অঞ্জনা, সমাজের মঞ্চে নতুন আশা (সামাজিক উপন্যাস) রচনা-লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী
অঞ্জনা, সমাজের মঞ্চে নতুন আশা (সামাজিক উপন্যাস) রচনা-লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী
অঞ্জনা, সমাজের মঞ্চে নতুন আশা (সামাজিক উপন্যাস)
রচনা-লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী
ভূমিকা
গভীর রাত, গ্রামের পথ ধরে ভেসে আসছে ঢোলের শব্দ, করতাল এবং সুতীব্র সানাইয়ের সুর। একদল উৎসুক মানুষ ভিড় করেছে গ্রামের এক ফাঁকা মাঠে, যেখানে বাঁশের খুঁটি আর রঙিন কাপড় দিয়ে তৈরি হয়েছে অস্থায়ী এক উন্মুক্ত মঞ্চ। আলো-আঁধারির মায়াবী পরিবেশে শুরু হতে চলেছে যাত্রা। আজকের যাত্রাপালার নাম – "অঞ্জনা, সমাজের মঞ্চে নতুন আশা"।
এই যাত্রাপালা শুধু মনোরঞ্জনের জন্য নয়, এ এক প্রতিচ্ছবি আমাদের সমাজের, আমাদের গ্রামীণ জীবনের। এ এক কাহিনি এক অসামান্যা নারীর, যে নিজের আত্মবিশ্বাস আর সংগ্রামের মধ্য দিয়ে অন্ধকারাচ্ছন্ন জীবনে নিয়ে আসে আলোর দিশা। এটি লক্ষ্মণ ভাণ্ডারীর লেখনীতে এক সামাজিক বার্তা, যা দর্শকদের হৃদয়ে গেঁথে থাকবে।
প্রথম পর্ব: আঁধারের ছায়া
অধ্যায় ১: দেবীপুর গ্রাম
গ্রামের নাম দেবীপুর। নামটা যেমন স্নিগ্ধ, গ্রামটা ততটা নয়। দারিদ্র্য আর অশিক্ষা যেন গ্রামের প্রতিটি ধুলোবালিতে মিশে আছে। মাঠভরা ফসল ফলিয়েও কৃষকদের মুখে হাসি নেই। কারণ, গ্রামের সমস্ত জমিজমার মালিক প্রতাপশালী জোতদার প্রতাপ চৌধুরী। তাঁর কথাই আইন, তাঁর ইচ্ছাই আদেশ। গ্রামের মানুষ তাঁর ভয়ে তটস্থ। সামান্য ঋণের দায়ে তিনি কেড়ে নেন চাষির ভিটেমাটি, তাঁদের জীবন করে তোলেন দুর্বিষহ।
এই গ্রামেরই এক সাধারণ মেয়ে অঞ্জনা। হরিপদ আর কমলার একমাত্র সন্তান। অঞ্জনা পাশের গ্রামের স্কুল থেকে অষ্টম শ্রেণি পাশ করেছে, কিন্তু অভাবের তাড়নায় আর পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারেনি। তবে বইয়ের প্রতি তাঁর অগাধ টান। নিজের সীমিত জ্ঞান দিয়ে সে গ্রামের ছোট ছেলেমেয়েদের বর্ণপরিচয় শেখায়, তাদের মনে আশার আলো জ্বালানোর চেষ্টা করে। অঞ্জনা আর পাঁচটা গ্রামের মেয়ের মতো নয়। তার চোখে স্বপ্ন, মনে এক তীব্র জেদ। সে দেখে, আর কষ্ট পায়— কেন এই অসহায়ত্ব? কেন এই দাসত্ব?
