Ananya Podder

Children Stories Inspirational Others

3  

Ananya Podder

Children Stories Inspirational Others

তুমি ছিলে তাই #"Thankyou Teacher "

তুমি ছিলে তাই #"Thankyou Teacher "

8 mins
303


স্কুলে হৈ হৈ পড়ে গিয়েছে | টিচার্স স্টাফ রুমে দিদিমণিদের মধ্যে নানা রকমের আলোচনা | ওইটুকু সব মেয়ে, এত্ত সাহস !!! কী কান্ড বলো !!! এই বয়সেই এত..... বাকি জীবনটা তো পড়েই আছে |

টিচার্স রুমে দুই আসামিকে ডাকা হলো, দুর্গা আর কনক | দুর্গার ক্লাস ফাইভে এটা দ্বিতীয় বছর | বয়সের তুলনায় নিচু ক্লাসে পড়ে | পিছন সারির মেয়ে, কিন্তু বদ বুদ্ধিতে একেবারে ষোলো আনা পটু | কিন্তু, কনক !!! অর্পিতাদি বলে উঠলেন, " তুই, এটা কী করলি কনক?? ক্লাসের ভালো ছাত্রীদের মধ্যে একজন তুই | তাহলে, এমন ভুল তুই করলি কী করে?? "

পাশ থেকে উমাদি বলে উঠলেন, " এই মেয়েটা, তুই প্রতিভার মেয়ে না?? ... ছিঃ, ছিঃ, কী মায়ের কী মেয়ে?? "


কনক যেন দাঁড়িয়ে থাকতে পারছিলো না | পাশের ছেলেদের স্কুলে কনকের বাবার কাছে খবর গেছে, মেয়ের কীর্তিকলাপের | কনকের মনে হচ্ছে, যা শাস্তি দেবার দাও, দিয়ে ছাড়ো, পালাই এবার |


তো কনকের অপরাধ কী?? না, গত শুক্রবার যে প্রকৃতি বিজ্ঞানের উইকলি পরীক্ষা ছিল, সেটা কনকের মনেই ছিল না | অর্পিতাদি ক্লাসে ঢুকে পরীক্ষার খাতা বিলোতে আরম্ভ করলে কনকের টনক নড়ে | আজ পরীক্ষায় নির্ঘাত ফেল | পরীক্ষার প্রশ্ন পেয়ে দুটো প্রশ্নের উত্তর কোনোমতে লিখেছে, এমন সময় চোখ যায় পাশে বসা দুর্গার দিকে | ব্যাগ থেকে বইয়ের পাতাটা খুলে চুপি চুপি লিখে যাচ্ছে | দুর্গার চোখ এড়ালো না, যে, দুর্গার টুকলি করাটা কনকের নজরে এসছে | সে একটা হাসি দিয়ে বলল, " দিদিমনিকে বলে দিস না যেন | "


কনক ভয় পায় | যদি কেউ দেখে ফেলে !! " তুই যে এসব করছিস, তোর ভয় করে না?? "

"ধুস !!! ভয় কিরে?? এসব করেই তো আমাদের মতো ছাত্রীরা পাশ করে | তোদের মতো তো আর আমরা ভালো ছাত্রী নই |" কথা কটা বলেই দুর্গা আবার টুকলিতে মন দেয় |


কনক কিছুতেই আর পরীক্ষায় মন বসাতে পারে না | ভাবে, দুর্গা যদি এমন ভাবে পাশ করে যায়, তবে কনক এমন কাজ করলে ক্ষতি কোথায়?? একটাই চার নম্বরের উত্তর দেখবে সে | বাকিগুলি নিজের ভাষায় দিয়ে দেবে ক্ষণ | বারো নম্বরের পরীক্ষা | নয়, দশের কম পেলে মা আর রক্ষা রাখবে না | তার চেয়ে যদি একটু বইটা দেখে নেওয়া যায়, তাহলেই তো আর কোনো অসুবিধা নেই | কিন্তু ব্যাগ থেকে বই বার করতে কনকের ভয় হয় | কোনোদিন তো এমন কাজ সে করেনি !! তাই ভয়ে ভয়ে দুর্গাকে সে বলে উঠলো, " আমায় একটু বইটা দেখাবি?? "

" সে কিরে !!! তুইও?? "....

