জীবন সুধা মেখে গায়।
জীবন সুধা মেখে গায়।
সবুজের মাঝে হাতে হাত ধরে ছোটে দুজনে। রঙিন ঘুড়ি হাতে। তাদেরই একজন আমি শৈশবে। শৈশব এভাবেই কাটতো আমার ভোকাটা ঘুড়ি ধরতে গিয়ে সকাল সন্ধ্যে। ছিল না খাওয়ার জোগাড়ের চিন্তা, ছিল না আত্মপ্রতিষ্ঠার
চিন্তা। মুক্ত বিহঙ্গ আমি উড়তাম কল্পনার নীল আকাশে জোড়া ডানা মেলে।
কালের নিয়মে আমি হলাম বড়ো। যত সমস্যা আমায় ঘিরে হলো জড়ো। পড়াশোনা করো, ভালো রেজাল্ট করো, আত্মীয় স্বজনের কাছে বাবা-মায়ের মুখ উজ্জ্বল করো, আত্মপ্রতিষ্ঠা পেতে হবে, ভালো চাকরি পেতে হবে। প্রাণ হলো ওষ্ঠাগত।
আরো বড়ো হয়ে ভাসালাম তরী সংসার সাগরে। অশক্ত হালে চলছে তরী টালমাটাল। গরমে হাঁসফাঁস, শীতে জবুথবু, কাজে গড়িমসি। সংসার টানতে গলদঘর্ম। বইছে তরী। এইভাবে দিন চলে যায় আসে রাত্রি। আমি বেঁচে আছি,ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি।
তাই মনে মনে ভাবি,যদি শৈশব ফিরে পাই একবার, ধেইধেই করে ঘুড়ি নিয়ে বেড়াই উড়ে পাড়া থেকে পাড়ায়, জীবন সুধা মেখে গায়।