অনুপ্রেরণার প্রতিধ্বনি
অনুপ্রেরণার প্রতিধ্বনি


সহসা ধেয়ে আসা ঘাত-প্রতিঘাতে বিক্ষিপ্ত এ জীবন,
নিশ্ছিদ্র আঁধারের গোলকধাঁধায় দৈনন্দিন হেঁটে চলা,
মুখোশে ঢাকা মুখেতে প্রকট অবিশ্বাসের চোরাস্রোত,
মরূদ্যানের মিথ্যে আশ্বাস মরীচিকায় পরিণত ক্রমশ!
দহনে পুড়ছিল প্রদীপশিখা, আলোয় বোঝেনি কেউ,
ভালো লাগাগুলো থেকে সরে গিয়েছিলাম বহু দূরে -
কাব্য আসত না, হয়ে উঠেছিলাম কারণবিহীন মানুষ;
স্মৃতির বিদ্যুৎরা চমকে উঠত প্রচন্ড ঝোড়ো বাতাসে,
সহসা এক টুকরো রোদ্দুর ধরা দিল অনুপ্রেরণা হয়ে,
রৌদ্রের ঝলকানিতে সে কী অপরূপ শীতল স্নিগ্ধতা!
মুখের হাসি আর দু'টো চোখের ভাষায় কী গভীরতা!
তাঁর অনিন্দ্য সুন্দর হৃদয় জীবনবোধের সেরা দর্পণ,
স্নেহসুধার সঞ্জীবনী আঁকড়ে জাগতিক বাঁচার প্রেরণা,
দ্বিধা ও সংশয় ঠেলে জীবনপথে উৎসাহের হাতছানি -
মননে ও কলমে পেলাম এগিয়ে চলার নিরন্তর ভরসা,
ক্যানভাসের রঙ বদলে উজানের টানে ভেসে যাওয়া -
জীবনের সুতীব্র সংকেত জুড়েই অকৃত্রিম মাদকতা,
একটু ভালোবাসার কাঙাল মনটা পেল অনন্ত প্রত্যয়;
আসলে ঊষা এবং গোধূলি উভয়েই আলোকিত করে,
মধ্যিখানের সময়টুকুর ব্যবধানটা ভীষণই আপেক্ষিক,
রৌদ্রবিলাসী নির্ভরশীলতাই পারস্পরিক অনুপ্রেরণা।