কর্মজীবনে পদচারণা
কর্মজীবনে পদচারণা


আগ্রহ ছিল মননে, শিক্ষার আলোয় প্রসারিত দৃষ্টিকোণ,
সব বিষয় ভালোবেসেও জীবনবিজ্ঞানের তীব্র আকর্ষণ,
স্বপ্ন ছিল, শিক্ষাদানের শুভ ব্রতে নিজেকে সামিল করা,
তাই বিদ্যালয়ের গন্ডি পেরিয়েই প্রাণীবিদ্যায় সাম্মানিক;
হঠাৎ ছন্দপতন, কলেজ পড়ুয়া মেয়েটির পিতৃবিয়োগ!
চেনা পারিপার্শ্বিকটা ভীষণ অচেনা হয়ে উঠল অচিরেই,
পরিবারের একমাত্র সন্তানের ওপর সাংসারিক দায়িত্ব।
জীবনযাত্রা অব্যাহত রাখতেই ইতি পড়ল লক্ষ্য পূরণে,
স্নাতক ডিগ্রিটা অর্জনের পরেই রেলওয়েতে যোগদান,
জীবন তন্ত্র ছেড়ে জড় যন্ত্রের পরিমন্ডলে ইঞ্জিনিয়ারিং,
টেকনিক্যাল কক্ষপথ জুড়ে বিক্ষিপ্ত ইলেকট্রনের দল;
ওহম সূত্র, অ্যাম্মিটারের তড়িৎ প্রবাহমাত্রাটা পরিমাপ,
লেড-অ্যাসিড সেল, ভোল্টমিটারের বিভব অভিযান,
মাউস ও কী-বোর্ড সঙ্গী করে কম্পিউটারে সংখ্যাতত্ত্ব।
আলমোড়া ভেঙে বিদায়ী ক্লান্তি, অফিস যাওয়া-আসা,
নিজের ভালো লাগাদের থেকে ক্রমশ দূরে সরছিলাম,
গতানুগতিক মানিয়ে নেওয়ায় নিজেকে হারিয়ে ফেলা;
সহসা আলোকবর্তিকার দিশায় অনুপ্রেরণার হাতছানি,
ভালো থাকা-ভালো রাখার রজ্জুহীন বন্ধনের পিছুটান;
কর্মজীবনই দিয়েছে অপ্রত্যাশিত সেরার সেরা উপহার,
তাই চাকরি ভালোবেসে আবার শুরু প্রাঞ্জল পথ চলা,
পেশাটা যাপনের মাধ্যম, আর নেশাটা তো মনের রসদ।।