আনন্দমেলা
আনন্দমেলা


গঙ্গা পেরিয়ে শহর আমার,
সবুজে সবুজ স্মৃতির বাহার।
আনন্দমেলায় ঘেরা বন্ধুদের ভিড়
পায়ে হেটে স্কুল, দলবেঁধে আমরা ওই।
সপ্তাহে নাচের স্কুল, গানের ও
ভীষণ ব্যস্ত সময়, আনন্দে মন থৈ।
পাড়ায় বসন্ত অনুষ্ঠানের মহড়া
কাকিমা পিসি মাসি দাদু বোন
মিলেমিশে এ পাড়া ও পাড়া।
সেবারের নাটক আরো জমজমাট
দত্ত কাকু আর পিসির সংসারে ভারী ঝঞ্ঝাট!
পথের প্রতিটি বাঁক একদম চেনা;
দুদিন বাইরে না গেলে পাশের বাড়ির ডাক
পৌষপার্বনে কার বাড়ির পুলি নরম -
বিজয়াতে নারকেল নাড়ু খাওয়ার জোর ধুম।
সরস্বতী পুজোয় সেই প্রথম শাড়ি।
কে কার দিকে তাকালো সেই নিয়ে তর্কের ঝুড়ি।
অষ্টমীতে মণ্ডপে কাজ আমাদের ভাগ করা,
নবমীর সন্ধে দল বেঁধে ঠাকুর দেখা।
সেবারে দশমীতে রানু ট্রেন লাইনে কেন শেষ
আজ ও মনের কোণে সেই প্রশ্নের রেশ।
রিকশায় শহর এপার ওপার,
বাসে চড়া হয়তো বছরে একবার।
প্রাণের শহর আজও বুকের তলে,
তার সঞ্চিত গল্পগুলো যেন বলে চলে।
বড় হবার প্রথম দিনগুলো;
আলো, আশা, চাপা ভয় দূরে যাবার।
কলেজ যাবার দিন এগিয়ে আসে,
ট্রেন ছাড়ার বেলা, ঠায় দাঁড়িয়ে আপনজনেরা,
চোখের জলে মন জানালা ঝাপসা করা।
বছর বছর পেরিয়ে, আজ ও একই টান;
দিনের শেষে অপূর্ব সেই ভাওয়াইয়া গান।