আঠেরোর বসন্ত
আঠেরোর বসন্ত


সতেরো বসন্তের অন্তিমে আঠারো দ্বারে আজ,
অনল সমুখে বারুদ হয়ে যৌবন, করছে বিরাজ।
সদ্য নিভন্ত দীপশিখাসম মৃদু উত্তাপ মনে,
মদিরার ঘ্রানে বিহ্বল কোকিলার ধ্বনি, ভিড়ের মাঝে নির্জনে।
বাতায়নে দক্ষিণ কর আজও একাকী,
তৃষ্ণার্ত মোর ক্ষুধিত পাষাণ করুণ আঁখি।
রক্তিমব্রীড়ায় ক্ষমা চেপে ধরে কাহার লাগি?
একাকিত্বের সাথে সঙ্গম করি নিশিথ জাগি।
কবরের ওপরে হেঁটে এসেছি এতগুলি বছর,
চৌকাঠের পরের কদম মেহগনিরঞ্জিত মৃত্যুর ক্রোড়।
নীরব সমাধি রইবে নিয়ে অনন্ত তন্দ্রা,
মালিকাগাছি শুকনো হবে বাসর রজনীগন্ধা।
এ দেহ জ্বলবে না অনলে, মিশবে না সহিত ধরণীর,
তবু মানুষের ঔরসে জনম এ নারীর।
আমার বসন্ত যৌবনে রেঙেছে প্রকৃতি,
ফুলে-ফলে, কোকিলার কুহুতানে, মুখরিত হবার তিথি।
বসন্তের এই উন্মাদনায় বিচলিত কবিকুল,
আবিরে রাগিয়ে দেয় বাংলার পলাশ শিমুল।
যৌবনাবৃত দেহ আজ উচ্ছল প্রাণবন্ত,
আমার মনে এসেছে আজ আঠেরোর বসন্ত।