বিজয়া
বিজয়া


মৃত্যুর সাথে লড়াই করা মানুষটা স্তব্ধ হয়ে যেত।
যদি না শ্রাবণী থাকতো।
যদি না মাথায় হাত রাখতো, আর বলতো, "বাবা আমি আছি",
তোমার কাছাকাছি।
গরীব মেধাবী স্নেহের ছোট ভাইটার
বন্ধ হয়ে যেত লেখাপড়া।
যদি না শ্রাবণী দুবেলা টিউশনি করে
যদি না ভাড়া বাঁচিয়ে সাইকেল করে,
পড়াতে যেত পাশের গ্রামে ডাক্তার হতো না ভাই অল্প দামে।
সারাদিন সংসার সামলে ক্লান্ত মায়ের মুখে
হাসি ফুটত না।
যদি না শ্রাবণী হাতে হাত দিয়ে
যদি না কাজের মাসির টাকা বাঁচিয়ে,
অনটনের মেটাতো সংসারে
জরাজীর্ণ পরিবার ভেসে যেত ক্ষুধাভারে।
সুন্দরী ষোড়শী নাবালিকা বোনটা
অ্যাসিড আক্রান্ত হতো।
যদি না শ্রাবণী অমানুষগুলোর সাথে লড়াই করে
যদি না স্নেহের বোনকে বাহুডোরে।
আগলে রাখত ভালোবেসে টুকরো হয়ে যেত পরিবার অবশেষে।
কিন্তু শ্রাবণী জন্মায়নি কোনদিন।
এভাবে আরো কত শ্রাবণীরা হয় আঁধারে বিলীন।
মা-বাবার কাঙ্খিত শ্রাবণ যে শ্রাবণী হয়েছিল
অপরাধ এইটুকু ছিল তার-
ওরা জন্ম নেয় না, ওরা গল্প হয়
কন্যাভ্রূণ হত্যার যন্ত্রণা পায় বারবার।