যে চয়ন নেই চয়নিকায়
যে চয়ন নেই চয়নিকায়


(১)
আমরা যা দেখতে পারছি সেটা লোভ
আর যা দেখতে পারছি না সেটা ক্ষোভ
লোভ আর ক্ষোভের মাঝখান টুকু
ভবিতব্য
আলোর গভীর অন্ধকার
অন্ধকারের শুন্য-দ্বার
যেটা দ্রূত হাসিল নষ্ট নিত্য
যেটা পেলাম না কাহিল কষ্ট চিত্ত।
(২)
সত্য যখন আহত অহিংসার দাবড়ে মানুষ বোধ কংকাল হিংসার দাপরে।
(৩)
নদী
জানে নির্মেঘ স্রোত হারিয়ে যাবে সাগরেদু পার খোলা ডুবলে নদী জলের গভীরে।
(৪)
সাগর
জানে আসবে আমার কাছে সব নদীর ধারা
খুঁজতে তাদের নিজের নিজের ইচ্ছের কিনারা।
(৫)
রমণীর আঁচ
সব পৃথিবীর আভা বহুবর্ণ আকাশ
সূর্যস্তপ চন্দ্রস্তপ আলো অন্ধকারের সাঁকো
জলের রোদ্রছায়া আকীর্ণ বাতাস।
(৬)
নারীর দু হাত
উনুনের আঁচ চোখপোড়া সাদা ভাতের গন্ধ উল্কিআঁকা ঘরের প্রচ্ছন্ন সপ্তবর্ণ আলোর ছন্দ।
(৭)
বৃষ্টি
মাটির বক্ষস্থলে ঘুমিয়ে শস্যের চোখে জাগরণদুঃখ বিবাদ দিনে ভুবনজোড়া ভরণ পোষণ।
(৮)
হৃদয় বাঁচে হৃদয় জড়িয়ে ভালোবাসার তরঙ্গে আমরণ
গলার ফাঁস খুলে গর্ভধারণ মুক্তির শৃঙ্খল
স্বাধীন জীবনযাপন।
(৯)
বয়স জানে যতোদিন শিরদাঁড়া ততোদিন ভোগ
শূন্য থেকে আর এক শূন্যের প্রবৃত্তির যোগ।
(১০)
ঘর
নিত্য প্রয়োজন সংকীর্ণভুবন সুখ সম্ববৃদ্ধির নবান্ন।
জন্ম
শূন্য থেকে শুরু বন্ধ মুঠির দু'হাত।
মৃত্যু
শেষ থেকে শূন্য গোনা শূন্য হাতে।