Amit Ghosal

Children Stories Comedy Inspirational

4  

Amit Ghosal

Children Stories Comedy Inspirational

শিক্ষক

শিক্ষক

8 mins
480



'এমনি তে তো এটা ওটা লিখতে থাকো, আজ টিচার্স' ডে তে কিছু লিখলেনা?' গলায় তিরিশ শংতাংশ বিরক্তি, কুড়ি শতাংশ বিস্বয় আর পঞ্চাশ শতাংশ জবাব চাওয়ার মিশেল দিয়ে অনন্যা কথা টা বললো ৷


একে অর্ধাঙ্গিনী, তায় টিচার, সুতরাং আমার অপরাধ টা যে গর্হিত, সে আর বলার অপেক্ষা রাখেনা ৷


তবে কি না সমস্যা টা হলো, আমি তো ঠিক সেই সব প্রতিভাশালী লেখকদের দলে পড়িনা, যাদের কে টিপে ধরলেই টুথ পেস্টের মতো গল গল করে লেখা বেরোতে শুরু করে ৷ আমার কল্পনা শক্তি সীমিত, ভাষা জ্ঞান পরিমিত, লেখন শৈলীও বলার মতো নয় ৷ তাই সব মিলিয়ে লেখার অবস্থাও তথৈবচ ৷ পাঁচ তারিখে লেখা শুরু করে আজ বারো তারিখ হয়ে গেল , এখনো নামাতে পারিনি ৷


তা যাই হোক, লেখার কথা লিখতে লিখতেই মাথায় এলো. . . . 


সালটা উনিশশো উননব্বই; ক্লাস সিক্স এ ভর্তি হয়েছি আমাদের ঝাড়গ্রাম আধাশহরের কুমুদ কুমারী স্কুলে ৷ রোল নম্বর ঊনপঞ্চাশ, সি সেকশন ৷ আমার মতো গোটা কতক উটকো আপদ বাদ দিলে, ক্লাসের বাকিরা এক বছর আগেই এই স্কুলে এসেছে ৷ মানে ক্লাস ফাইভে | সেই হিসেবে ওরা এক বছরের সিনিয়র | তাই শুরুর দিকে একটু সিঁটিয়ে থাকতাম ৷


আমাদের ক্লাস রুম টা ছিল, বড় রাস্তার ঠিক পাশের ঘর গুলোতে ৷ মেন্ স্কুল বিল্ডিং আর স্টাফ রুম থেকে বেশ খানিকটা দূরে ৷ তখন স্কুল টা কে ঘিরে প্রাচীর বা গেটের কোনো ব্যাপার ছিলোনা, তাই রাস্তার ধারে ক্লাস ঘর হওয়ার সুবিধেটা কিছু দিন পর থেকেই পেতে শুরু করলাম ৷


আমাদের শ্রেণী শিক্ষক বা ক্লাস টিচার ছিলেন দুর্গা বাবু ৷ ধুতি পাঞ্জাবি পরা, ঈষৎ ভারী চেহারার অমায়িক ভদ্র লোক ৷ প্রথম পিরিয়ড টা ওনার, আমার প্রায় দিনই স্কুল যেতে একটু দেরি হয়ে যেত, কিন্তু উনি 'একটু তাড়াতাড়ি স্কুলে আয় রে বাপ', এর বেশি আর কিছু বলতেন না ৷ বস্তুতঃ আমার তো মনেই পড়েনা, উনি কোনোদিনই কাউকে বকা ঝকা করেছেন ৷ সবসময় একটা হালকা হাসি মুখে লেগে থাকতো, অনেকটা 'আর্ট অফ লিভিং' এর শ্রী শ্রী রবিশঙ্করের মতো ৷ দেখলেই মনে হতো এক্ষুনি কোনো একটা হাসির ঘটনা বোধ হয় ওনার মনে পড়ে গেছে ৷


তবে ওনার এই ভালো মানুষির সুযোগ নিয়ে আমরা সবাই মিলে যখন বাড়াবাড়ি রকমের চেঁচামেচি করতাম, তখন একটু শক্ত হওয়ার চেষ্টা করতেন; বলতেন - 'তরা গোল করিসনা দেখি, কাল থেকে বেত নিয়ে আসবো' ৷ তা সেই 'কাল' আর ক্লাস সিক্স এ আসেনি | 


