হাসি
হাসি


ছোট্ট একটি মিষ্টি শব্দ-হাসি ।
মনে পড়তেই ঠোঁটের কোনে কেমন এক
আলতো হাসি যায় এসে,
জানি এটা পড়ে তোমার মুখও এখন
উজ্জ্বল হাসিতে যাচ্ছে ভেসে।
কত আবেগের বহি:প্রকাশের মাধ্যম এই হাসি!!
আনন্দের হাসি,ভুবন ভোলান হাসি, হাসি বিদ্রুপের,
করুণ হাসি, মুচকি হাসি, হাসি রহস্যের।
আরও আছে চাপাহাসি,অট্টহাসি-
কৃত্রিম-ক্রুর-সরল হাসি।
হা হা,হি হি,হো হো-প্রাণখোলা হাসি,
হাসি তা সে যেমনই হোক হাসতে যে
আমরা সবাই বড় ভালবাসি
কেউ হাসে মুখ চেপে
মিষ্টি মধুর হাসি,
কেউ বা হাসে খিল খিলিয়ে
মুক্তো ঝড়ানো হাসি।
কেউ বা মনের দু:খ গোপন করতে
হাসে করুণ হাসি,
কেউ বা খুশির জোয়ারে ভেসে
হাসে অট্টহাসি।
কখনো বা হাসতে হাসতে
খিল ধরে যায় পেটে,
আবার কখনো হাসতে হাসতে
জল বের হয় চোখ ফেটে ।
হাসতে হাসতে সব দু:খ ভুলে
মন হয়ে যায় ভালো,
হাসতে হাসতে হাল্কা হয়ে যাই-ভুলে
মনে যতো দু:খ জমে ছিলো কালো।
শুধু আনন্দে নয়,হাসির যে আছে অনেক কার্যকারিতা-
মন ভোলাতে,মান ভাঙাতে,কাজ আদায়ে বুঝি এর উপযোগিতা।
দু:খ-কষ্ট-ভয়কে করতে জয়-
ঠোঁটের কোনের ছোট্ট হাসি
বাড়িয়ে তোলে সবার আত্মপ্রত্যয়।
লিওনার্দর মোনালিসার রহস্যের-
হাসির চর্চা বিশ্বজুড়ে,
এতো বছরেও যে তা হয়নি মলিন,
অবাক হয়ে তাই দেখি বারে বারে।
হাসতে হাসতে পেটে খিল ধরে যায়,
হাসতে হাসতে সব লোটপোট খায়।
কথার মাঝে কেউ বা ফিক করে দেয় হেসে,
কেউ বা জোর বিষম খায় হেসে হেসে।
হাসি স্বয়ং মহা সংক্রামক রোগ
এক থেকে অপরে ছড়িয়ে পড়ে ,
কিন্তু প্রাণ খুলে যদি হাসতে পারো
সব রোগ-শোক যাবে দূরে।