" পাগলের প্রলাপ"
" পাগলের প্রলাপ"


আমি মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড়িয়ে
মৃত্যুকে বলেছি,
তোমার শীতল আলিঙ্গন
শুষে নেয় জীবনের সব উত্তাপ।
তাই, বিজয়উল্লাসের কেতন উড়িয়ে-
তোমার রণভেরী পাড়ি দেয় জীবনের মোহনায়।
তোমাকে গর্বিত করে বার বার।
তোমার দর্প, আমি করে দেব চুরমার।
মৃত্যু আমার দিকে তাকিয়ে বলেছিলো,
যেদিন তুমি সত্যি সত্যিই
জীবনকে জয় করতে পারবে,
সেদিন তোমার কাছে হবে
আমার দর্পচূর্ণ।
আমি জীবনের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে,
জীবনকে বলেছি
আমার এই স্বপ্নহীন, গতিহীন,
মৃত্যহীন বেঁচে থাকাই কি জীবনের প্রতিচ্ছবি?
নতুবা, মেকি আভিজাত্যের উপঢৌকনে
নিজেকে সাজিয়ে নেয়াতেই জীবনের সার্থকতা?
জীবন আমার দিকে তাকিয়ে বলেছিলো,
আমাকে বুঝতে হলেও আমাকে প্রয়োজন আছে ।
আমি ধ্বংসের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে,
ধ্বংসকে সান্তনা দিয়েছি,
দুখ্হ করোনা, তোমাতেই বপন করা আছে
সৃষ্টির বীজ।
আমি সৃষ্টির মুখোমুখি দাঁড়িয়ে
সৃষ্টিকে প্রশ্ন করেছি,
তোমার সৃষ্টি সুখের উল্লাসে,
প্রতিনিয়ত এই ধ্বংসলীলায়
রচিত হয় আমাদের মৃত্যু বাসর।
আমাদের করে তোলে যান্ত্রিক, বোধহীন।
তাতেই কি তোমার যত সুখ?
সৃষ্টি মুচকি হেসে বলেছিলো,
ইতিহাস তো তাই বলে।
আমি ইতিহাসের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে
ইতিহাস কে বলেছি,
তুমি কেঁদোনা পরিবর্তন তো আসেই।
আমাদের চির ক্লান্তির ভাবনা সকল,
কেবল তোমাকেই ভালোবাসে।
তারপর একদিন, নির্জন ছাদে গিয়ে,
নিজের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে,
নিজেকে প্রশ্ন করেছি, আমি কে?
এখন ও উত্তরের আশায় প্রহর গুনি।