মা
মা
মা-গো তোমার গর্ভে যখন আমার
হলো বৃক্ষরোপণ,
তোমার অনেক স্বপ্ন, জানা হলো
যেটা ছিল গোপন।
যেথায় আমার শান্তি ছিল -
ছিল পূণ্য আলো,
বাহির আলোর লোভের মোহে হলেম আমি কালো।
মা-গো তোমার কোলে ভালো ছিলাম কেন দিলে ছুড়ে,
আমার সাধের স্বর্গ খানি কেন নিলে কেড়ে।
যেথায় ছিলাম স্বাধীন' আমি,
সেথায় রক্ষা মাতা ছিলে তুমি।
পেতাম যেথায় শুধু আদর,
যেন, শীতের ঢাকা রক্ষা চাদর,
বাহিরপানে কেবল শুধু কেড়ে নেওয়ার পালা,
আমি একা পঙ্গু হেথায়,
সইতে আমি পারি না আর এই পৃথিবীর জ্বালা।
এই পৃথিবীর কোন্ সে কোনায়,
লুকিয়ে আছো তুমি সেথায়
তবু জানি নয়ন ভরে দেখছ আমায় তুমি।
আমার ছিল যত চাওয়া
তোমার ছিল ততই দেওয়া
তুমি ছিলে কেবল আমার স্বর্গময়ি ভুমি।
কি দিয়েছ কি পেয়েছ,
আমি কি পেয়েছি -কি দিয়েছি
তার হিসাব নিকাশ নাই বা করে নাও তুলে মা কোলে,
মায়ের ব্যাথা যে না বোঝে
সেই অভাগা দূঃখ খোঁজে
সাত জন্মের পাপের বোঝা নিজের কাঁধে ঢালে।
তুমি আমায় জন্ম দিলে
পৃথ্বী আমায় অন্ন দিলে
ঋণ শোধাব কেমন করে তাইতো ভেবে সার,
আমার খেলা সাঙ্গ হলে
নেবে কি আমায় তুলে
নইলে আমি কেমন করে
সাগর হবো পার।
যে গাছ ছিল ঊর্ধ্বমুখী,
আজ হয়েছে নিন্মমুখি,
মাগো তোমার গর্ভে আবার করো আমায় তুমি রোপণ,
সাত জনমেও ছেড়ো না মা, আমায় তুমি করো ক্ষমা,
কেবল শুধু আমায় তুমি গর্ভে করো ধারণ।
