জয়া তুমি কি জানো
জয়া তুমি কি জানো


(১)
জয়া তুমি কি জানো?
তোমার আকাশে আমি নই ধ্রুবতারা,
তারার মতন আলো তো আমার নেই,
আছে শুধু দেওয়ার মতন কিছু শব্দঃ
দিতে পারিনি এতদিন যা চেয়েছো তুমি
সমাজের নিয়ম আর সংস্কারের বেড়াজাল,
মেনে নেয়নি আমাদের সম্পর্ককে
মরুভূমির রুক্ষতার মতোই রুক্ষ হয়েছে সমাজ;
তবুও রক্তের রং নয় নীল,
আমার আকাশে আজও তুমি রামধনুর সাত রঙে সামিল,
বন্ধ দরজা খুলে অন্ধ জনের মতো হেঁটেছি আমি,
তবু আমার মনের আলোতে অন্ধকার নেমে আসেনি;
তবু তুমি আসনি নবর্ষের নতুন দিনের মত,
তোমার হাসি মুছে দিতে পারেনি আমার হতাশা যত,
তবু আজও আমি রাজি রামধনু হতে
তোমার আকাশের মতো নীল হতে;
তোমার হাসির মতো অমলিন হতে
তোমার রক্তের মতো লাল হতে;
তোমার যন্ত্রণার শরিক হতে
তোমার আনন্দের দোসর হতে;
তোমার দিগন্তের পথিক হতে
তোমার মন খারাপের সাথী হতে;
আমার এতো দাবি তুমি কি মানতে পারবে,
হয়তো তুমি মানতে পারবে
কিন্তু তুমি কি মানতে চাইবে?
হয়তো তুমি মানতে চাইবে...
(২)
কিন্তু ওরা কি তোমায় মানতে দেবে,
ওরা কি তোমার মনকে উন্মুক্ত হতে দেবে?
ওরা কি তোমার ইছ্যে গুলোকে ডানা মেলতে দেবে?
হিংস্র হাঙরের দল ঘরে রেখেছে তোমায় সারাক্ষণ
আর অক্ষমতার কালো মেঘে ঢেকে রয়েছে আমার মন...
জয়া তুমি কি জানো?
আর হয়তো কোনোদিনই আমাদের আকাশে উঠবে না সূর্য...
ফুটবে না রাঙা জবা আর হলুদ গোলাপ,
হাঙ্গরদের কাছে এসবই পাগলের প্রলাপ,
ধর্ম আর জাতপাতের কাজল যে ওদের চোখে:
তাই সংস্কার বা কুসংস্কারের ছানিতে ঢাকা ওদের দৃষ্টি,
আমার কবিতা ওদের কাছে অনাসৃষ্টি,
মর্তের নিয়মে ওরা বাঁধতে চেয়েছে স্বৰ্গের সৃষ্টি...
কিন্তু তুমি তো জানো জয়া...
পাগল হলেও আমি সত্যবাদী,
আমার বন্ধুরাও ভালোবেসেছিলো তোমার মতোই
কোনো মাধবী, কোনো বাসন্তী, কোনো পূরবী কে
কিন্তু সত্যি বলার সাহস যে নেই ওদের জয়া
তাই তো সাগরের ঢেউএর ফেনার মতোই
কবেই উবে গেছে ওদের স্বর
আর আমি অক্ষম হয়েও আজ মশাল জ্বালিয়ে রেখেছি!
আলো দেখাবো বলে
হাঙ্গরদের মনের অন্ধকার যদি একবারের জন্যও আলোকিত হয়...