একদিন হয়েছে কি, ফার্স্ট পিরিয়ড শুরু হয়ে গেছে, আমি যথারীতি লেট্ ৷ শাল গাছের তলায় সাইকেল রাখতে রাখতে স্যার এর আওয়াজ পেলাম, কিন্তু দুর্গা বাবু বলে মনে হলোনা ৷


বিগলিত ভাব করে 'আসবো স্যার' বলে ক্লাসে ঢুকতে গিয়ে দেখি অন্য এক জন ৷ ইনিও সাদা ধুতি পাঞ্জাবি পরিহিত ৷ মধ্য বয়সী, মাথায় টাক আর যাকে বলে বেশ লম্বা আর রিজু চেহারা ৷


 আমার আহ্লাদে আঠাশ খানা হওয়া 'আসবো স্যার' শুনে মোটেই প্রীত হননি ৷ যথেষ্ট বিরক্ত হয়ে বললেন, 'কেন আসবি কেন ? এটা কি আসার সময় ? পেছন থেকে, যেরকম বন্ধু থাকলে, জীবনে শত্রুর অভাব বোধ হয়না, সেইরকম একজন বলে উঠলো, 'স্যার ও না রোজ দেরি করে আসে' ৷ 


এরপর আমার সেদিনকার অভিজ্ঞতা মোটেই লেখার মতো নয়, ‘সে ইতিহাস গোপন থাকাই ভালো’ | 


তবে সান্ত্বনা একটাই, ফার্স্ট পিরিয়ড শেষ করে বেরোবার সময়, যে আমার দেরি তে আসার কমপ্লেন করেছিল, তার কান টাও এই স্যার বেশ করে পেঁচিয়ে দিয়েছিলেন ৷ আর বলেছিলেন, 'এই কান মলাটা কেন খেলি, সেটা বড় হলে বুঝবি' ৷


'আজ বুঝি স্যার' ৷


পরে জেনেছিলাম, উনি গোলক বাবু ৷ শ্রী গোলক বিহারী মিশ্র ৷ দুর্গা বাবু কোনো কারণে ছুটি নিয়েছেন, তাই উনি আজ ক্লাসে এসেছিলেন ৷ উনি উঁচু ক্লাসে জীবন বিজ্ঞান আর এগারো বারো ক্লাসে বায়োলজি পড়ান ৷ 


উনি বইও লিখেছেন, জীবন বিজ্ঞানের বই ৷ আমি অবাক হয়ে গিয়েছিলাম ৷ স্যার বই লেখেন !! জীবনে এই প্রথম কাউকে চাক্ষুস করলাম, যিনি নিজে বই লিখেছেন !!!


পরের দিন, টিফিনের সময়, স্কুলে ঢোকার রাস্তার মুখে, হলদে পিলার ঘেঁষে ঝুড়ি নিয়ে বসা বাহাদুরের কাছ থেকে পঞ্চাশ পয়সার দুটো ইডলি কোনোরকমে গলঃধকরণ করে ছুটলাম স্টাফ রুমের দিকে ৷ স্টাফ রুম টা একটু উঁচুতে, সিমেন্ট বাঁধানো, চকলা ওঠা চারটে ধাপ উঠতে হয় ৷ আমার ওঠার সাহস হয়না, সিঁড়ি ঘেঁসে দাঁড়িয়ে থাকি ৷ মনের ইচ্ছে টা হলো, টিফিনের পর গোলক বাবু যখন ক্লাসে যাবেন, তখন ওনাকে একবার দেখা ৷ তা, ইচ্ছে পূরণ ও হলো | 


ঘন্টা পড়ার খানিক আগেই চক আর ডাস্টার হাতে স্যার বেরিয়ে এলেন ৷ আমাকে দেখে থমকে দাঁড়ালেন, হাসি মুখে জিজ্ঞেস করলেন, ' কিরে, ক্লাসে যাসনি? এখানে দাঁড়িয়ে আছিস কেন?' গলার আওয়াজে আগের দিনের বিরক্তি আর মোটেই নেই ৷ তবু আমি কেমন জানি একটু থতমত খেয়ে গেলাম | কোনোরকমে, চারটি ইনস্টলমেন্টে চারটি শব্দ মুখ দিয়ে বেরোলো ৷ 'স্যার. . . না. . . মানে. . . আমি. . . . ' | 


