তৃণপরি বিন্দু সম
তৃণপরি বিন্দু সম


তৃণপরি বিন্দু সম
ক্ষুদ্র জলকণা
দিবস রজনী ভাবে শুধু
আমি বড়ো একা
চায় যে সদাই মুক্তি পেতে
অনন্ত সাগরে মিশে
তৃণের সাথে মেলামেশা
নয়কো যে তার লক্ষ্য
স্বল্পক্ষণের আবাস অনিত্য
বোঝে না বিন্দু নিত্য
হয়তো কভু যাবে উবে হয়ে বাস্প গগনে
ধরা ছোঁয়ার বাইরে গিয়ে
পড়বে সাগরে
চোখে-মুখে হাসি তৃণের
ধরিয়া জলকণা
ক্ষুদ্র কোনা থাকিবে কেমনে
ক্ষুদ্র তৃণের আগায়
তৃণের মাঝে নাহি আনন্দ
ভয়-বেদনা যত
ক্ষুদ্র তৃণ হেথায়
করিবে যে মোর অন্ত
বিষণ্ণতায় বিন্দু ভাবে
হবো আমি গত
অচেনা-অজানা ঘনঘটায়
34);">বর্ষা আসিলো ধেয়ে
ক্ষুদ্র তৃণ গেলো ভেসে
দূর সমুদ্র পানে
বিন্দু সদাই সপ্ন সাজায়
মোক্ষ পাওয়ার আসায়
জলোচ্ছাসে সদা যেথায়
হৃদয় মরু জুড়ায়
অনন্তমাঝে বিলীন হবার
নবচেতনা জাগায়
বিন্দুটির রাখলো ধরে
দুঃখ ও ক্লেশ সয়ে
বিন্দু মিলায় সিন্ধু মাঝে
উর্মি যেথায় বহে
হর্ষে, আনন্দে কহে বিন্দু
আমি অনন্ত সত্য
থেকে ব্যবধানে ভাবে সদা তৃণ
কি তার অস্তিত্ব
ক্ষুদ্রতম বৃহত্তম
মিলনানন্দ তমো
দূরত্বে রোহে ক্ষুদ্র তৃণ
হয় না সে কভু সমো
মহামিলনের সাগর তরঙ্গে
হারায়ে মিলিলো রত্ন
খন্ড-অখণ্ড এক হলো সেথা
হলো সার্থক সপ্ন ।