" তা নে বই, আজ আমাদের দলে তুইও আয় | "

" আমি একটা প্রশ্নের উত্তরই দেখবো | বাকিগুলি আমি এমনিই পারবো |"

" তাহলে, যেটা তুই লিখবি, আমি তোরটা দেখে টুকলি মারবো | বুঝেছিস?? "


কনক সম্মতি দিয়ে বইয়ের থেকে উত্তরটা ভালো করে পড়ে নিলো | তারপরে নিজের ভাষায় উত্তর লিখল | দুর্গা এন্ট্রি পাশ পেয়ে গেল | গোটা পরীক্ষায় বাকি সব কটা উত্তর কনকের খাতা দেখে মেরে দিলো |


এই যে অধীর বাবু, আসুন, আসুন | দেখেছেন কী কান্ড করেছে আপনার মেয়ে | কনকের সম্বিৎ ফেরে পূবালিদির এমন বাক্যবানে | চেয়ে দেখে, বাবা পাশে দাঁড়িয়ে | বকুলদি চেয়ারটা এগিয়ে দিয়ে বাবাকে বললেন, " বসুন |" কনক অপরাধীর কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে, বিচার চলছে |


অর্পিতাদি বলতে থাকেন, " আমি কনক আর দুর্গার খাতায় লেখাতে মিল পাই | দুর্গাকে চেপে ধরি | প্রশ্ন করি, কেন কনকেরটা দেখে লিখেছে?? ... তখনই দুর্গা জানায়, যে, কনক বই দেখে টুকলি করেছে ; আর দুর্গা, কনকেরটা দেখে |"


" জানেন অধীর বাবু, আমি কিন্তু এত টুকুও বিশ্বাস করিনি ওই মেয়েটার কথা | ওই মেয়েটা যার সম্পর্কে বলছে, সে যে আমার ক্লাসের সেরা ছাত্রীদের একজন | কনক যদি নিজে স্বীকার না করতো, তাহলে আমি কোনোদিনই বিশ্বাস করতাম না | "


স্টাফ রুমের আরও সব দিদিমনিরা এক একজন এক একরকম কথা বলে চলেছে | কনকের ওর বাবার জন্য খুব কষ্ট হচ্ছিলো | বাবা একাধারে পাশের ছেলেদের স্কুলের ইংরাজীর শিক্ষক, আবার এই মেয়েদের স্কুলের স্কুল কমিটির সেক্রেটারি | কোনো দিদিমনির আলোচনাই কনকের কানে ঢুকছিল না | এমন সময় জয়াদির একটা কথা কনকের গালে সপাটে চড় বসায় | মায়ের কাছে কনক শুনেছে, মায়ের ছাত্রী জীবনে জয়াদির প্রচুর অবদান আছে | জয়াদি প্রথমে আলোচনা সভায় ছিলেন না, ক্লাস টেনের বাংলা ক্লাস নিচ্ছিলেন | ঘটনাস্থলে এসে সব শুনে শুধু বললেন, " এমা !! তুমি বিদ্যা চুরি করো?? এ বাবা !! তুমি তো তাহলে চোর হলে | একটা চোর আর তোমার মধ্যে তো কোনো পার্থক্যই রইল না | একেবারে মা সরস্বতীর ঘরে চুরি !!!!"