একদিন অঞ্জনার বাবা হরিপদ, সামান্য একটি ধার শোধ করতে না পারায় প্রতাপ চৌধুরীর লাঠিয়ালরা এসে তাদের একমাত্র বসতভিটাটুকুও কেড়ে নেওয়ার হুমকি দেয়। অঞ্জনার মা কমলা হাউমাউ করে কাঁদতে থাকেন। অঞ্জনা দেখে সে অধ্যায়। তার ভেতরের আগুন জ্বলে ওঠে। সে জোতদারের লাঠিয়ালদের সামনে রুখে দাঁড়াতে চায়, কিন্তু বাবার বারণে চুপ করে থাকে। তবে, তার মনের গভীরে প্রতিবাদের এক বীজ রোপিত হয়।
অধ্যায় ২: প্রতিবাদী কণ্ঠের জন্ম
দেবীপুর গ্রামের বাজার সেদিন লোকে লোকারণ্য। প্রতাপ চৌধুরীর ম্যানেজার ভুজঙ্গ গ্রামের সরল কৃষকদের ন্যায্য মজুরি থেকে বঞ্চিত করে শস্য মাপছে। একজন বৃদ্ধ কৃষক, ফটিক চাচা, তার প্রাপ্য নিয়ে প্রতিবাদ করলে ভুজঙ্গ তাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। ফটিক চাচা ব্যথায় কঁকিয়ে ওঠেন। কেউ প্রতিবাদ করে না, ভয়ে সবাই চুপ।
হঠাৎ অঞ্জনার কণ্ঠস্বর শোনা যায়। "এ অন্যায়! এটা হতে পারে না!"
অঞ্জনা এগিয়ে আসে। তার চোখে নির্ভীক দীপ্তি। ভুজঙ্গ প্রথমে অবাক হয়, তারপর খেঁকিয়ে ওঠে, "তোর এত বড় সাহস! গ্রামের মেয়ে হয়ে পুরুষের বিচারে নাক গলাচ্ছিস?"
অঞ্জনা দৃঢ় কণ্ঠে জবাব দেয়, "অন্যায় যেখানে হয়, প্রতিবাদ সেখানেই জন্ম নেয়। ফটিক চাচার জমি কেড়ে নেওয়ার অধিকার আপনার নেই।"
অঞ্জনাকে সমর্থন করে কেউ এগিয়ে আসে না। সবাই ভয়ে গুটিয়ে থাকে। ভুজঙ্গ অঞ্জনার দিকে তাকিয়ে বিদ্রূপের হাসি হাসে। কিন্তু অঞ্জনার কথায় ফটিক চাচার মুখে কিছুটা আশার রেখা দেখা যায়। এই প্রথম গ্রামের কেউ জোতদারের বিরুদ্ধে কথা বলার সাহস দেখালো। অঞ্জনার এই সাহসী পদক্ষেপ গ্রামের কিছু মানুষের মনে নতুন আশার সঞ্চার করে।
অধ্যায় ৩: অরুণের আগমন
পাশের শহরে পড়াশোনা করা এক শিক্ষিত যুবক অরুণ, গ্রামে ফিরেছে। অরুণের বাবা গ্রামেরই এক শিক্ষক ছিলেন, যিনি সবসময় গ্রামের উন্নতি চাইতেন। অরুণের মনও গ্রামের মানুষের জন্য কাঁদে। সে লক্ষ্য করে, অঞ্জনা নামের এই মেয়েটি অন্য সবার থেকে আলাদা। অরুণের চোখে অঞ্জনা যেন এক নতুন ভোরের ইঙ্গিত।
অরুণ গোপনে অঞ্জনার কার্যকলাপ লক্ষ্য করে। সে দেখে, অঞ্জনা কিভাবে গ্রামের মহিলাদের একত্রিত করার চেষ্টা করছে, তাদের স্বাবলম্বী হওয়ার অনুপ্রেরণা দিচ্ছে। কিন্তু অঞ্জনা একা, তার হাতে ক্ষমতা বা অর্থ কিছুই নেই। অরুণ বোঝে, এই মেয়েটির পাশে একজন সহায়ক প্রয়োজন।
একদিন অঞ্জনা গ্রামের পুকুর ঘাটে বসে একমনে কিছু ভাবছিল। গ্রামের মেয়েদের দুর্দশা, তাদের অশিক্ষা, তাদের বঞ্চনা – এ সবই তাকে ভাবাচ্ছিল। অরুণ এসে তার পাশে দাঁড়ায়।
অরুণ বলে, "অঞ্জনা, আমি জানি তুমি এই গ্রামের জন্য কিছু করতে চাও।"
অঞ্জনা অবাক হয়ে তাকায়। "আপনি?"
