চরিত্র , রূপক ও বাকিরা
চরিত্র , রূপক ও বাকিরা


(দেখে আসলাম শিল্পীর আঁকা এক ছবি,
আমি জানি এ আমায় ছাড়ার নয়
কারণ যদিও এ নয় যে আমি কবি
বরং কি যেন অজানা এক ভয়।
পটে ছিলো একটি নারীমূর্তি আঁকা
বুঝতেই পারলাম না সে কি নগ্ন
নাকি গোটা অঙ্গ কাপড়ে ঢাকা?
এ যেন আমার কাছে অনেকটা দিবাস্বপ্ন।
আমি ছবির সামনে দাঁড়াতেই
চোখে পড়লো তার মুখ হতে ঝরা হাসি,
আমার চোখ এদিক ওদিক ঘোরাতেই
বুঝি এ ছবি নয় ভরা ধাঁধা রাশি রাশি।
ক্রমান্বয়ে তুলির টান একে একে দেখে
বুঝি তার শরীরে পোশাক যাচ্ছে খসে
আর যেন সে আর শরীর না ঢেকে
উন্মাদনায় তার গা যাচ্ছে যেন ভেসে।)
আমি: এক্সকিউজ মি, এইটা কি করে সম্ভব?
শুধু ছবিতে কেমন করে হয় জীবনের কলরব?
শিল্পী: আপনিও তাহলে বুঝেছেন ছবির অর্থ!
আমি: চোখ থাকলেই লোকে বুঝতে সমর্থ।
শিল্পী: তা বটে তবে সবাই তো বোঝে না,
আপনার মতো তো কারণ খোঁজে না।
আমি(ছবিতে তাকিয়ে):
ও কি... ও তো স্পষ্ট নগ্ন হয়ে রয়েছে,
কোথায় সেই পোশাক শিল্পী, বলুন।
শিল্পী: আপনার পকেটের রুমালটা দেখুন
(আমি রুমাল বের করে হতবাক যেন,
মেয়েটির নীল পোশাক আমার রুমাল কেন?)
আমি: এ কী করে সম্ভব শিল্পী, এ কি জাদু?
শিল্পী: এ তোমার দৃষ্টি বন্ধু, দৃষ্টি যেন শুধু।
(আমি আবার তাকিয়ে ছবির দিকে,
আমার দৃষ্টি যেন হতে তাকে ফিকে।
ও কে ওর শরীরের উপর, লোলুপ চাহনি?)
আমি: এ কি ম্যাজিক করছেন আপনি?
শিল্পী: যা করছে কেবল তোমার মন,
আমি তো নাম মাত্র, নেহাৎই ক্ষুদ্র জন।
আমি: কী করে নারীর শরীরে আমি এলাম?
ও যেন নিকৃষ্ট পশু, আহ আমি কী করে হলাম?
(শিল্পী ততক্ষণে দূরে গেছেন সরে আমা হতে,
আমি হাঁটব বলি হাঁটি পশ্চাৎপথে।
গোটা পথ চিন্তায় ছটফটিয়ে ফিরে বাড়ি,
আমি নিশ্চিন্ত হই কিছু দম ছাড়ি।
পকেট হতে রুমাল করলাম বের,
রং সেই আগের সবুজই হলো ফের।
তবে ও কি ভ্রম ছিলো শিল্পীর ছবি দেখে?)