ওরা বাঁচতে চায়
ওরা বাঁচতে চায়


পৃথিবীর গান শোনেনি ওরা,
দেখেনি ওরা আকাশের জলছবি।
ওরা ভুলে গেছে জীবনের সব অংকের সমীকরণ,
ভুলে গেছে ওরা ওদের অনেক পুরনো রক্ত ক্ষরণ।
ওরা শুধু অন্ধকার বৃত্তে অবিরাম দৌড়ে বেড়ায়,
আর প্রতি মুহূর্তে দিক হারায়,
তবু ওরা বাঁচতে চায়।
নিয়তির কালো হাত প্রতিদিন ওদের গলা টিপে মারে,
ওরা পেন্সিলের বদলে আজ
হাতে বারুদের গন্ধ শোকে।
ওদের কচি হাত গুলো আজ লোহা বয়ে বেড়ায়,
ওদের শীর্ণ দেহ গুলো বিক্রি হয় কোন বাবুর সেবায়।
ওদের চোখে ঘুম নেই ,ওরা জানেনা বসতে
ওরা পারে না খোলা হাওয়ায় দুদণ্ড নিঃশ্বাস নিতে।
ওরা শুধু প্রতি রাতে আকাশের তারা গুনে যায়,
আর অলক্ষ্যে ভেঙে পড়ে কান্নায়।
তবু ওরা বাঁচতে চায়।
ট্রাফিকের সিগনাল টাও সবুজ হতে ভুলে যায়,
স্থির চোখে সে দেখে যায় বারবার,
কিছু বু
ভুক্ষু চোখের কাতর অনুনয়।
তবুও ব্যস্ত শহর ব্যস্ত থাকে নিজের খেয়ালে,
ফেলে যায় সে কিছু নির্জীব কঙ্কাল বিষন্ন সকালে।
কানে ভেসে আসে না, কেউ মনে রাখে না আর,
সর্বহারা কিছু জননীর বুক ফাটা হাহাকার।
কিছু ফুল ফুটতে যায় বাঁচার নেশায়,
তারা অকালে ঝরে পড়ে যায়,
তবু ওরা বাঁচতে চায়।
সাইরেন এর হুঙ্কার ওদের ভালো লাগে না রোজ আর,
ওরা চায় মুক্তির সুর,
আর ভালোবাসার উপহার।
ওরা চায় সবুজ মাঠে আনন্দের সুরে সামিল হতে,
আর রাত্রি নামলে কোল ঘেঁষে মায়ের আদর পেতে।
ওরা চায় এগিয়ে যেতে, সব বাধা পেরিয়ে,
অন্ধকার মুছিয়ে, ওরা দিতে চায় আলোয় ভরিয়ে।
ওরা তাই আজও বসে আছে সুযোগের অপেক্ষায়,
রঙিন এক ভবিষ্যতের আশায়,
মেঘ ছেঁড়া রোদ এর নেশায়,
কারণ ওরা মানুষ হয়ে উঠতে চায়,
ওরা বাঁচতে চায়।