ছুঁচো
ছুঁচো
লোকে বলে কথায় "ছুঁচো মেরে হাত গন্ধ করা" কিন্তু এখানে ছুঁচো মারার কথা হচ্ছে না, বরং কী করে ছুঁচো নিজে মারল, কাকে মারল, সেটা নিয়েই এই উদ্ভট কিম্ভূত আবোলতাবোল মাথাখারাপ ছোট্ট গল্পটা।
বেতসির কপালটা এত পোঁড়া, যেন স্পষ্ট পোঁড়া পোঁড়া গন্ধ পাওয়া যায়, তার বরটা গেল বেফালতু মরতে, যদিও পুরো বেফালতু না, আসলে চাষি তো, তাই আরকি, সেই বহু যুগ আগে থেকেই তারা এটা করে আসছে। আর তার কয়েকদিনের মাথায় আবার বেতসি নিজেও তার শরীরের এক বিশেষ জায়গায় হওয়া ইনফেকশন বা ঘা এর কারনে মরে গেল হঠাৎ করে। না, এভাবে বললে বোঝা যাবে না, না হয় গল্পটা আরো ভাল ভাবে গুছিয়ে বলি। বেশি বড় না, ছোট্ট গল্প, হয়ত পাঠকেরা এতে বেশি বিরক্ত হবেন না।
বেতসির নিজের মুখের বাঁ পাশে ঠোঁটের কাছে একটা বেশ মস্ত বড় মাংসের দলা বা লাম্প মত আছে, তার এমনিতে মুখশ্রী বা শরীর যে খুব একটা আহামরি সুন্দর বা আকর্ষণীয় তাও নয়, ফলে তার বরটা তাকে যে খুব একটা ছুঁয়ে দেখত তাও নয়, বরং তার দিকে তাকাতোও না, এমনিতেও অনেক অল্প বয়সে বিয়ে হয়েছিল তার নিজের বরের সাথে, এতগুলো বছর একবারও বরের ছোঁয়া কাকে বলে তা চড় থাপ্পর ছাড়া আর অন্য কোনো ভাবে বোঝেনি বেতসি। ফলে যা হয়, নিরাস বিষন্ন জীবনযাপন। বর বাইরে বেরিয়ে গেলে বেতসি নিজেও অনেকসময় সুযোগ পেয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যেত বাইরে গিয়ে খানকিগিরি করতে, কিন্তু তার সেই কুৎসিত মুখশ্রীর জন্য গ্রামের অন্য কোনো পুরুষও একবারটিও তাকাত না তার দিকে, এমনকি গ্রামের ছোট ছোট বাচ্চা ছেলেদেরকে দিয়েও অনেকসময় নিজের শরীরের খিদেটা মেটাতে চেষ্টা করেছিল বেতসি, কিন্তু তারাও তার চেহারা দেখেই পেত্নী পেত্নী বলে খিল্লি করে পালিয়ে যায়। ফলে বেচারি বেতসি আর কোনোভাবেই নিজের দেহের অতৃপ্ত বাসনা না পূরন করতে পেরে ভেতর থেকে হতাশায় রাগে গুমড়ে মরত। তার বরটা গিয়ে বাইরে মাগীবাজি, রেন্ডিবাজি সবই করত, কিন্তু সে নিজে নিজেকে আঙুল করা ছাড়া আর কিছুই করতে পারত না, অনেক সময় তার বাইরে বেরিয়ে পর পুরুষের সাথে খানকিগিরি করার চেষ্টার কথা এর ওর কাছ থেকে ঘুরে ফিরে তার বরের কাছেও পৌঁছে যেত, কপাল খারাপ থাকলে, তখন আবার সেই বরের হাতের মার জুটত তার কপালে।
তার বরের কাছে একটা ছোট্ট মত ক্ষেত ছিল, সেটাতে গাজর, আলু আরো নানা সবজি চাষ করত তারা। হঠাৎ একদিন দেখা গেল, তাদের ফলানো সব সবজি কিসে যেন খেয়ে ছড়িয়ে তছনছ করে নষ্ট করে দিচ্ছে। প্রথমে তারা ধরতে পারেনি কী ব্যাপার, পরে জানতে পারল যে একটা ছুঁচো, সেই এইসব কান্ড ঘটিয়ে চলেছে। তাকে ধরার অনেক চেষ্টা করা হয়েছিল, ইঁদুর মারার বিষ দিয়েও দেখেছিল, একটা কলও বিছানো হয়েছিল, ওই ইঁদুর ধরার