ের চক্ষুদান।বলেই মুচকি হেসে ছুটতো সে।
এই শরতে একদিন দেখেছিলাম তাকে,
বিষন্ন মুখ, হাতে কাশফুল, পা দোলাচ্ছিল দীঘির জলে,
তার বিষাদের ছায়া দীঘির জলে পড়ে,
ঢেউগুলো যেন সমবেদনা জানিয়ে যাচ্ছিল ছলাৎ ছলাৎ শব্দে...
শুধোলাম, কি রে মুখ ভার?
থমথমে মুখে বললে সে, কি করে হাসব বলো?
করোনাসুর যে আমার বাপটাকে মেরে ফেললে,
কে করবে এখন মায়ের চক্ষুদান?
তার ফেলে যাওয়া শুনশান, বিবর্ণ পথের দিকে চেয়ে রইলাম,
মনে মনে বললাম,
অসুর নিধন করো হে অসুরদলনী...