সিঁদুর পরো গাঁয়ের বধূ (সামাজিক গল্প) রচনা- লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী
সিঁদুর পরো গাঁয়ের বধূ (সামাজিক গল্প) রচনা- লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী
সিঁদুর পরো গাঁয়ের বধূ (সামাজিক গল্প)
রচনা- লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী
ভূমিকা
বাংলার হৃদয়ে, যেখানে সিঁদুরের প্রতিটি লাল ফোঁটা বিশ্বাস এবং ত্যাগের গল্প ফিসফিস করে, সেখানে এক যুবতী ঐতিহ্য এবং স্বপ্নের মোড়ে দাঁড়িয়ে আছে। এটি তার গল্প—সহনশীলতার উদযাপন, অনমনীয় রীতিনীতির সমালোচনা এবং কনের শাড়ির ভাঁজে বোনা এক নীরব বিদ্রোহ।
এক
সূর্য হৃদয়ের রঙে রাঙ্গা আকাশে নেমে এসেছে। গাঁয়ের পথে লাল মাটির ধূলিকণা উড়ছে। বাড়ির সামনে একটি মহুয়া গাছের নিচে বসে আছে সিঁদুর পরা গাঁয়ের বধূ, মাধবী। তার হাতে একটি লাল সাড়ি এবং তার মুখে একটি হাসি। মাধবীর চোখ থেকে আজ একটু আলস্যের ছাপ ফুটে উঠেছে, যেন তার চোখে একটি স্বপ্ন ঢেলে দিয়েছে।
মাধবীর পাশে বসে আছে তার নবজামাই, অজয়। অজয়ের চোখে একটি আনন্দের ছাপ ফুটে উঠেছে, যেন তার চোখে একটি নতুন সম্ভাবনার জন্ম হয়েছে। অজয় মাধবীর দিকে তাকিয়ে আছে, যেন তার চোখে একটি প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পেতে চায়।
মাধবী এবং অজয়ের মধ্যে একটি অলৌকিক সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। মাধবীর মনে একটি সিঁদুরের রং এসেছে, একটি সিঁদুর যা তার জীবনে একটি নতুন রঙ যোগ করেছে। অজয়ের মনেও একটি সিঁদুরের রং এসেছে, একটি সিঁদুর যা তার জীবনে একটি নতুন সম্ভাবনার জন্ম দিয়েছে।
দুই
মাধবী এবং অজয়ের মধ্যে একটি কথোপকথন শুরু হয়। তারা তাদের জীবনের স্বপ্ন, আকাঙ্ক্ষা, এবং ভবিষ্যৎ সম্পর্কে কথা বলে। তাদের কথোপকথনে একটি সিঁদুরের রং এসেছে, একটি সিঁদুর যা তাদের জীবনে একটি নতুন রঙ যোগ করেছে।
সূর্য নিচে নেমে যায়, এবং আকাশ লাল রঙে রাঙ্গা হয়ে যায়। মাধবী এবং অজয় তাদের কথোপকথন শেষ করে, এবং তারা তাদের বাড়িতে ফিরে যায়। কিন্তু তাদের মনে একটি সিঁদুরের রং রয়ে যায়, একটি সিঁদুর যা তাদের জীবনে একটি নতুন রঙ যোগ করেছে।
সমাপ্ত