অরুণ মৃদু হেসে উত্তর দেয়, "আমি অরুণ। তোমার সাহস, তোমার জেদ আমি দেখেছি। এই গ্রামের পরিবর্তন তুমিই আনতে পারবে। আমি তোমার পাশে আছি।"
অরুণ আর অঞ্জনার হাত মেলায়। দেবীপুরর আকাশে তখন এক নতুন সূর্যের আগমনী বার্তা শোনা যায়।
দ্বিতীয় পর্ব: প্রতিরোধের আগুন
অধ্যায় ১: জাগরণের বীজ
অরুণ আর অঞ্জনার মিলিত প্রচেষ্টায় গ্রামের বুকে শুরু হয় নতুন এক আন্দোলন। অঞ্জনা প্রথমে গ্রামের মহিলাদের নিয়ে একটি ছোট স্বনির্ভর গোষ্ঠী তৈরি করে। তাদের সেলাই, হাতের কাজ শেখানোর ব্যবস্থা করে। অরুণ তাদের তৈরি জিনিসপত্র শহরে বিক্রি করার ব্যবস্থা করে দেয়। ধীরে ধীরে মহিলারা নিজেদের পায়ে দাঁড়াতে শুরু করে। তাদের চোখে দেখা যায় নতুন স্বপ্ন।
অঞ্জনা গ্রামের নিরক্ষর পুরুষ ও মহিলাদের জন্য রাত্রের স্কুল খোলে। দিনের বেলায় কাজ সেরে রাতে তারা পড়াশোনা করতে আসে। তাদের মুখে ফুটে ওঠে হাসির রেখা। অক্ষরজ্ঞান লাভ করে তারা বুঝতে শেখে তাদের অধিকার।
জোতদার প্রতাপ চৌধুরীর কানে খবর যায় অঞ্জনার এই কার্যকলাপের। তিনি ক্ষিপ্ত হন। তাঁর একচ্ছত্র আধিপত্য খর্ব হচ্ছে দেখে তিনি ম্যানেজার ভুজঙ্গকে নির্দেশ দেন অঞ্জনার এই উদ্যোগ বন্ধ করে দিতে।
অধ্যায় ২: চক্রান্ত ও বাধা
প্রতাপ চৌধুরীর নির্দেশে ভুজঙ্গ প্রথমে মেয়েদের স্বনির্ভর গোষ্ঠীর তৈরি জিনিসপত্র কেনার পথে বাধা সৃষ্টি করে। তারপর রাত্রের স্কুলের চালের উপরে মলমূত্র নিক্ষেপ করা হয়, স্কুলের বইপত্র পুড়িয়ে দেওয়া হয়। গ্রামের কিছু সহজ-সরল মানুষকে ভয় দেখিয়ে বা সামান্য অর্থের লোভ দেখিয়ে অঞ্জনার বিরুদ্ধে উসকে দেয়। অনেকে ভয়ে পিছিয়ে যায়। অঞ্জনার বাবা হরিপদও ভয়ে শঙ্কিত হয়ে অঞ্জনাকে এই সব কাজ বন্ধ করে দিতে বলেন।
অঞ্জনা ভেঙে পড়ে না। অরুণ তাকে সান্ত্বনা দেয়। "হার মানলে চলবে না অঞ্জনা। অন্ধকার সবচেয়ে গাঢ় হয় ভোরের ঠিক আগে।"
অঞ্জনা আবার নতুন করে উদ্যোগ নেয়। গ্রামের যুবকদের ডেকে নিয়ে সে বলে, "আমাদের সংগ্রাম শুধু নিজেদের জন্য নয়, আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য। আমরা যদি আজ রুখে না দাঁড়ায়, তাহলে এই অন্যায় কোনোদিন বন্ধ হবে না।"
