কবিতা " অধিকার "
কবিতা " অধিকার "
পুরুষ, না নারী, কার অধিকার বড়ো এই পৃথিবীর বুকে,
পুরুষ ভাবে আমরাই বড়ো, তাই নারীরা কাঁদে দুঃখে।
পুরুষ, তুমি উন্নত বীর -
যদি পার আজ নত কর শির,
যে নারী কে রেখেছ চরণতলে বিবাহের অধিকারে,
মনে রেখ, আর এক নারী দিয়েছে তোমাকে জন্ম,
আর গড়েছে তোমাকে স্নেহ আদর ভরে।
নারী যদি বলে, আর হবো না আমারা স্বীকার বিবাহের বন্ধনে,
সকল পরুষ সন্ন্যাসি হয়ে ঘুরবে কি হেথা বনে?
রাতের অন্ধকারে পরুষ যদি নিজেদের বল-জোরে,
কোনো এক নারী কে স্বীকার করে যদি তার সতীত্ব লুট করে,
এ কেমন সেই পৌরুষের জয়?
নারী বলে যদি পরুষ হরন করে
ধর্ষিতা যদি ধর্ষক হয়ে পরুষ কে করে ক্ষয়,
পরুষ তুমি দেখাবে তখন তোমার কেমনে জয়?
বাহুবলের কু-জয়ের প্রথা এই পৃথিবীতে হবে ক্ষয়?
পরুষ যদি হয় নৌকা, তবে নারী সে নদীর জল,
জ্বালানি বিহীন সকল গাড়ি, যেমন হয়ে যায় নিশ্চল।
তবে কেন করো অহংকার এই ভবে,
পরুষ না নারী, কার অধিকার উচু হয়ে হেথা রবে?
বিধাতার সৃষ্টি দুটি রূপ, আর ভিন্ন তাদের আকার,
নেই কোনও ভেদাভেদ, আছে সমান " অধিকার"।
জীবন চলার পথে চায় দুই শক্তির সমান জয়,
তবেই হবে এই বিশ্বের মহা মিলন, হবে শেষ সব প্রলয়।