কথাটা যেন সশব্দে কনককে ঝাঁকিয়ে দিয়ে গেল | "আমি চোর !!!!! " বাড়ি ফিরে দরজার দোরগোড়াতেই মা তাকে জুতো পেটা করেছিল | সেদিন মায়ের সেই জুতোর বারিও এতটা লেগেছিলো না, যতটা লেগেছিলো সেই মুষ্টি কয়েক শব্দে --- " এ বাবা, তুমি চোর !!! "


------------------------------------------------------------

ক্লাস সেভেন | সামনেই স্কুলে রবীন্দ্র জয়ন্তী উৎসব | রবীন্দ্র জয়ন্তী উৎসব পালন করে স্কুলে গরমের ছুটি পড়ে | তার আগে ক্লাস টেনের দিদিরা বলে গেলো, রাবীন্দ্রিক যা কিছু আছে অনুষ্ঠানে পরিবেশন করার মতো, ছাত্রীরা যেন প্র্যাকটিস করে | অনুষ্ঠানের দুদিন আগে দিদিমনিরা ঠিক করবেন, কাদেরকে অনুষ্ঠানে নেওয়া হবে, কাদের নেওয়া হবে না |


কনক আর শাশ্বতী একই ক্লাস পড়ে, আবার একই নাচের স্কুলে নাচ শেখে | দুজনে অদম্য উৎসাহে নাচ তুললো,

" আমার বেলা যে যায়, সাঁঝ বেলাতে // তোমার সুরে সুরে সুর মেলাতে " | সারাদিন ধরে টিফিন না খেয়ে, খেলা না খেলে অনবরত প্র্যাকটিস করে গেলো দুজন | বিকেলে তিন টের সময় ডাক পড়ল, আবার দুজনের | অনুষ্ঠানের মূল বিচারক সেই জয়াদি | কারণ স্কুলের কোনো সংস্কৃতি মূলক অনুষ্ঠান উনাকে ছাড়া হতো না | উনিই ঠিক করবেন, কারা অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবে, আর কারা করবে না | যখন শাশ্বতী আর কনকের ডাক পড়ল, গানের নাম শুনেই জয়াদি বললেন, "হবে না |" কনক আর শাশ্বতী তো ভীষণ অবাক !! কেন?? রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরেরই তো লেখা | অসুবিধা কোথায়?? এক দিদি এসে বলল, "এই গানটা প্রেম পর্বের | প্রেম পর্বের গান আর তার নৃত্য প্রদর্শন চলবে না |"


সারাদিনের পরিশ্রম, যখন পন্ডশ্রম হয়, তখন শিশু হৃদয় কী ভাবে খণ্ডিত হয়ে চূর্ণ বিচূর্ণ হয়, তা যদি জয়াদি বুঝতেন | রুম থেকে বেরোবার সময়, কনকের একটা কথাই মনে হয়, ওসব প্রেম পর্বের গান টান কিছু নয়, কনক আছে বলেই জয়াদি ওদের নাচটাকে বয়কট করলেন | রাগে, অভিমানে এই তিন বছরে প্রথম কনক গরমের ছুটির রাবীন্দ্রিক অনুষ্ঠানে উপস্থিত হলো না | গরমের ছ্যাকাটা শুধু হৃদপিন্ডর কাজটা যেন একটু বেশিই বাড়িয়ে দিয়ে ছিল |

----------------------------------------------------------

ক্লাস এইটের প্রথম ক্লাস বাংলা | ক্লাস টিচার জয়াদি | নামটা শুনেই কনকের মন খারাপ হয়ে গেল | জয়াদি, পুরো বছর জয়াদি তো কনককে কোনো ভাবেই কোনো কাজে গুরুত্ব দেবেন না | এর থেকে সেকশন বি এর ছাত্রী হলেই ভালো হতো | কিন্তু দিন বাড়তে থাকে | জয়াদির পড়ানোতে মন বসতে থাকে কনকের | কনক যতটা নিষ্ঠুর ভাবতো জয়াদিকে, অতটাও নিষ্ঠুর উনি নন | তবে একটু কঠোর | বলা ভালো, মিছরির ছুরি |