কল আরকি, কিন্তু সেয়ানা ছুঁচোটাকে আর কিছুতেই ধরা যায় না। তার সব ফসল নষ্ট হয়ে যাচ্ছে, এই রাগে আর হতাশায় একদিন বাইরে থেকে আকন্ঠ মদ গিলে এসে তার বর বেতসিকে এমন মার লাগাল যে বেশ কয়েকদিন ধূম জ্বরে ব্যাথায় কাবু হয়ে বিছানা থেকে উঠতে পারেনি সে, তাছাড়া বেতসিকে সে বলে গেছিল সে বাইরে কোথাও গেলে যেন সে ক্ষেত পাহারা দিয়ে ছুঁচোটাকে ধরে, কিন্তু বেতসি তাও না পারায় তার জন্যও সেদিন তাকে মার লাগিয়েছিল সে, আর মারতে মারতে বলেছিল তার থেকে রাস্তার নেড়ি কুত্তাও অনেক ভাল। তার বরের মনের ভেতরেও এক হতভাগা কৃষক হওয়ার দরুন চাপা হতাশার পরিমাণ সমানে বেড়েই চলেছিল নানা কারনে, সে সব রাগ হতাশা সে মদ খেয়ে বা না খেয়ে ওগড়াত নিজের বেতসির উপরে কথায় কথায়।
বেতসি বেচারি সত্যিই এক হতভাগিনী, তার বরটা ধার নিয়েছিল বেশ মোটা অঙ্কের টাকা কিছু লোকের কাছ থেকে যার বেশিরভাগই সে উড়িয়েছিল মাগীবাজি করে আর মদের পেছনে, শোধ দিতে না পারায় একবার তারা সব একেবার সাথে গুন্ডার দলবল নিয়ে গিয়ে চেপে ধরল চাষিটাকে, প্রাণভয়ে সে ব্যাটা তাদের সাথে করল এক চুক্তি, যে টাকার বদলে সে নিজের বউকে তুলে দেবে তাদের হাতে। বেতসিকে তারা কোনোদিন এর আগে দেখে নি, তারা ভাবল, ঠিকই আছে, টাকার বদলে যদি অন্তত ভালো গুদ পাওয়া যায়, তো তাই সই। সেই চাষা আগে থেকেই বেতসিকে বলে রেখেওছিল যে তাকে সে এক দিন টাকা দিতে না পারলে তুলে দেলে সেই সব লোকগুলোর হাতে কারন সে জানত এক দিন এরম কেটা কিছু ঘটবেই, বেতসি তখন মুখে কিছুই বলত না, কিন্তু কিছু না বললেও বেতসি নিজেও মন থেকে চেয়েছিল সেটা, বর তো আর আদর করে ছোঁয় না, অন্তত পর পুরুষই না হয় ছুঁয়ে দেখুক, বাইরে কোনো উত্তেজনা বা কৌতূহল না দেখালেও মনে মনে সে সেই দিনের কল্পনা করতে করতে নানা রকম স্বপ্ন দেখত শুয়ে শুয়ে। কিন্তু তারা সবাই সেদিন বেতসির বাড়িতে উপস্থিত হয়ে যখন স্বচক্ষে বেতসির ভয়াবহ মুখটা সামনে থেকে দর্শন করল, সেদিন বেতসির বরের উপর উল্টে আরো ক্ষেপে গিয়ে তাকে রামপ্যাদানি দিল তারা একেবারে খালি গা করে তার বউয়েরই সামনে, যেটা দেখে বেতসির পোঁড়া ঘা গুলোতে একটু হলেও আনন্দের প্রলেপ লাগল। তারা বরটাকে টাকা সব ফেরত না দিলে প্রানে মারার হুমকি দিয়ে আর তার বাড়িতে আর ক্ষেতে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে ফেলে রেখে চলে গেলে আবার বরটা বেতসিকে ধরে দিল বেধরক মার দিল রাগের মাথায় সেইখানে সেই মুহূর্তে। বেচারি তাতে আবারও কয়েকদিন শয্যাশায়ী থাকল। আর শুয়ে শুয়ে ভাবতে থাকল নিজের পোঁড়া মুখ আর কপালের কথা নিঃশব্দে কাঁদতে কাঁদতে রোজকার মত।
