STORYMIRROR

🍁অ্যানি 🍀🍂

Others

4  

🍁অ্যানি 🍀🍂

Others

ফুল না fool? (পর্ব ৩)

ফুল না fool? (পর্ব ৩)

3 mins
342


সবাই নিশ্চিন্ত হয় এই শুনে যে অর্কর নেশায় আসক্তি নেই। কিন্তু সঙ্গে সঙ্গে সবার মনে প্রশ্ন জাগে অর্ক কেন সাইক্রিটিস্ট এর এপয়েন্টমেন্ট নিয়েছে? অর্ককে জিজ্ঞাসা করলে অর্ক প্রথমে একটু ইতস্তত বোধ করে। তারপর সবাইকে বলে কয়েকদিন ধরে ও কি কি অদ্ভুদ অদ্ভুত সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে।


অর্কর কথা শুনে সবাই কয়েক সেকেন্ড ওর দিকে তাকিয়ে দেখে জোরে জোরে শব্দ করে হাসতে শুরু করে দেয়।


অর্ক : পাগল হয়ে গেলে নাকি তোমরা? এভাবে হাসছো কেন?


অর্কর দাদু : হাসার মতো কাজ করলে তো হাসতেই হবে না দাদু ভাই।


অর্ক : হাসার মত কাজ?


অর্পণ : সত্যিই দাদাভাই তুই পারিসও বটে।


অর্কর মা : হ্যাঁ রে বাবু এই ধরণের কারণের জন্য তুই ডাক্তার দেখাতে যাচ্ছিলিস? তোর কি মাথায় বুদ্ধি বলে কিছু নেই?


অর্ক : আরে কি বলছো তোমরা তখন থেকে? আমি তো কিছুই বুজতে পারছিনা।


অর্কর বাবা : আচ্ছা ইন্দু... বাবু হসপিটালে এক্সচেঞ্জ হয়ে যায়নি তো?


অর্ক : এসব কি বলছো বাবা? 


অর্কর বাবা : সত্যি বলছি। তুই আমাদের ছেলে হয়ে এরকম কিভাবে হলি? সেটাই তো বুঝতে পারছিনা বলে এই প্রশ্নটা মাথায় ঘুরপাক খেলো।


অর্কর দাদু : জানিস আমি তো পটলা আমি এতদিন ভাবতাম অর্ক দাদুভাই এর বোধহয় মেয়েদের মধ্যে কোনো আগ্রহই নেই। তাই জন্য তো দাদুভাইয়ের এখনো অবধি কোনো মেয়ে বন্ধু হয়নি। 


অর্ক : আরে এসব কি বলছো তোমরা?


অর্পন : আমি তো এতদিন ভাবতাম পার্থদা দাদাভাইয়ের মধ্যে বোধহয় ইলু ইলু চলছে। তাই জন্যই দাদাভাই আর পার্থদার কোনো গার্ল ফ্রেন্ড নেই। 


অর্ক : কিহ?


অর্কর বাবা : অবশ্য এটা আমারও মনে হতো।


অর্ক : এই তোমরা কি সব পাগল হয়েগেছো? তখন থেকে কি সব উল্টোপাল্টা বকে চলেছো? আমি এখানে আমার সমস্যা নিয়ে মরছি আর ওনারা তাতে নজর না দিয়ে মাথামুন্ডুহীন আলোচনা করতে ব্যস্ত। 


অর্কর বাবা : মাথামুন্ডুহীন আলোচনা না রে বাবু।


অর্কর মা : তোর বাবা ঠিক বলছে বলছে রে বাবু। এই মাথামুন্ডুহীন আলোচনার মধ্যেই তোর সমস্যার সমাধান রয়েছে। 


অর্ক : কিভাবে?


অর্পণ : ওরে দাদাভাই তুই এখনো বুঝলি না আমরা কি বলছি?


অর্ক : না।


অর্পণ : এই যে স্নিগ্ধাদিকে তুই সবসময় দেখতে পাস, সবসময় স্নিগ্ধাদির খেয়াল তোর মাথায় ঘোরে। এমন কি স্বপ্নেও তুই স্নিগ্ধাদিকে দেখতে পাস, এগুলো সব একটা রোগেরই লক্ষণ।


অর্ক : (ভয়ে ভয়ে) কি রোগ?


অর্কর বাবা : খুবই ভয়ঙ্কর রোগ। যে একবার এই রোগে পড়ে সে এই রোগ থেকে কোনোদিনও সেরে ওঠে না।


অর্ক : অ্যা... তাহলে আমি কখনো সুস্থ হবো না। 


অর্কর বাবা : না রে বাবু কোনোদিনও সুস্থ হবি না।


অর্কর মা : তুই জানিস এই রোগের নাম কি?


অর্ক : কি নাম?


অর্কর বাবা, মা, দাদু আর ভাই সবাই একসাথে বলে " একে প্রেম রোগ বলে রে গাধা। প্রেম রোগ। "


অর্ক : প্রেম রোগ? 


অর্কর দাদু : হ্যাঁ দাদুভাই। 


অর্ক : আমি কখনো সুস্থ হবো না আর তোমরা এমন ভাবে হেসে বেড়াচ্ছ? বলি মা বাবা তোমাদের একমাত্র বড়ো ছেলে, দাদু তোমার একমাত্র আদরের অর্ক দাদুভাই আর অর্পণ তোর একমাত্র দাদাভাই মরে যাবে আর তোমরা এভাবে আনন্দ করে হাসছো? তোমরা কি কেউ আমাকে ভালোবাসো না নাকি? 


অর্কর বাবা : ইন্দু আমি বলছি শোনো এ আমাদের ছেলে নয়। এ পাক্কা হসপিটালে এক্সচেঞ্জ হয়ে গেছে।


অর্কর মা অর্কর বাবাকে উদ্দেশ্য করে, " কি উল্টোপাল্টা বলছো তখন থেকে? চুপ করে বসো। " বলে অর্ককে উদ্দেশ্য করে বলে, " হ্যাঁ রে বাবু স্নিগ্ধা মায়ের কোনো ছবি থাকলে একটু দেখা না রে। "


অর্ক : অসুস্থ ছেলের দিকে না চেয়ে তুমি এখন স্নিগ্ধার মায়ের ছবি দেখতে চাইছো? আমি কেন স্নিগ্ধার মায়ের ছবি রাখতে যাবো? তোমরা আমাকে কি মনে করো?


অর্কর মা : আমি স্নিগ্ধার মায়ের ছবি কখন চাইলাম? আমি তো স্নিগ্ধার ছবি চাইলাম। নিজের হবু বৌমার ছবি দেখাতে চাওয়াটাও কি পাপ? 


অর্ক : হবু বৌমা?


অর্কর দাদু : দাদুভাই এটা তুমি ঠিক করলে না।


অর্ক : একমিনিট... তার মানে আমি... আমি স্নিগ্ধাকে....


অর্পণ : হ্যাঁ রে দাদাভাই তুই স্নিগ্ধাদিকে ভালোবেসে ফেলেছিস। 


অর্ক : 😳


অর্পনের মুখে এটা শুনেই অর্ক ধুপ করে অজ্ঞান হয়ে পড়ে যায়।



ক্রমশ.....




Rate this content
Log in