নরেশ্বরী
নরেশ্বরী


একটি মেয়ে একলা হাঁটে, সোজা চোখে, ঘাড় উঁচিয়ে,
হাত পাতে না কারোর কাছে, প্রয়োজনে নেয় ছিনিয়ে।
জিভের ধার বেজায় মেয়ের, তার কথা তো নয় যেন চাবুক সজোর,
ভাবুক চোখে চিবুক নেড়ে মেয়ে সব পেয়েছির দেশের স্বপ্নে বিভোর।
সেই মেয়েটার শিরদাঁড়াতে বড্ড জোর, লোহার চেয়েও বেশি,
চলন-বলন, ভাবনা-চিন্তা, খানাপিনা সবেতেই ভীষণরকম দেশি।
তবুও তার বদনাম জোরকদমে ঘোরে নিন্দুকেদের মুখে মুখে,
তাতে মেয়ের কিছু যায়-আসে না, বরং সে দিব্যি আছে সুখে।
পাড়ায় ঘরে সংসারেতে সেই মেয়েটির তকমা বেদম স্বেচ্ছাচারী,
নিজের তালে নিজে থাকে বলেই সেই মেয়েটি বিষম অনাচারী।
চলছে সেই মেয়েটির নিন্দেমন্দ সর্বত্রই বাইরে এবং ঘরে,
শুনে মুচকি হাসে মেয়ে আমার, তার দুই গালে টোল পড়ে।
আপনজনাও শত্রু মেয়ের, তার মিত্র খুঁজে পাওয়া দুষ্কর,
মেয়ের তাতে কাঁচকলাটি, ঝোলা কাঁধে চলেছে সে পুষ্কর।
স্বামী শ্বশুর ছেড়েই দাও, তার বাপ ভাইয়ের নজরেও সে অসংসারী,
সাপটে চুল মেয়ে বলে হাসিমুখে, আরে ওসব নই, আমি অনড় নারী, নরেশ্বরী।