এক দিন বেতসি বেচারি দেখতে পেয়ে গেছিল সেই জমির মধ্যে কোথায় আছে সেই ছুঁচোর গর্ত, নরম ঘাস দিয়ে ঢাকা বলে সেটা চট করে কারও চোখে পড়ত না, কিন্তু সে তা আবিষ্কার করা সত্ত্বেও নিজের বরটাকে সেটার ব্যাপারে কিছু বলেনি, কারন এক, তার বরের ক্ষেতের সব ফসল সেই ছুঁচো সাবার করে ফেলে তার বরকে যেভাবে অতিষ্ট করে তুলছিল সেটা দেখে বেতসির মনে মনে আনন্দই হত, আর দুই, তার বরের অলক্ষ্যে বা তার বরটা বাড়িতে না থাকলে পড়ে সে মাঝে মধ্যেই সেই ক্ষেতের মধ্যে গিয়ে এক দুষ্টুমির কাজ করত, তা হল সেই ছুঁচোর গর্তের সামনে হাঁটু গেড়ে হাগার ভঙ্গিতে বসে নিজের শাড়ি সায়া সব তুলো যোনি উন্মুক্ত করে অপেক্ষা করে থাকত সেই ছুঁচোটার বাইরে বেরিয়ে আসার জন্য, নিজের যোনি তাকে দিয়ে চাটানোর জন্য, অনেক সময় সেই গর্তের মধ্যে বালি বা ছোট পাথরও ছুঁড়ে মারত সে ছুঁচোটাকে বের করার জন্য, কিন্তু ছুঁচোটা সচরাচর বাইরে বেরোত না। এক বার তার বর দূর থেকে বাড়ি ফেরার সময় বেতসিকে দেখে ছিল হাঁটু গেড়ে ওভাবে বসে থাকতে তার সবজির ক্ষেতের মধ্যে, তখন দূর থেকে হাঁক পাড়ায় বেতসি দৌড়ে সেখান থেকে পালিয়ে গেছিল ঘরে, তার বর সেই জায়গাটায় গিয়ে দেখেছিল যে সেখানে হিসু বা হাগু কিছুই করেনি বেতসি, যদিও তখন আধো অন্ধকারের মধ্যে সেই গর্ত টাকে সে ঠিক ঠাহর করতে পারেনি, পরে ঘরে ঢুকে রাগের মাথায় বেতসিকে আবার বেধড়ক মার, কারন সে ভেবেছিল বেতসি হয়ত শয়তানি করে তাকে শায়েস্তা করতে সেখানে তার ক্ষেতের সবজির মধ্যে পেচ্ছাপ বা পায়খানা করতে যাচ্ছিল, আবারও সেদিন তাই সে বেচারির কপালে জুটেছিল মার। তবে এক দিন বেতসি নিস্তার পেয়ে গেল নিজের বরের মার থেকে।
ঋনের দায় আর প্রানের হুমকির ঠেলা আর সইতে না পেরে সেদিন তার বরটা বাড়ি থেকে বেরিয়ে গিয়েছিল তাদের গ্রামের এক পুরোনো ঝিলের ধারে কারন লোকগুলো আবার তাকে ধরে টাকা দিবি কি না বলে উদমা কেলিয়ে ছিল এক দিন, তাই সে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সেই ঝিলে, যেটাতে আগেও একবার এক কৃষক ডুবে মরেছিল আর দুটো বাচ্চা তলিয়ে গেছিল, তারপর থেকে সেটা আর কেউ স্নান করা কাপড়চোপড় কাঁচা তো দূরস্থ, মোতার জন্যও ব্যবহার করে না। সে ব্যাটা সকাল সকাল বাড়ি থেকে বেরিয়ে মদ গিলেছিল, তার পর গেছিল সেই ঝিলে, বেতসি ছিল বাড়িতে, নিজের মত। তাদের চাষের জমিটাতে আপন মনে হাঁটছিল বিকেলের দিকে। সে জানতও না তার বরটাও সেদিন আত্মহত্যা করতে গিয়েছিল সেই ঝিলের ধারে। আপন মনে বেতসি সেই জমিতে হাঁটতে হাঁটতে হঠাৎ ফের এসে দাঁড়াল সেই ছুঁচোটার গর্তটার সামনে। সেটা দেখে আবারও তার মাথায় এলো সেই এক অদ্ভুত কিম্ভুত খেয়াল। সেই গর্তটার সামনে হাঁটু গেড়ে হাগতে বসার ভঙ্গিতে বসে নিজের শাড়ি সায়া সব তুলে নিজের যৌনাঙ্গ টাকে উন্মুক্ত করে গর্তটার খুব কাছে তুলে