উনি সস্নেহে মাথায় হাত বুলিয়ে দিলেন, জিজ্ঞেস করলেন, ' কি হয়েছে, বল ?' আমি সাহস সঞ্চয় করে এক নাগাড়ে বলে ফেললাম, 'স্যার, আপনি বই লেখেন, তাই আমি আপনাকে দেখতে এসেছি ' ৷ স্যার, হো হো করে হেসে ফেললেন , কয়েক বার পিঠটা চাপড়ে দিয়ে বললেন, মন দিয়ে পড়াশুনো কর, বড় হয়ে তুই ও লিখতে পারবি' ৷


কথাটা কোথাও যেন মনের মধ্যে রয়ে গেছিলো ৷ বড় হয়ে আমিও লিখতে পারবো !!!


' এ ঘোষাল, তোকে কি বসতে দেখাচ্ছেনি?, বড় হয়ে কি বাঁদরের মতো গাছে গাছে ঝুলবি ? দ্বিবেদী বাবু ক্লাসে ঢুকে পড়েছেন !! তখন ক্লাস এইট ৷ দ্বিবেদী বাবু, মানে শ্রী মনোরঞ্জন দ্বিবেদী, আমাদের সংস্কৃত পড়াতেন ৷ টিফিনের ঠিক পরের ক্লাস টিই ওনার ৷ 


তাই বেশির ভাগ দিনই, উনি 

যখন ক্লাসে ঢূকতেন, ক্লাস রুমের অবস্থাটা হয়ে থাকতো বোমা বিদ্ধস্ত নাগাসাকি বা যুদ্ধ শেষ হওয়া কুরুক্ষেত্রের মতোই ৷


যেমন আজকে, ক্লাস ঘর ময় টিফিনের বিস্কুটের টুকরো, কয়েক জনের স্কুল ব্যাগ মাটিতে পড়ে, একটি ব্যাগের বাকল ছিড়ে বই বেরিয়ে পড়েছে - 'দফা তিনশো দুই'!!, দুজন রুমের এক কোনে একে অন্যের জামার কলার ধরে শাসাচ্ছে- 'তোকে দেখি লিব' ৷


আমি জানালার রড ধরে ঝুলছি ৷ অন্য একজন আমার প্যান্টটা টেনে চলেছে ৷ ঠিক এই রকম এক ব্রাহ্ম মুহূর্তে দ্বিবেদী বাবুর প্রবেশ ৷ 


এবং প্রথম টার্গেট আমি ৷ আসলে একটু আধটু বাংলা ব্যাকরণ আর সংস্কৃত পারতাম বলে, স্যার আমাকে খুব ভালোবাসতেন এবং বাঁদর, ছাগল, ভেড়া ইত্যাদি সম্বোধনের মাধ্যমে সেই ভালোবাসা প্রকাশও করতেন ৷ তা উনি শব্দ রূপ ধাতু রূপ ইত্যাদি জিজ্ঞেস করতেন এবং যারা পারতোনা তাদের বেঞ্চের উপর দাঁড় করে দিতেন ৷


 ক্লাসের কয়েকজন দ্বিবেদী বাবু ঢোকা মাত্রই টপাটপ বেঞ্চের উপর দাঁড়িয়ে পড়তো ৷ 


বিষয়টা খানিকটা এইরকম —


নর নরৌ নরাঃ ৷

বেঞ্চের উপর দাঁড়া ৷৷

 

চাকরি জীবনে প্রোএক্টিভ কথাটা বহুশ্রুত এবং বহুব্যবহৃত ৷ আমার সিনিয়ররা আমাকে বলে - 'বি প্রোএক্টিভ', আমার জুনিয়রদের আমি বলি - 'বি প্রোএক্টিভ' ৷


কিন্তু প্রশ্ন করার আগেই বেঞ্চে দাঁড়িয়ে পড়ার মতো প্রোএক্টিভিটির নিদর্শন আমি আর পাইনি ৷  



দ্বিবেদী বাবু নিজেও কোনো কম প্রোএক্টিভ ছিলেননা !! ক্লাসে একজন ছিল, যাকে উনি কোনো প্রশ্ন করার পর উত্তরের অপেক্ষা না করেই পেটাতে শুরু করতেন ৷ কনফিডেন্স লেভেল টা ভাবো !!! 


