রেনেসাঁস
রেনেসাঁস


কাল রাতটা বড়ো গভীর ছিল,
ভোরটা উজ্জ্বল হবে বলে আজ।
ঘুরে দাঁড়িয়েছে নারীবাহিনী,
নবজাগরিত হয়েছে সমাজ।
নতুন করে মাথাচাড়া দিয়েছে
যে তৃণ ছিল পদদলিত,
উঠে দাঁড়িয়েছে শক্তিবলে
যে নারী ছিল অবহেলিত।
যে মেয়েটার স্বপ্ন ভাঙতো
ক্রিকেটার হবার আশায়,
আজ খুন্তি ছেড়ে সে গ্যালারিতে বল পাঠায়।
কালো মেয়েটা ফেয়ারনেস ক্রিম ফেলে-
পরেছে সুন্দরীর মুকুট।
পিছিয়ে পড়া মেয়েটার হাতে
আজ শংসাপত্রের শিরোপা উঠুক।
অনাথ মেয়েটার শরীরে আজ
কড়া সৈনিকের পোশাক,
শক্ত হাতে রাইফেল ধরে
দেশের মা-বোনকে বাঁচাক।
পিতৃপরিচয় লুকোনো মেয
়েটা
আজ ইন্ড্রাস্টি চালায় গোটা,
সংসারী মেয়েটার দশম হাতে ত্রিশূল-
শিখেছে প্রতিবাদী হয়ে ওঠা।
অন্ধকার দুনিয়া থেকে বেরিয়ে এসে
একটা মেয়ে আজ সুখী গৃহিনী।
কুদৃষ্টিকারী কাকুর কলার ধরেছে
যে লোকাল বাসে ভয় পায় প্রতিদিনই।
যে মেয়েটার বনেদি পরিবার,
তাই নৃত্যশিল্পী হওয়া বারণ;
এখন সে স্টেজ শো করে,
বাবার ওষুধ চালায়, কারণ।
এই মেয়েগুলোই বোবা সেজে
সমাজের এককোণে,
আজ মুখর হয়েছে
আত্মনির্ভর উন্নয়নে।
পুরুষতান্ত্রিক তর্জনীকে উপেক্ষা করে
এভাবেই ফিরে আসে জিতে,
শুধু ইতিহাসের পাতায় নয়
রেনেসাঁস এসেছে পৃথিবীতে।