ধরল সেই একই ভাবে। ছুঁচোটা গর্ত থেকে কখন বেরোয়, তার অপেক্ষায় ছিল। একটা বাচ্চা ছেলে আবার দূর থেকে তাকে দেখতে পেয়ে বেতসি বসে হাগছে কি না তাই দেখতে চুপিচুপি একটা ঝোপের পেছনে লুকিয়ে দেখছিল যে সে কী করে, বেতসি তাকে দেখতে পেয়ে এক ধমক দিতেই খিলখিল করে হাসতে হাসতে সেই দুষ্টু ছেলেটা সেখান থেকে দৌড়ে পালাল। অনেকক্ষন পা ব্যাথা করে বসে থেকে অধৈর্য্য হয়ে বেতসি উঠে যেতে যাচ্ছিল, ঠিক তখনই তার বরটা ঝিলের পানা ধরা জলে ডুব দেওয়ার সাথে সাথেই কচি ঘাসের আচ্ছাদন ঠেলে সেই গর্ত থেকে টুক করে নিজের মুখটা বের করল সেই ছুঁচোটা, আর সাথে সাথেই তার মুখটা ঢুকে গেল একটা প্রকান্ড কালো ঝোপের মধ্যে, ছুঁচোটা সেটাকে হাত দিয়ে সরিয়ে ভাল করে দেখতে পেল তার দুই দিকে নিজের প্রকাণ্ডকায় জংঘা যুগল সুবিস্তৃত করে ছড়িয়ে বসে আছে এক দানবাকায় মানুষ মূর্তি, যে আবার মাঝে মধ্যে খিল খিল করে হাঁসছে, সেটা এক মাদি, প্রকাণ্ড কৃষ্ণ বর্ণের সেই ঝোপটাকে নিজের জিভ দিয়ে চাটতে চাটতে একটা সময় নরম মাংসেরও ছোঁয়া পেল ছুঁচোটা নিজের জিভে। এদিকে বেতসির নিজের সেই পরম সুখানুভূতিতে এতই আরাম আনন্দ লাগছিল যে তার নরম মাংসটা ঈষৎ ভিজেও গেছিল, কিন্তু হঠাৎ সেখানে তীক্ষ্ণ দাঁতের একটা এমন জোরে কামড় খেল সে নিজের সেই গোপন স্থানটিতে, যে বেতসি চেঁচিয়ে উঠে পড়ে গেল মাটিতে, তার যৌনাঙ্গ কামড়ে ধরে ছিল তখনো সেই ছুঁচোটা। সেই অবস্থায় সে উঠে দৌঁড়ে বেরিয়ে চেঁচাতে লাগলো, তখনো ছুঁচোটা তাকে কামড়ে আছে সেই জায়গাটায়। সেইভাবে পাগলের মত মাটিতে শুয়ে বসে গড়াগড়ি খেতে খেতে বা সেই চাষ জমির মধ্যে ছুঁটে বেড়াতে বেড়াতে একটা সময় অনেক কষ্টে সেই ছুঁচোর দাঁতগুলোকে নিজের যোনির থেকে ছাড়িয়ে সেটাকে ছুঁড়ে ফেলে দিতেই ছুঁচোটা দৌড়ে পালাল। আর জখমি রক্তাক্ত বেতসি ঘরের ভেতরে ঢুকে গেল, গিয়ে খতিয়ে দেখতে লাগল ঘা টাকে। বিচ্ছিরি ভাবে কেটে ঘা করে দিয়েছে, সমানে রক্তের ধারা বয়ে চলেছে।
পরে তার বর অনেক রাত হওয়া সত্ত্বেও বাড়ি না ফিরলেও যে তার খুব একটা চিন্তা হচ্ছিল নিজের বরের জন্য তা নয়। বরং সে ভাবছিল নিশ্চয় এবারও কোনো বেশ্যা পল্লীতে গিয়ে মদ খেয়ে মাগিদের সাথে শুয়ে আছে সে ব্যাটা। কিন্তু তার কাছে চমকটা এল পরদিন।
বেতসির বরের লাশটা ফুলে গেছিল যথেষ্ট। চেনা প্রায় মুশকিল হয়ে পড়েছিল। কিন্তু পরের দিন লাশটা ভেসে থাকতে দেখে সেই ঝিলের পাশ দিয়ে যাওয়া একটা লোক ভয় পেয়ে সেখানে লোক জড়ো করে চেঁচিয়ে, আর তারপর পুলিশ এসে লাশটা উদ্ধার করে জাল ফেলে। পরে বেতসি গিয়ে নিজের বরের লাশ শনাক্ত করল, যদিও নিজের বরটা মরেছে দেখে বেতসির দুঃখ নয়, বরং মনে মনে যথেষ্ট আনন্দই হয়েছিল, যাক, এদ্দিনে তবে খানকির ছেলে মরল। এবার আর অন্তত বেতসিকে পড়ে থেকে থেকে মার খেতে হবে না।