গৃহ মানে গণ্ডি নয়
গৃহ মানে গণ্ডি নয়


গৃহ মানে গণ্ডি নয়
গৃহ মানে স্মৃতি
যার নেই তার সিঁড়ি আছে
আরোহণের গল্প আছে।
দোহাই তোমার
গল্পে কোনো দরজা রেখো না,
দরজা তো সকলের থাকে না
অপেক্ষা থাকে
থাকে দেয়ালঘড়ির কলকাঠি।
বিধাতার আঙুল ধরে ধরে যেকটা মোক্তারনামা লেখা হয়েছিল
তাদেরই দলিলে দেখ অলিখিত নিয়মের পাঁচালি,
মাথা সংক্রান্ত জ্যামিতিতে ঈষৎ চুম্বনের রেখা
লাল পিঁপড়ের ঘরে ফেরার ধ্বনিতে ভ্রমরের গুনগুন।
আমি তো কাঁটাতারের বেড়া দিইনি কোথাও,
তবু কেন সীমানার রদবদল!
ক্ষুৎকাতর আঙুলে এখনো রক্তপাত।
সুস্থির বিছানায় এখনো জড়িয়ে আছে তৃষ্ণার ধ্বনি
শীৎকারে মাপতে গেলে
আলাদিনও সলতে খোঁজে প্রদীপ জ্বালাতে।
দরজার ওপাশে প্রতিবন্ধী অন্ধকার
অপেক্ষার অভ্যাসে সাঁকো খোঁজে
গরাদেরা স্পষ্ট হলে জেনো
নদীও একা হতে জানে।
নদীর গায়ে ঝুলে থাকা প্রাচীন বদ্বীপেরা
নাতিদীর্ঘ সন্ধ্যার কাহিনী লিখে গেলে
আমি একটা সমাপ্তিরেখা টানি
নদীসঙ্গমে।
এই যে সঙ্গমীত শরীর আর তার অন্তর্গত আনন্দভবন
পাশাপাশি অবস্থানের অনিশ্চয়তা আজও দখল করে আছে
আমি আর আমার ভেতর আলোখোঁজা দরজা।
দরজারা নিহত হলে যাওয়ারা স্বপ্ন দেখে
স্মৃতিজটে ঝুলে থাকে
ফেরার নির্দেশ।।