বাংলাটাকে যেন জোর করে ভালোবাসতে শেখাচ্ছিলেন জয়াদি | বাংলা সাহিত্য, ব্যাকরণ, সব কিছুর প্রতি প্রেমে পড়ে যাচ্ছিলো কনক | অমৃতাক্ষর ছন্দ যেন মরমে প্রবেশ করেছিল জয়াদির হাত ধরে | কনক বুঝতে পারে, জয়াদির সাথে কনকের সম্পর্কের রসায়নে বাংলা সাহিত্যটা ধনাত্মক অনুঘটকের মতো কাজ করে চলেছে |

কনক যখন ক্লাস এইটে, সে বছরের মাধ্যমিকে শুভলক্ষ্মীদি দারুন রেজাল্ট করেছে | কিন্তু কনকের কাছে সেটার থেকেও বেশি আগ্রহের জায়গা ছিল, শুভলক্ষ্মীদির বাংলার নম্বর | একশো তিপ্পান্ন তে গিয়ে আটকিয়ে যায় শুভলক্ষ্মীদি | মাত্র সাত নম্বরের ব্যবধানে শুভলক্ষ্মীদি মাইল স্টোন ছুঁতে পারে না |

সেই একই বছর, ষান্মাসিক পরীক্ষা শেষ হয়েছে | খাতা দেখানো চলছে | একদিন বাংলা পিরিয়ডে জয়াদি এসে বললেন, " আজ খাতা দেবো | কনক, পরীক্ষা কেমন দিয়েছো?? "

কনক বলল, " মোটা..মুটি !!"

" আমি ভাবিনি তুমি এই নম্বর পেতে পারো | " বলে উনি একে একে সকলকে ডেকে খাতা দিতে থাকলেন | কনক ভাবছিলো, এতোই কী বাজে পরীক্ষা হয়েছে তার?? নাকি জয়াদি আজও কনককে ভুল বুঝে অন্য চোখে বিচার করছেন তাকে | জানা নেই |

" কনক, কাছে এসো আমার | এ বছর বাংলাতে কনক সবচেয়ে বেশি নম্বর পেয়েছে | পঞ্চাশে কনক পেয়েছে উনচল্লিশ | " ক্লাসের যারা কনকের থেকেও সেরা তাদের কান থেকে ধুয়ো নির্গমন কনকের নজর এড়ালো না |


জয়াদি বললেন, " চল্লিশই পেতো কনক | কিন্তু কনক তোমার এই এক নম্বর আমার কাছে রাখা থাকল | মাধমিকে মাইল স্টোন ছোঁয়ার জন্য | "

সেদিনের পর থেকে কনক আর পিছন ফিরে তাকায়নি | জয়াদির হাত ধরে শুধু এগিয়ে যাওয়ার পালা শুরু হয়েছিল | লেখাপড়াকে ধমনীর মধ্যে দিয়ে কিভাবে চালিত করতে হয় কনক একটু একটু করে শিখছিলো | সাথে ছিল সাহিত্য চর্চা|পুরো স্কুল জানতো, কনক ছাড়া স্কুলে সাহিত্যের কিচ্ছু হবে না | পরীক্ষায় লাগাম ছাড়া ঘোড়ার মতো ছুটে চলছিল কনক | একের পর এক প্রতিভার উন্মোচন হচ্ছিলো | কোনোদিন কোনো বিষয়ে কনকের আগ্রহ কম থাকলে সেই নালিশের খবর পাশের ছেলেদের স্কুলের দেওয়াল টপকাতে পারেনি | জয়াদি আছে যে !!! সেই তো আজ কনকের না বলা সব কিছু !!! স্কুলের দেওয়াল ম্যাগাজিনগুলি কনকের স্পর্শে যেন প্রতিবার কঙ্কাবতী হয়ে উঠছিলো | কনক সত্যিই চোর | না হলে সাধারণ সব ছাত্রীদের প্রতিভা চুরি করে সে এভাবে পত্রিকাতে রং ভরে কী করে??

