দেবী আগমনী পূজার কবিতা (দ্বিতীয় পর্ব) কলমে-কবি লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী
দেবী আগমনী পূজার কবিতা (দ্বিতীয় পর্ব) কলমে-কবি লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী
"পুজো এসে গেল কাছে .....আনন্দে হৃদয় নাচে" – কবি লক্ষ্মণ ভাণ্ডারীর কলমে এই শারদীয় কবিতার দ্বিতীয় পর্বে ফুটে উঠেছে শরৎকালের স্নিগ্ধ সকাল। শারদ প্রাতে মায়ের আগমনের বার্তা নিয়ে যেন শিউলি ফুল ফুটেছে চারিপাশে। শুধু শিউলি নয়, টগর, বকুল, যুঁথি, মাধবী আর মালতীর মতো নানা ফুল তাদের সুগন্ধে মন ভরিয়ে তুলেছে। ভোরের আলোয় পাখিদের কলকাকলি আর পুকুরের জলে প্রস্ফুটিত শতদল ও কমল কলি প্রকৃতির এক অনবদ্য শোভা তৈরি করেছে। ফুলের সৌরভের আহ্বানে সেখানে ছুটে এসেছে অলিরা, মধু আহরণে ব্যস্ত। পূজার রবি যেন এই শরতের সোনালী ছবিকে আরও উজ্জ্বল করে তুলেছে, যা দেখে মন খুশিতে ভরে ওঠে। দিঘির ঘাটে রাজহাঁসদের সাঁতার কাটা আর তাদের সঙ্গীদের ছুটে আসা, দিঘির শীতল জলে রোদ পড়ে ঝলমল করা - এই সব মনোরম দৃশ্য মনে এক অপূর্ব শান্তি এনে দেয়। অজয় নদের দুই তীরে কাশফুলের শোভা আর তার বয়ে চলা, অজয় তটিনীর কোলে সোনারোদ ঝরে পড়ার এই অপরূপ দৃশ্য কবি লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী তাঁর কবিতায় ধরে রেখেছেন, যা শারদীয়া পূজার আগমনের আনন্দকে এক নতুন মাত্রা দিয়েছে।
পুজো এসে গেল কাছে...... আনন্দে হৃদয় নাচে
দেবী আগমনী পূজার কবিতা (দ্বিতীয় পর্ব)
কলমে-কবি লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী
শারদ প্রভাত বেলা শিউলি ফুটিল মেলা
রাশি রাশি ফুটিল টগর,
ফুটিল বকুল যুঁথী, মাধবী আর মালতী
ফুল বনে শোভা মনোহর।
আজিকে শারদ প্রাতে বিহঙ্গ-বিহগী মাতে
তরুশাখে করে কলরব,
সরোবরে বিকশিত শতদল প্রস্ফুটিত
ফুটিল কমল কলি সব।
ফুলের সৌরভ ছুটে অলি যত আসি জুটে
ফুলে মধু করে আহরণ,
উঠিল পূজার রবি শরতের সোনা ছবি
হেরি হরষিত হয় মন।
নয়ন দিঘির ঘাটে মরালী সাঁতার কাটে
পিছে তার মরালেরা ধায়,
দিঘির শীতল জল রোদে করে ঝলমল
ভরে আছে কচুরিপানায়।
অজয়ের দুইকূলে শোভা দেয় কাশফুলে
অজয় তটিনী বয়ে যায়,
অজয় নদীর চরে সোনাঝরা রোদ ঝরে
লিখিল লক্ষ্মণ কবিতায়।
