একটি বিবেকহীন কবিতা
একটি বিবেকহীন কবিতা


বইমেলার ভিজে খাঁচাগুলোয় আমার আর ঢোকা হয়নি আজকের মত।
সমস্ত নক্ষত্ররা কি সাবলীল ভাবে আঁচড় কেটেছে পিঠে।
সেই দাগকে তুমি গড়িয়াহাটের ট্রামলাইন বলে যথারীতি ভুল করলে
এবং স্বভাবতই খুঁজতে থাকলে জীবনানন্দের বিচ্ছিন্ন আঙুল।
বইপাড়ার ডাকে আমি নিয়মিত কবিতা পড়তে উঠি মঞ্চে আর গিয়ে দাঁড়াই
একমাত্র ভেঙে পড়া দিকটার গা ঘেঁষে! কোনও মঞ্চই আর আমার পুরস্কার থেকে গুছিয়ে রাখতে পারেনি
অনুবাদকের অক্ষত যৌবন।
ফলত আমি প্রতিবারের মতোন মঞ্চ থেকেই মাইক ধরি কবিতালেখকদের উদ্দেশ্যে।
তাদের সকল কবিতায় ছড়িয়ে দিতে বলি জন্মান্ধ বিবেক।
ব্যকরণ কৌমুদীর আটাত্তর নম্বর পাতাটা ছেঁড়াই ছিল বলে
আমি আর নতুন করে পরোখ করিনি বইএর গুণাগুণ।
তখনি মেলার বাহির দরজার সামনে কুড়িয়ে তুললাম টিকটিকি কাঁধে পড়ার ফল।
কিভাবে যেন উড়ে এলো -পঞ্জিকায় শীল পদবি দেখে তবেই কিনুন।