খোকা
খোকা


গভীর থেকে গভীরতর হচ্ছে রাত।
চাওয়া-পাওয়ার চাহিদাগুলো ক্রমশ
ম্লান হয়ে যাচ্ছে।
রাস্তার ধারে হ্যালোজেনের আলোয়
কাঁদছে দুধের শিশুটি।
শহরতলি কী শুনতে পাচ্ছে ওর কান্না!
হয়তো শুনতে পাচ্ছে না...
বা হয়তো না শোনার ভান করে
নিদ্রা গেছে...
বৃষ্টি-বাদলের দিন
ঠান্ডা আমেজ..
কেউ প্রেমে ব্যস্ত
কেউ বা ঘুমে...
কিন্তু ওই বাচ্ছাটার ঘুমানোর জো নেই।
ওর মা হয়তো এতক্ষণে খুঁজছে ওকে
আর ভাবছে 'পাশেই তো ছিল...
তাহলে গেল কই!!!
খোকা যে হাঁটতেও শেখেনি!!!
তাহলে কী সারমেয়....'
কেঁপে উঠছে হয়তো তার বুক...
পাগলিনী মা অঝোরে কাঁদছে...
কিন্তু কালু তো পাশেই রয়ছে...
তাহলে কী বৃষ্টির জল ভাসিয়ে নিয়ে গেল।
তখনই তার খেয়াল পড়ল
এক হাঁটু জলে ডুবেছে বড়ো রাস্তা
জল এসেছে ফুটপাথেও...
'কিন্তু খোকা তো সাঁতার জানেনা...
তাহলে কী!!!'
আবার ভয়ে কেঁপে ওঠে মায়ের হৃদয়
কিন্তু পাওয়া গেল না তাকে...
পরদিন সকালে কোনো এক গলির মোড়ে পাওয়া যায় খোকাকে।
অবচেতন হয়ে ভেসে আছে খোকা...
হাসপাতালে জানিয়ে দিল
খোকা মৃত...
তারপর আর তার মার কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
খোকার মৃত্যুর জন্য দায়ী কে?
খোকা?
তার মা?
বৃষ্টি?
নাকি শহরের সভ্য সমাজ!!