আলোকোজ্জ্বল
আলোকোজ্জ্বল


আলোকোজ্জ্বল রাজপথে,
ঘুমন্ত প্রহরে যদি দেখো কোনো
মলিনবেশ তরুণী, কোলে এক নগ্ন শিশু ;
তবে যাবতীয় সম্ভাবনার ঊর্ধ্বে উঠে দেখো
শুধু দুটো মানুষ, বেঁচে থাকার স্বপ্নে বুঁদ হয়ে
ফুটপাথে চাটাই বিছোনোর ক্লান্তিটাও কত
সাধারণ, সারাদিনের ক্ষয়ক্ষতির পরে;
শুধু ভাবো, এই মেয়ে হয়তো হতে পারতো
কোনো নৈশ বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা অথবা
কোনো সেবিকা, বা হয়তো শুধুই এক মা!
যদি না আমার তোমার অসংখ্য চোখের
রাতপ্রহরায় একটু একটু করে পিছোতে পিছোতে,
রুগ্ন, শুকনো স্তনে মুচড়ে ওঠা সন্তানস্নেহে,
খড়কুটোর মত তার শেষ আশ্রয় হতো
'সেই' পথ, যেখানে সমাজের সব অন্ধ, পচা
কানাগলি গিয়ে মেশে, স্বার্থ ফুরোলে মাথা
উঁচু করে বেরিয়ে আসে 'সভ্য' রাজপথে।
আর সেই রাজপথের অন্য এক মোড়ে
তাদের গাড়ি থামে, শ্যেন দৃষ্টিতে বেশ নরম
লোভনীয় লাগে ফুটপাথের ঘুমন্ত ছোট্ট শরীর,
অতঃপর? 'সেই' একই গল্পের পুনরাবৃত্তি।
রাজপথ, মেঠোপথ, গল্পের ধরণ অধিকাংশই
একমুখী, অনেকটা 'এখানে ময়লা ফেলবেন না'
আদেশের পরিণতির মতো; আসলে দুর্বল,
অসহায় মাত্রেই এই 'ময়লা' পরিষ্কারের ঘাঁটি।
আমরাই যা চোখ বুজে থাকি!