STORYMIRROR

Laxman Bhandary

Others

4  

Laxman Bhandary

Others

আগমনী পূজার কবিতা (প্রথম পর্ব) কলমে কবি লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী

আগমনী পূজার কবিতা (প্রথম পর্ব) কলমে কবি লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী

2 mins
4


"পুজো এসে গেল কাছে .....আনন্দে হৃদয় নাচে" – কবি লক্ষ্মণ ভাণ্ডারীর কলমে এই শারদীয় কবিতার প্রথম পর্বে ফুটে উঠেছে বাঙালির জীবনের চিরন্তন আনন্দ আর প্রকৃতির অপরূপ সাজ। শরতের আগমনে প্রকৃতি যেন নতুন রূপে সেজে উঠেছে। শিউলি ফুলের মিষ্টি গন্ধ, প্রাতঃকালীন কুসুমের শোভা আর পূব আকাশে উদীয়মান সূর্য জানান দিচ্ছে উৎসবের বার্তা। মাঠ-ঘাট, বন-বাদাড় সবখানেই যেন শরতের মনোহর শোভা। আগমনী গান ভেসে আসছে, আর দূরে বয়ে চলা অজয় নদীর চর যেন এক অন্য রূপ ধারণ করেছে। তাল-সুপারি গাছের সারি, কাজলা দিঘির শান্ত জল, শালুকের ফুল, নদীর চরে কাশফুলের সমাহার – সবকিছু মিলেমিশে এক মনোরম দৃশ্যের অবতারণা। সকালের সোনালী রোদ, নদীর তীরে বকের মাছ ধরা, আর শালিকের দলের খেলা – এই সবই শরতের শান্ত ও স্নিগ্ধ রূপকে ফুটিয়ে তোলে। দিনের শেষে অস্তগামী সূর্যের রক্তিম আভা আর মন্দিরে সকাল-সন্ধ্যায় ঢাক, ঢোল, কাঁসির আওয়াজ এক অনাবিল আনন্দের ঢেউ তোলে সবার হৃদয়ে। শ্রীমান লক্ষ্মণ কবি তাঁর শব্দচয়ন ও চিত্রকল্পের মাধ্যমে এই উৎসবের আমেজকে অপূর্বভাবে তুলে ধরেছেন।

পুজো এসে গেল কাছে .....আনন্দে হৃদয় নাচে
আগমনী পূজার কবিতা (প্রথম পর্ব)
কলমে কবি লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী

পুজো এসে গেল কাছে খুশিতে হৃদয় নাচে
শিউলির ডালে ফুল ফুটে,
শারদ প্রভাতে আজি ফুটিল কুসুম রাজি
পূর্বদিকে সোনা রবি উঠে।

শরতের আগমনে ফুল ফুটে বনে বনে
শরতের শোভা মনোহর,
মাঠে মাঠে কচি ধান শুনি আগমনী গান
দূরে হেরি অজয়ের চর।

রাঙাপথে সারি সারি তালগাছ ও সুপারি
কাজলা দিঘির ঘাট কাছে,
কাজলা দিঘির ঘাটে ছেলেরা সাঁতার কাটে
শালুকের ফুল ফুটে আছে।

অজয়ের দুই পারে কাশফুল ধারে ধারে
সকালের সোনারোদ ঝরে,
বক বসে নদীচরে ছোট ছোট মাছ ধরে
শালিকের দল খেলা করে।

দিবসের অবসানে পাখিদের গানে গানে
অস্ত যায় দিবসের রবি,
মন্দিরে সকাল সাঁঝে ঢাক ঢোল কাঁসি বাজে
লিখে শ্রীমান লক্ষ্মণকবি।


Rate this content
Log in