অরুণের সাহায্যে অঞ্জনা গ্রামের যুবকদের একত্রিত করে একটি স্বেচ্ছাসেবী দল গঠন করে। তারা রাতের স্কুল পাহারা দেয়, মহিলাদের কাজে সহায়তা করে। প্রতাপ চৌধুরীর চক্রান্ত ব্যর্থ হয়।
অধ্যায় ৩: মহাবিদ্রোহ
প্রতাপ চৌধুরী এবার সরাসরি অঞ্জনার বিরুদ্ধে ওঠে। মিথ্যা অভিযোগে সে অঞ্জনার বাবা হরিপদকে কারাগারে পাঠায়। গ্রামের মানুষ অঞ্জনার পাশে থাকলেও, ভয়ে কেউ জোতদারের বিরুদ্ধে সাক্ষী দিতে সাহস পায় না। অঞ্জনার মনে তখন চরম হতাশা।
সেই সময় অরুণ অঞ্জনার পাশে দাঁড়িয়ে তার মনোবল যোগায়। সে অঞ্জনাকে বোঝায়, "তোমার হাতে এখন গ্রামের মানুষের আস্থা। এই আস্থা ভেঙে যেতে দিলে চলবে না।"
অঞ্জনা বুঝতে পারে, ব্যক্তিগত সুখ-দুঃখের ঊর্ধ্বে উঠে তাকে সমাজের জন্য লড়াই করতে হবে। সে গ্রামের সমস্ত মানুষকে এক মহাবিদ্রোহের ডাক দেয়।
"আর নয় ভয়! আর নয় দাসত্ব!" অঞ্জনার বজ্রকণ্ঠ শোনা যায়। "আমাদের মাটি, আমাদের অধিকার কেড়ে নেওয়ার সাহস প্রতাপ চৌধুরীর নেই। আমরা একত্রিত হলে আমাদের শক্তি কেউ ভাঙতে পারবে না।"
অঞ্জনা গ্রামের সমস্ত মানুষকে নিয়ে জোতদার প্রতাপ চৌধুরীর বাড়ির সামনে এক বিশাল প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে। নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সবাই অঞ্জনার পাশে এসে দাঁড়ায়। তাদের চোখে আর ভয় নেই, আছে প্রতিবাদের আগুন।
তৃতীয় পর্ব: সত্যের জয়
অধ্যায় ১: মুখোশ উন্মোচন
অঞ্জনা আর অরুণ এতদিন ধরে গোপনে প্রতাপ চৌধুরীর সমস্ত অপকর্মের প্রমাণ সংগ্রহ করছিল। তার বেনামি সম্পত্তি, ঋণের নামে জমি দখলের দলিল, গ্রামের মানুষকে ঠকানোর হিসাবপত্র – সব তাদের হাতে।
প্রতিবাদ সভা চলাকালীন সময়ে অঞ্জনা জনসমক্ষে সেই সমস্ত প্রমাণ তুলে ধরে। জোতদার প্রতাপ চৌধুরী প্রথমে মিথ্যা বলে উড়িয়ে দিতে চায়, কিন্তু অঞ্জনার হাতে যখন একের পর এক অকাট্য প্রমাণ উঠে আসে, তখন তার মুখ ফ্যাকাশে হয়ে যায়। গ্রামের মানুষ, যারা এতদিন ভয়ে মুখ বুজে ছিল, তারা এবার গর্জে ওঠে।
জোতদার প্রতাপ চৌধুরীর লাঠিয়ালরা পরিস্থিতি সামাল দিতে চেষ্টা করে, কিন্তু গ্রামের ঐক্যবদ্ধ বিশাল জনতা তাদের প্রতিরোধ করে। অঞ্জনার সাহসী নেতৃত্বে গ্রামের মানুষ তাদের সমস্ত ক্ষোভ উজাড় করে দেয়।