তা একবার উনি ওই প্রতিভাবান টিকে 'এখন কি ক্লাস?' জিজ্ঞেস করেও পেটাতে শুরু করলেন ৷


আমরা একটু উসখুস করতে লাগলাম ৷ কারন, এই প্রশ্নের উত্তর তো ওর জানা !!. কিন্তু দ্বিবেদী বাবু নিশ্চিত ছিলেন - উত্তরটা হবে 'ব্যাকারণ', 'ব্যাকরণ' নয় ৷ 


এবং হয়েছিলোও তাই ৷


আর একদিন আমি একজনের সাথে ঝগড়া করতে করতে ডায়লগ মারছি - 'আমি তোকে প্রহারেণ ধনঞ্জয় করে দেব' ৷ হঠাৎ, বাম দিকের কানে একটা প্রবল আকর্ষণ অনুভব করলাম —


দ্বিবেদী বাবু!! 'হারামজাদা, প্রহারেণ ধনঞ্জয়!!!' বল. ইয়ার পুরা শ্লোকটা কি ? বল?’ 


বোঝো !!! এর আবার পুরো শ্লোক আছে না কি ?


উনি বললেন, 'শ্লোকও আছে আর একটা গল্পও আছে' | সেদিন আর 'ব্যাকারণ' পড়া হয়নি | উনি গল্পটা বলেছিলেন |


তার আগে পুরো শ্লোকটা ; শ্লোকটা হলো –


"হবির্বিনা হরির্যাতি, বিনা পিদেঠনো মাধবো ৷

কদন্নে যাতি পুণ্ডরীকাক্ষৌ, প্রহারেণ ধনঞ্জয় ৷৷"


যদ্দূর মনে পড়ছে, গল্পটা হলো খানিকটা এইরকম- 


এক গ্রামে এক গরীব ব্রাহ্মণের চার মেয়ে আর চার জামাই নিয়ে সংসার | চার জামাইএর নাম হলো হলো - হরি, মাধব, পুণ্ডরীকাক্ষ আর ধনঞ্জয় ৷ চার জনই কুঁড়ের বাদশা, অকম্মার ঢেঁকি ৷ দিন রাত বসে বসে তাস পেটায়, শশুরের অন্ন ধ্বংস করে আর ঘুমায় ৷ ব্রাহ্মণ তো আর পারেনা !! শেষে ব্রাহ্মণী আর চার মেয়ের সাথে যুক্তি করলো - জামাই দের ঘর ছাড়া করতে হবে ৷ উপায় হলো -- এদের অপমান করা ৷

যুক্তিমতো, পরের দিন খাবার সময়, জামাইদের পাতে ঘি দেওয়া হলোনা ৷ এতে ভীষণ অসন্তুষ্ট হয়ে হরি চলে গেলো,    ( হবির্বিনা হরিরযাতি - হবি মানে ঘি ), বাকি তিনজন কিন্তু নড়েনা ৷ পরের দিন খাবার সময় ব্রাহ্মণের মেয়েরা কাউকে বসার পিঁড়ি দিলোনা, এতে অপমানিত বোধ করে মাধব চলে যায় ( বিনা পিদেঠনো মাধবো ) ৷ তারপরের দিন পচা পান্তো ভাত পরিবেশন এবং পুণ্ডরীকাক্ষর প্রস্থান ৷


কিন্তু ধনঞ্জয় বেটাচ্ছেলে শশুর বাড়ি ছেড়ে কিছুতেই নড়েনা!! তাই আর কোনো উপায় না দেখে, শশুর শাশুড়ি বৌ শালী সবাই মিলে ওকে উত্তাল কেলানি দেয় এবং ভিটে ছাড়া করে - প্রহারেণ ধনঞ্জয় ৷


এখন ঘটনাটা হলো, এই পুরো গল্পটা বলতে দ্বিবেদী বাবু যতক্ষণ সময় নিয়েছিলেন, ততক্ষণ আমার বাম কান টা ওনার করতলগতই ছিল ৷ আর প্রহারেণ ধনঞ্জয় এর বিষয় টা ব্যাখ্যা করার সময় কানের উপর টানটা বেশ বেড়ে যাচ্ছিলো ৷ 


বোধ হয় ঠিক সেই কারণেই, গল্প এবং শ্লোক - দুটোই আমার এখনো মনে আছে | আসলে কান দিয়ে সোজা মাথায় ঢুকে গিয়েছিলো !! ওই কর্ণের মধ্য দিয়া মর্মে পশিল. . . আর কি !!


