অতন্দ্র প্রহরী
অতন্দ্র প্রহরী


অতন্দ্র প্রহরী আমি- রাতে জেগে রই,
শুনশান চারিদিক-জনমানব ফাঁকা ,
নিঝুম নিস্তব্ধ রাতে -দাঁড়িয়ে আমি একা।
আমাদের বসতে নেই, ঘুমোতে নেই
শুধু টহল আর টহল,
তন্দ্রা যদি আসে নেমে চোখে
বিগডে যাবে যে পুরো মহল !
হোক না কোনো উৎসব,বা পালা- পার্বণ-
সবেতেই করি মোর ‘বাসনা’ দমন।
শীত, বর্ষা, বসন্ত কিংবা উৎসবের রাতে,
সবাই যখন একসাথে আনন্দেতে মাতে!
আমি তখন লাঠি হাতে দাঁড়িয়ে আছি দূরে,
কেউ কোন আঘাত যেন না হানতে পারে।
পরিবার কে সাথ মোর-হয়না আর দেওয়া,
পূরণ করাও হয়না যে তাদের কোনো চাওয়া পাওয়া।
আবাসনে কত মজা,কত জাঁকজমক!
হৈ হুল্লোড়,আড্ডা আর মহা ভুঁড়িভোজ !!
আমার পূজা কেমনে কাটে
কেউ রাখে না যে তার খোঁজ।
বিনিদ্র রজনীতে কাটে আমার
সকল পূজা - উৎসব রোজ।
একটা হাওয়াই চটি আর সস্তা একটি জামা,
রাস্তার ধারের ঝুপরিতে বসে-এগ চাউমিন খাওয়া।
আমার সন্তানের কাছে এটাই দূর্গা পূজা।
এতটুকু পেলেই সে খুশী,এতেই ভারী মজা।
সন্তানের তরে করতে পেরে মনেতে
পাই যে বড় সুখ,
আনন্দেতে আসে চোখে জল
হেরি তার খুশী ভরা বিগলিত মুখ।
ধনী হওয়া তো দূর অস্ত, স্বপ্ন ও যে হেরিতে নারি।
আমার আর স্বপ্নের দেশে হয়না দেওয়া পারি।
ঐ যে আবাসনে ঘুমিয়ে সবাই নিশ্চিন্তে নীরবে!!
ভাবি কবে পাব অবসর ঘুমোবো নিশিথে।