STORYMIRROR

Laxman Bhandary

Others

4  

Laxman Bhandary

Others

কোজাগরী লক্ষ্মীপূজা (ধর্মীয় কবিতা)

কোজাগরী লক্ষ্মীপূজা (ধর্মীয় কবিতা)

2 mins
2

প্রতি বছর শরৎকালে যখন প্রকৃতি সেজে ওঠে এক ভিন্ন রূপে, ঠিক তখন পূর্ণিমার স্নিগ্ধ আলোয় অনুষ্ঠিত হয় কোজাগরী লক্ষ্মীপূজা। কবি লক্ষ্মণ ভাণ্ডারীর লেখনীতেও এই পবিত্র তিথির মাহাত্ম্য সুন্দরভাবে ফুটে উঠেছে। তাঁর কাব্যে বর্ণিত হয়েছে, আজ বসুন্ধরায় ঘরে ঘরে এই পূজা অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে ভক্তরা মা লক্ষ্মীর চরণে নিজেদের ভক্তি নিবেদন করেন। পূজার প্রাক্কালে ধান্য, দূর্বা, হরেক রকমের ফুলমালা এবং ঘট স্থাপন করা হয়। ঘটের উপর আম্রশাখা, নববস্ত্র ও কচি ডাব রেখে দেবীর আরাধনার আয়োজন করা হয়, যা এক পবিত্র ও মনোরম পরিবেশ সৃষ্টি করে।

কবির অকপট প্রার্থনায় ফুটে ওঠে ভক্তের আকুতি: "নমো নম লক্ষ্মীমাতা প্রণমি তোমারে, জনম জনম মাগো থাক মোর ঘরে।" এই বিশ্বাসই এই পূজার মূল ভিত্তি যে মা লক্ষ্মীর কৃপা ছাড়া মানবজীবন অসম্পূর্ণ। তাঁর করুণা হলে অর্থ, যশ, ধন-রত্ন সবই লাভ হয়, কারণ তিনিই সবকিছুর দাত্রী। শুধু ধন-সম্পদ নয়, মা লক্ষ্মী যাঁর প্রতি সুপ্রসন্না হন, তাঁর জীবনে আসে সুখ, শান্তি এবং ধর্মে মতি। দেবী সুখ প্রদায়িনী, তাঁর করুণায় ধনহীন ব্যক্তিও ধন লাভ করে এবং সর্বদা সুখে থাকে। তাই কবি দৃঢ়ভাবে বলেছেন, কোজাগরী লক্ষ্মীপূজা যেইজন শ্রদ্ধাভরে করে, দেবী কৃপাবলে সে অর্থ আর ধন লাভ করে। সন্ধ্যায় পাঁচালি পাঠ করা এই পূজার এক অবিচ্ছেদ্য অংশ, যা ভক্তদের মনে ভক্তি ও বিনয় এনে দেয়। কবি লক্ষ্মণ ভাণ্ডারীর এই কাব্য কেবল কোজাগরী লক্ষ্মীপূজার বর্ণনা নয়, এটি ধনদাত্রী দেবীর প্রতি গভীরে প্রোথিত ভক্তি ও ভালোবাসার এক প্রতিচ্ছবি। তাঁর লেখনীর মাধ্যমে এই পূজার আধ্যাত্মিক ও ব্যবহারিক দিকগুলি জীবন্ত হয়ে উঠেছে, যা প্রতিটি বাঙালি হৃদয়ে দেবীর মহিমা চিরন্তন করে রাখে।

কোজাগরী লক্ষ্মীপূজা (ধর্মীয় কবিতা)
কলমে- কবি লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী

কোজাগরী লক্ষ্মীপূজা আজি বসুধায়,
ঘরে ঘরে লক্ষ্মীপূজা হয় পূর্ণিমায়।
ধান্য দূর্বা ফুলমালা ঘটে আম্রশাখা,
তদুপরি নব বস্ত্র কচি ডাব রাখা।

নমো নম লক্ষ্মীমাতা প্রণমি তোমারে,
জনম জনম মাগো থাক মোর ঘরে।
তব কৃপা হলে সবে হয় ধনবান,
অর্থ যশ ধন রত্ন সব তব দান।

সুপ্রসন্না হও মাগো তুমি যার প্রতি,
সুখ শান্তি নিরবধি ধর্মে হয় মতি।
সুখ প্রদায়িনী তুমি তব করুণায়,
ধনহীন লভে ধন সদা সুখ পায়।

কোজাগরী লক্ষ্মীপূজা করে যেইজন,
দেবী কৃপাবলে লভে অর্থ আর ধন।
সন্ধ্যায় পাঁচালি পাঠ বিহিত বিধান,
কাব্য রচে কবিবর লক্ষ্মণ শ্রীমান।


Rate this content
Log in