শিশুর সাধ
শিশুর সাধ


শিশুর হাসি মধুর যেন,
বিশ্বের সব সুখ।
হৃদয় তাহা গুছিয়ে রাখি,
চাঁদ খানা সেই মুখ।
মাঠে ঘাটে সুযোগ পেলেই,
খেলায় মগ্ন হয়ে।
ভুলে বিশ্ব-ভুবন টাকে,
খেলছে জগৎ লয়ে।
তাদের কাছে একই মন্ত্র,
খেলাই স্বর্গ, খেলাই ধর্ম, খেলাই বাঁচার শ্বাস।
তাহাই যদি লোপ পেয়ে যায়,
ঘটবে সর্বনাশ।
যার ভয় ছিল তাহাই হল,
পরল লকডাউন।
শিশুর হৃদয় থমকে গেল,
হয়ে গেল তা মৌন।
একুশটা দিন গৃহবন্দি,
মানবে নাকি তারা।
সুযোগ পেলেই সারাটাদিন,
খেলেই চলে যারা।
নবগত এক ভাইরাস,
কাপালো বিশ্বজোড়া।
শিশুরা গৃহবন্দি হয়ে,
হল যে দিশেহারা।
কান্নাকাটি লাফালাফি,
সব ঘরেরই কথা।
জ্বালাতন করছে ভারি,
হচ্ছে মাথায় ব্যাথা।
কিছু কিছু পিতামাতা,
গরম করে মাথা।
মারামারি চলছে ঘরে,
উঠছে খুন্তি হাতা।
বুঝলে নাতো শিশুর হৃদয়,
ব্যস্ত নাকি কাজে।
যাহান্নামে যাক সব কাজ,
বকছ তুমি বাজে।
সারাজীবন কাজ তো হল,
সুখ তুমি কী পেলে?
হাতে যখন একুশটা দিন,
কাটাও হেসেখেলে।