সেই ঘটনার পর থেকে সেই ঝিলটার সেই গ্রামে অভিশপ্ত, ভুতুড়ে বলে দুর্নাম জুটে গেল। আর কেউ ভুল করেও সেই ঝিলের কাছে ঘেঁষত না তার পর থেকে, অন্ধকার পড়লে পরে তো নয়ই, বাচ্চাদেরকে বাড়ি থেকে সকলে মানা করে দিত, কখনো খেলতে খেলতে ভুল করেও সেই ঝিলের দিকে পা না বাড়াতে। এই অজ্ঞতা কাটাতে মাঝখান থেকে আবার বিজ্ঞান মঞ্চের কাজ না থাকা অকালকুষ্মাণ্ড কিছু লোকেরা কিছু খবরের লোকেদের সাথে নিয়ে সেই ঝিলের জায়গাটায় যায়, কিন্তু পরে তাদের দলের এক সদস্য হঠাৎ হার্ট অ্যাটাক নিয়ে মাটিতে হাঁপাতে হাঁপাতে সেই স্থানে বসে পড়ে, পরে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। ফলত উল্টে এতে গ্রামে লোকেদের ভুত নিয়ে বিশ্বাস আরো দৃঢ় হয়, যদিও বিজ্ঞান মঞ্চের সেই সদস্যের বেশ কয়েক বছর ধরেই হৃদযন্ত্রের গোলযোগ চলছিল, এই বলে বাকি লোকেরা ব্যাপারটা যুক্তি দিয়ে কাটানোর চেষ্টা করে এবং গ্রামবাসীদের ভয়ের কোনো কারন নেই মিডিয়ার সামনে এই বলে সেই গ্রামের লোকেদের আশ্বস্ত করার চেষ্টা করে, তবে তাতে কাজের কাজ কিছুই হয় না।
এদিকে সেই ছুঁচোটা বেতসির বরের অবর্তমানে একেবারে আস্তে আস্তে সব সবজিগুলো খেয়ে খেয়ে ক্ষেতটাকে প্রায় নিঃস্ব খালি করতে লাগল, কারন আর বেতসি নিজেও নজর দারি করত না আর তার বরটা তো মরেই গেল। ফলে সময়ের সাথে পুরো ন্যাড়া হয়ে গেল ক্ষেতটা ধীরে ধীরে।
নিজের বরের মৃত্যুতে বেতসি খুশি হলেও তার নিজেরও যে মৃত্যু ঘটবে, ভাবতে পারেনি সে। নিজের বরের হাতে এত মার খাওয়া সত্ত্বেও যে মানুষটা গন্ডারের থেকেও পুরু চামড়া নিয়ে বেঁচে ছিল, সে একটা সামান্য ছুঁচোর কামড় খেয়ে মরে গেল এক দিন হঠাৎ করে। আসলে সেদিন ছুঁচোর কামড় খাওয়া সেই জায়গাটাকে আর ভাল করে ধুয়ে পরিষ্কার করা, ওষুধ লাগানো, কিছুই করে নি সে, রক্ত শুধু অনেক কষ্টে বন্ধ করতে পেরেছিল কোনো রকমে। গ্রামের মানুষ, ওরা কি আর কত বোঝে? সেখান থেকে তারপর সেই ইনফেকশন বা ঘা তার রক্ত চামড়ার মধ্যে দিয়ে ছড়িয়ে পড়তে লাগল আস্তে আস্তে তার সারা শরীরে, বেতসিকে গ্রাস করল পুরোপুরি, ঘা ধরে গেল সারা শরীরে, সেই ক্ষত স্থানটা পঁচে সেখানে পুঁজ মত কী হয়ে গেল, তার অনেক সময় ধুম জ্বর হত, কিন্তু তাও কোনো গ্রামের ডাক্তারের কাছেও যেত না সে, কারন তার ভয় ছিল, সেখানে ঘা টা হল কী করে তা সে বোঝাবে কী করে তাদেরকে, আর কীইবা মিথ্যে গল্প তাদের শোনাবে। ফলে সেই ঘা থেকেই মরে গেল সে নিজের বাড়ির ঘরেই এক দিন, তার পঁচা গলা শরীরটা তার বাড়ির দরজা ভেঙে আবিষ্কার করতে গিয়ে পাড়ার লোকেরা দেখল, বিছানায় বেতসির বিগলিত শব দেহের ওপর বসে সেটাকে ছিঁড়ে ছিঁড়ে খাচ্ছে একটা ছুঁচো।
