পছন্দ হলে
পছন্দ হলে
এই পৃথিবীতে শিশু প্রথম যখন চোখ খুলে তাকায়,
তাকেই বন্ধু বলে ভাবে যাকে সামনে দেখতে পায়।
হাতের কাছে যা কিছু পায় তার স্বাদ নিতে চায়,
তাই তো অনেকেই গোপালের মতো মাটি মুখে দেয়।
চোখ, কান, জিভ ,নাক , চামড়া সব কাজে লাগায়,
পুরো বিশ্বব্রহ্মান্ডকেই যেন ভালো করে বুঝতে চায়।
শব্দ করে কাঁদে যদি কোনো কিছু দেখে ভয় পায় ,
বন্ধু তাকেই ভাবে যা দেখে শিশুর প্রীতি উৎপন্ন হয়।
হতেই পারে সেটা, বাছুর কিংবা হাঁস মুরগীর ছানা,
কুকুর বাচ্চা, কোলবালিশ অথবা শোবার বিছানা।
খরগোশ, টিয়াপাখি, বেলুন, ছাগলছানা বা দোলনা!
ভালো লাগে, যা নড়ে, চড়ে, আর কথা বলতে পারে ,
টিভিতে পেয়ে যায়, মিকি, ডোনাল্ড ডাক, টম-জেরি।
ভক্ত হয়ে পড়ে সহজেই সব শিশু এই মোবাইল এরই,
একটু বড় হলে যখন হয় তার নানা অক্ষর পরিচয়,
ছড়ানো আছে অনেক বন্ধু , বাংলা বইয়ের পাতায়।
হাঁসজারু, বকচ্ছপ, হাতিমি এঁকেছেন সুকুমার রায়,
আছে তো গগন ঠাকুরের বুড়ো আংলা রূপী হৃদয়।
কার্টুনের ছোটা ভীম, মোটু-পাতলু কম কিসে যায় !
নারায়ন দেবনাথের বাঁটুল দি গ্ৰেট বা কৃষ্ণদেব রায়!
খেলনা কিংবা মোবাইলকে যদিও ওর বন্ধু মনে হয়,
তবু শিশু খেলার সাথী এবং বাবা-মাকে পাশে চায়।
শিশুদের কথা ভেবে তারা বই দেখে বা কার্টুন বানায়,
কাজটা কিন্তু যতো সোজা মনে হয় তত সোজা নয়,
মনে মনে তাদের নিজেদেরকেও যে শিশু ভাবতে হয়।
কি কি ভালো লাগে ছোটোদের ,আন্দাজ করতে হয়,
তবেই ছোটোদের দুনিয়ার মনের নাগাল পাওয়া যায়।
পছন্দ হলে তবেই ওরা বন্ধু ভাবে, আপন করে নেয়।