অধ্যায় ২: আইনের আগমন
গ্রামের খবর পৌঁছে যায় মহকুমা শাসক (SDO) এবং স্থানীয় থানার কাছে। অরুণের পরিচিত একজন সমাজকর্মী এই বিষয়ে সহায়তা করে। প্রতিবাদ সভার শেষ মুহূর্তে সেখানে এসে পৌঁছায় পুলিশ এবং মহকুমা শাসক। তারা পরিস্থিতি দেখে এবং অঞ্জনার দেওয়া প্রমাণপত্র খতিয়ে দেখে।
প্রতাপ চৌধুরীকে গ্রেফতার করা হয়। তার সমস্ত অবৈধ সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়। হরিপদকে জেল থেকে মুক্তি দেওয়া হয়। আনন্দে উল্লসিত গোটা গ্রাম। অঞ্জনার মুখে দেখা যায় এক শান্ত হাসি। তার দীর্ঘদিনের সংগ্রাম অবশেষে সফল হলো।
অধ্যায় ৩: নতুন দিগন্ত
প্রতাপ চৌধুরীর পতনের পর দেবীপুর গ্রামে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হয়। অঞ্জনার নেতৃত্বে গ্রামের সমস্ত মানুষ তাদের কেড়ে নেওয়া জমি ফিরে পায়। অরুণ আর অঞ্জনা মিলে দেবীপুর গ্রামে একটি আধুনিক স্কুল, একটি ছোট স্বাস্থ্যকেন্দ্র এবং একটি সমবায় কৃষি সমিতি স্থাপন করে। মহিলারা স্বাবলম্বী হয়, পুরুষরা ন্যায্য মজুরি পায়। গ্রামের সবার মুখে হাসি ফোটে।
অঞ্জনা হয়ে ওঠে দেবীপুর গ্রামের ‘আশা দিদি’। সে শুধু একজন ব্যক্তি নয়, সে হয়ে ওঠে পরিবর্তনের প্রতীক। অরুণ তার পাশে ছায়ার মতো থাকে, তাদের সম্পর্ক শুধু কর্মজীবনের নয়, হৃদয়ের বাঁধনেও আবদ্ধ হয়।
এই উপন্যাসের শেষ অধ্যায়ে দেখা যায়, দেবীপুর গ্রাম এখন এক ঝলমলে উজ্জ্বল গ্রাম। শিশুরা স্কুলে যাচ্ছে, মহিলারা স্বনির্ভরতার প্রতীক হয়ে কাজ করছে। গ্রামের মানুষ সুখে শান্তিতে বসবাস করছে। মঞ্চের মাঝখানে দাঁড়িয়ে আছেন অঞ্জনা আর অরুণ। তাদের মুখে এক অনাবিল হাসি।
"অঞ্জনা, সমাজের মঞ্চে নতুন আশা" – এই উপন্যাস আমাদের শেখায়, একজন সাধারণ মানুষও যদি দৃঢ় মনোবল আর আত্মবিশ্বাস নিয়ে এগিয়ে আসে, তবে সে সমাজের সমস্ত অন্ধকার দূর করে আনতে পারে এক নতুন ভোরের আলো। লক্ষ্মণ ভাণ্ডারীর এই রচনাটি শুধুমাত্র একটি গল্প নয়, এটি প্রতিটি দর্শককে অনুপ্রাণিত করার এক শক্তিশালী বার্তা – "অন্যায়কে ভয় নয়, বরং ঐক্যবদ্ধ হয়ে তার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াও।"
