শেষ চিঠি
শেষ চিঠি


তোমার কণ্ঠ কানে লেগে আছে আজও
সহজ ছন্দে ভুল করে কবিতাও,
কে যেন হঠাৎ নাম ধরে ডেকে ওঠে
মনে মনে বলি তুমি নিশ্চই নও।
দিনভর ধাঁধাঁ চিন্তার খুঁটিনাটি,
শিখতে শিখেছি রহস্য ভালোবাসতে,
লক্ষ্যভেদে উচাটন ধরাতল,
তুমি ভাষা ভাষা চোখে নিশ্চুপ বসে হাসতে।
ডুমুরের কচি ফুলের বিরল সাজে
ন ' মাসে ছ ' মাসে আমাদের বাড়ি আসতে;
ভাবতাম কবে পারবো তোমার মতো
বুদ্ধি নিংড়ে দেদার অঙ্ক কষতে।
মনে পড়ে? সেই সেবার দারুন শীতে,
তোমাদের বাড়ী বেড়াতে গিয়েছিলাম
খাবার টেবিলে এঁটো হাত খটখটে,
হুল্লোড়ে রাত আমরা আঁকড়েছিলাম।
তোমার পাঠানো অমূল্য উপহার,
কড়া নেড়েছিলো মৌসুমী হাত ধরে
সে কলম আজ নিত্যদিনের সঙ্গী;
হিজিবিজি ছড়া দালান উঠোন জুড়ে।
ন ' মাস ছ ' মাস কখনো বছর দু এক
পাইনি দেখা। জানতে চেয়েছি, কেন?
সবাই বলেছে মস্ত কাজের মানুষ,
সময়ের দাম আকাশ ছুঁয়েছে যেন।
আকাশ পেরিয়ে যেন তুমি ছুটছিলে
ছায়া পড়ছিলো তারাদের ঘরে ঘরে;
ভেবেছি যে পথ ধরে তুমি ছুটছিলে
তার পরেও কি কোনো রাস্তা থাকতে পারে ?
জবাব পাবো না, লিখছি সেসব জেনেই
কিছুটা ঘর বাঁধবে মেঘের পাড়ায়,
কিছুটা হয়তো মিশবে অন্ধকারে
কিছুটা ফুটবে রাতের তারায় তারায়।
এখানে আমরা সবাই ভালো আছি...
শুধু হাওয়া বলে যায় তুমি আর ভালোবাসোনা,
বছর ঘোরে নয় মাস, ছয় মাস.
কই? তুমি তো আর আমাদের বাড়ি আসোনা !!