মাঝে মাঝে ভাবি, কি অসাধারণ জ্ঞানের পরিধি, এইসব সাদামাটা ধুতি পাঞ্জাবি পরা মানুষ গুলোর !!!


অনেক অজানা কথা গল্পের আকারে বলতেন আরো একজন স্যার - ভাটু বাবু ৷ শ্রী সৌমেন্দু বিকাশ হোতা ৷ উনি ছিলেন, যাকে বলে আমার রোল মডেল, অনেকটা তাই ৷ 


ভাটু বাবু প্রথম আমাদের ক্লাস নিতে শুরু করেন এইট থেকে ৷ অস্কার ওয়াইল্ডের লেখা হ্যাপি প্রিন্স গল্পটা ছিল তখনকার ইংরিজি বইতে ৷ 


ওনার পড়ানো মোহিত হয়ে শুনতাম ৷ ওনার ইংরিজি উচ্চারণ, গল্পের হিসেবে গলার স্বরের মডুলেশন, মানে বোঝানো - সবই যেন কিরকম ম্যাজিকের মতো ৷ স্যারের পড়ানোর ফলেই ইংরিজি ভাষা আর সাহিত্যর প্রতি আমার আগ্রহটা জন্মে ছিল ৷


একবার স্যারের বাড়িতে গেছিলাম, পাড়ার নাটকের জন্য স্যারের কাছ থেকে বই নিতে ৷ 


তখন উনি পাশে বসিয়ে বলেছিলেন, 'বড় হয়ে যাই পড় বা যে কাজই কর, ভাষা আর ইতিহাসের চর্চা টা কখনো ছাড়িসনা' ৷ এই দুটিই হলো মানব সভ্যতার ভিত্তি আর ভবিষ্যৎ’ ৷ 


তখন যে খুব বুঝেছিলাম তা নয়, এখন মনে হয়, এর থেকে বড় সত্যি কথা আর হয়না ৷ 


সেদিন উনি ইংরিজি ভাষার বিবর্তন টা খুব সহজ করে আমায় বুঝিয়ে দিয়ে বলেছিলেন – ‘দ্যাখ, ভাষা আর ইতিহাস কিরকম হাত ধরাধরি করে চলে’ . . . 



প্রিহিস্টোরিকে থেকে রোমান 

রোমান থেকে এংলো স্যাক্সন 

এংলো স্যাক্সন থেকে ভাইকিং

ভাইকিং থেকে মেডিয়াভেল

মেডিয়াভেল থেকে টিউডার

টিউডার থেকে স্টুয়ার্ট ব্রিটেন

স্টুয়ার্ট ব্রিটেন থেকে জর্জিয়ান ব্রিটেন

সেখান থেকে ভিক্টোরিয়ান ব্রিটেন  


এবংএই প্রতিটা সময়ে ভাষা কি ভাবে বদলেছে ৷


সেদিন উনি বলেছিলেন, 'যখনি কোনো দেশের ইতিহাস বা ভাষা সম্বন্ধে পড়বি, চেষ্টা করবি, তখন নিজের দেশে কি হচ্ছিলো সেটা রিলেট করার' ৷ তাহলে বোঝাটা অনেক সহজ এবং আনন্দের হয় ৷ 


আজ আমি যে একটু আধটু লেখার চেষ্টা করি, তার মূল কারন বোধ হয় ভাটু বাবুর শিক্ষা ৷


সামনের মাসে আমার বই বেরোবে ৷ 


যদি বইয়ের প্রথম কপিটা ওনাকে দিয়ে একটা প্রণাম করতে পারতাম !!


স্যার, যেখানেই থাকুন, ভালো থাকবেন ৷



Rate this content
Log in