-----------------------------------------------------------

1993 সাল | আজ স্কুলের বার্ষিক অনুষ্ঠানে বসে আছে কনক | মাধমিকে পাঁচটা লেটার নিয়ে স্টার মার্কস পেয়ে স্কুলের সেরা হয়েছে সে | স্টুডেন্টস অব দা ইয়ার হয়েছে কনক | কিন্তু কনকের সবচেয়ে বড়ো সাফল্য, সে মাইল স্টোন ছুঁয়েছে অবশেষে | জয়াদি শিখিয়েছিলেন, কী ভাবে ভালোবাসলে আকাশের চাঁদও ধরা দেয় |

মঞ্চে কনককে ডাকা হলো | বড়দি বললেন, " আজকের পুরস্কার জয়ার হাত দিয়েই কনককে দেওয়া হবে | গুরু শিষ্যের মেলবন্ধনে ছন্দপতন হ হলে ভালো হবে কী?? তাই গুরুর হাতেই হবে কনকের এই অভিষেক | " পুরো অডিটোরিয়াম হাততালির গর্জনে সমুদ্র হয়ে উঠেছে যেন |


আজ গুরু শিষ্য দুজনের চোখেই জল | জয়াদি বলে উঠলেন, " তোমার এক নম্বর আমার কাছে গচ্ছিত ছিল ; মনে আছে কনক | আজ সেই একটা নম্বর ফেরত দেওয়ার দিন | "

কনক জয়াদির হাত থেকে মাইক নিয়ে যা বলল তা যে কোনো শিক্ষিকার কাছে একটা পুরস্কার |

কনক বলল, " আমি ওই একটা নম্বর চাই না দিদি | ওই একটা নম্বর আপনার কাছেই থাক | ওই একটা নম্বর আপনার কাছে থাকলে আমি হয়তো আরও অনেক মাইল স্টোন পার করে যাবো | ওই একটা নম্বর আমার সাফল্যের চাবি কাঠি |"

কনক বলে চলে, " আমি একদিন স্কুলে বিদ্যা চুরি করেছিলাম বলে জয়াদি আমায় চোর বলেছিলেন | বলেছিলেন যে আমি সরস্বতীর ঘরে চুরি করেছি | সেদিন কথাটা তীরের মতো বিঁধেছিল আমার বুকে | আমি সেদিনের মা সরস্বতীর ঘরে চুরি করেছিলাম কিনা জানিনা , কিন্তু আজ স্বীকার করছি, আমি আজ সত্যিই মা সরস্বতীর ঘরে সিঁধ কেটেছি | আমার সরস্বতী আমার জয়াদি, যিনি আমায় শুধু নামে নয়, কাজেও কনক বানিয়েছেন |

অনেক কিছু ভুল হতে পারতো আমার জীবনে ; হয়নি, তুমি ছিলে তাই | আজকের কনক, কনকের জয় হয়তো তোমারই জন্য | জীবনের সব মাইল স্টোন কে গুড়িয়ে দেবার সাহস রাখি বুকে, হয়তো তোমারই জন্য | তাই আমার বাগদেবী, আমার সরস্বতী শুধুই তুমি, শুধুই তুমি | তুমি ছিলে তাই, আজ যেন আকাশ ছুঁতে পাই |"

পুরো অডিটোরিয়াম আজ চোখের জলে ভাসছে | আজ পুরস্কার দাতা, প্রাপক সবাই এক হয়ে গেছে | আজ দিদিমণিদের দল ভাবছে জয়ার এত সম্মান, সে তো কনক, হয়তো তোমারই জন্য | আর ছাত্রীরা ভাবছে, কনক আজ যা পেয়েছে, জয়াদি, হয়তো তোমারই জন্য | সবাই ভাবছে, তুমি ছিলে তাই, তুমি ছিলে তাই | শুধু ভাবার অবস্থানটা আলাদা |

শুধু ঈশ্বর অলক্ষে হাসছেন | তিনি নিজেই নিজেকে বলছেন, জয়া কনকের এই রসায়ন, " হয়তো তোমারই জন্য | তুমি ছিলে তাই, আজও এমন সম্পর্ক বারে বারে ফিরে পাই |"



Rate this content
Log in