রূপকথার গল্প
রূপকথার গল্প


এক ছিল দেশ
দুঃখ কি তা জানতো না কেউ,
সবাই ছিল বেশ।
পশুপাখি, কীট-পতঙ্গ,
ফুল-ফলে ভরা সে রাজ্য,
চলত মধুর সুর-তরঙ্গ।
এর মধ্যে জায়গা বিশেষ,
নদীর পারে মাঠ পেরিয়ে
পাহাড় ঘেরা বিরল প্রদেশ।
মাটির নিচে পাতালঘর
জটিলবুড়ির একার বাস
কেউ নিতো না নামটি তাঁর।
জটিলবুড়ি রাখত হাঁড়ি
কি যে ছিল তা কে বা জানি
ভিতরে সেটার মজা ভারী।
ছোট্ট মেয়ে রূপকথা
ফুল পাখি যে বন্ধু তার,
মনের মাঝে নাই ব্যাথা।
কালো মেঘে বৃষ্টি এলো,
হঠাৎ কেমন পথ হারিয়ে
বিরল প্রদেশ পৌঁছে গেলো।
রূপকথা ওই মন-খেয়ালে
ঘুরে বেড়ায়
বন-বাদাড়ে,
সামনে দেখে, পথ শেষ দেয়ালে।
এ তো সে পাতালবাড়ি
ভাবতে ভাবতে ঢুকেই গেলো
দেখতে পায়ে সেই জটিল হাঁড়ি।
জটিলবুড়ি ব্যাস্ত কাজে
ছোট্ট মেয়ে খেলার ছলে
কি যে করে জানলো না যে।
"ও মেয়ে তুই কি করিলি?"
গর্জে ওঠে জটিলবুড়ি,
"হাঁড়ি খানা ভেঙে দিলি !"
"কেন বুড়িমা, কি হয়েছে?
কি সুন্দর ভ্রমরা দেখো,
আকাশ বাতাস ছেয়ে গেছে।"
"কয়েদ করে রেখেছিলাম
লোভ, লালসা, ব্যাধি, হিংস্রা, বিবাদ
তুই যে তাদের খুললি লাগাম।"
দুঃখ এলো জীবন জুড়ে
মানুষ গড়ে, মানুষই ভাঙে
রূপকথা সব গেছে পুড়ে।